আমি বললাম
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি টেনশন করো না
দেখি আমি কারো কাছ থেকে টাকা পাই কিনা
অনেক কষ্ট করে আমার এক রুমমেট থেকে আমি
টাকাটা ম্যানেজ করলাম ।
আমার রুমমেট প্রথমে আমাকে টাকা দিতে চাইনি
আমি বললাম আমার বাবা অসুস্থ
এই মুহূর্তে পাঁচ হাজার টাকা দরকার
অনেক রিকোয়েস্ট করার পর
আমার রুমমেট টাকাা দিতে রাজি হল ।
তারপর সাথীর বিকাশে পাঠিয়ে দিলাম ।
সাথী অনেকবারই আমার কাছ থেকে
বিভিন্ন বাহানা করে
আমার কাছ থেকে টাকা নিতো
বলতো পরীক্ষার ফিস দিতে হবে
বাবা অসুস্থ ইত্যাদি অনেক ধরনের
বাহানা করে আমার কাছ থেকে টাকা নিতো ।
আর সব সময় বলতো টাকা দিয়ে দেবো
পরে এক সময়।
আমি সাথীকে অনেক ভালবাসতাম
সাথীকে নিজের বউয়ের মত ভাবতাম
তাই ও যা চাইতে আমি দিয়ে দিতাম
ওর সব আবদার আমি রাখতাম
আমি বিদেশ আসছি শুধু
সাথীর জন্যই
সাথীকে জন্য আমি বিয়ে করতে পারি ।
সেই আশা নিয়ে আমি বিদেশে আসলাম
আমার এই আশাটা যেন পূর্ণ হয়
আমি সব সময়
নামাজ পড়ে এই দোয়াটি করতাম
আমি যেন সাথীকে বিয়ে করতে পারি ।
সাথী আমার কাছ থেকে
সব সময় একটি আইফোন দাবি করত
সব সময় বলতো আমার জন্মদিনে তুমি
আমাকে একটা আইফোন গিফট করো ।
ওর এই আবদারটি রাখার জন্য
আমি দিনরাত চাকরি করতাম
আউট কোন খাবার খেতাম না
ফ্যামিলিতে কম করে টাকা পাঠাতাম
অনেক কষ্ট করে ওর জন্য একটা ফোন কিনলাম
ফোরটির সাথে
বিদেশি চকলেট বিদেশী ক্রি ইত্যাদি অনেক কিছু ওর জন্য পার্সেল করে পাঠিয়ে দিলাম ।
এভাবে আমার চারটি বছর বিদেশ পার হয়ে গেল
সাথী আমাকে সবকিছু থেকে ব্লক করে রাখল
ওর সাথে যোগাযোগ কর মতন কোন সুযোগ পাচ্ছিনা
লাস্ট যেদিন ওর সাথে কথা হলো আমার ।
সাথী বললো আমায়
আমার বাবা-মা আমার ফোন নিয়ে নিছে
আমাকে এখন ফোন ধরতে দেয় না
আজকের পর থেকে হয়তো তোমার সাথে কথা হবে না
তুমি ভালো থেকো
সাবধানে কাজ কর
তোমার অপেক্ষায় থাকলাম আমি।
সাথীর সাথে আমার ছয় মাস কোন যোগাযোগ হয়নি
অনেক চেষ্টা করেছি ওর সাথে একটু কথা বলার
কিন্তু ওর কোন খোঁজ পাইনি ।
আমার বন্ধুদেরকে আমি জানালাম সবকিছু
আমার বন্ধুরা বলল
সাথীরা আমাদের এখান থেকে চলে গেছে
ওরা এখন কোথায় থাকে জানিনা
কিন্তু এটা জানি
সাথী এখন অনেক বড় নায়িকা হয়ে গেছে ।
সাথী হয়তো এখন তোকে ভুলে গেছে
কারণ ও এখন বড় নায়িকা হয়ে গেছে
এখন আর তোর কথা মনে করে কি লাভ
সাথী এখন বড়লোক হয়ে গেছে ।
বন্ধুদের মুখে কথা শুনে
আমার টেনশন অনেক বেড়ে গেল
ঠিকমতন কাজ করতে পারি না
কোন কিছুতেই মন বসে না
আমার মন শুধু ছটফট করে দেশে যাওয়ার জন্য
তাই আমি দেশে চলে আসলাম হঠাৎ করে ।
হঠাৎ করে দেশে চলে আসলাম তাই
ফ্যামিলির জন্য তেমন কিছু আনতে পারিনি আমি
তারপরও বাবা মা আমাকে দেখে অনেক খুশি হলো
বাবা-মা খুশি দেখে আমিও খুশি হলাম ।
দুইদিন বাসায় ছিলাম
তারপর সাথী কে খুঁজতে বের হয়ে গেলাম
অনেক কষ্ট করে ওর ঠিকানা ম্যানেজ করলাম ।
বিদেশ থেকে আসার সময়
সাথীর জন্য একটি হিজাব নিয়ে আসছিলাম
হিজাব পরলে সাথীকে অনেক সুন্দর দেখায়
তাই ওর জন্য তেমন কিছু আনতে পারিনি
শুধু একটি হিজাব নিয়ে আসলাম ।
অনেক আশা নিয়ে দেশে আসছি
সেই আশাটা যেন আমার পূর্ণ হয়
ঠিকানা মত চলে গেলাম
দেখি সাথী শুটিং করতাছে
ওর সামনে অনেক মানুষ ছিল
তাই ওর সামনে যেতে পারলাম না ।
দূর থেকে সাথীকে অনেকবার হাত দিয়ে ইশারা দিয়েছি
কিন্তু ও আমাকে দেখে না দেখার ভান করল
দূর থেকে ওর দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম
ও আগের থেকে অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছে ।
ওকে দেখে আমার এখন অনেকটাই ভয় ঢুকে গেল
ওর সামনে গেলে ওকে আমায় চিনবে
ওর জন্য আমি কত কিছু না করছি।
সাথী কি এখন সবকিছু ভুলে গেছে
ওর সাথে আমার প্রায় ৬ মাসের মতন কথা হয়নি
কোন যোগাযোগ হয়নি
এর মধ্যে ওকে আমি ভুলে যাবে।
দূর থেকে রক্ষা করলাম
সাথী অনেক সুন্দর অভিনয় করে
সাথী একটি লাল শাড়ি পরছিল
শাড়িটাতে সাথী কে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিল
ঠিক যেন নায়িকাদের মত ।
প্রায় তিন ঘন্টা ওর জন্য অপেক্ষা করতাছে
ও কখন ফ্রি হবে কিছুক্ষণ পর ও ফ্রি হল
ওর সামনে গেলাম ওর সাথে কথা বলার জন্য