[১] রাতের অদ্ভুত ডাক
রাত তখন ঠিক ১২টা। গ্রামের এক প্রান্তে পুরোনো এক ভাঙাচোরা বাড়ি। অনেক বছর ধরে সেখানে কেউ থাকে না। কিন্তু হঠাৎ করেই, কিছুদিন ধরে রাত ১২টা বাজতেই বাড়িটা থেকে একটা অদ্ভুত কান্নার শব্দ ভেসে আসে। কেউ কাছে গেলে কিছুই পায় না, শুধু একটা ভয়ংকর ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়।
গ্রামের সবাই বিশ্বাস করে, ওই বাড়িটা অভিশপ্ত। কিন্তু রবিন এসব ভূতের গল্প বিশ্বাস করে না। সে সিদ্ধান্ত নেয়, যাই ঘটুক, আজ রাতেই সে সত্যিটা খুঁজে বের করবে।
[২] ভয়ংকর প্রতিচ্ছবি
রবিন একটা টর্চলাইট আর মোবাইল হাতে নিয়ে পুরোনো বাড়ির ভেতরে ঢোকে। চারপাশে ধুলো আর জাল ভর্তি, মনে হয় বহু বছর কেউ ঢোকেনি। হঠাৎ, একটা ঘরের দরজা নিজে থেকেই কিঞ্চিৎ ফাঁক হয়ে গেল। ভিতরটা ঘুটঘুটে অন্ধকার।
সে মোবাইলের ফ্ল্যাশ জ্বালিয়ে দেখল—একটা পুরোনো আয়না ঝুলছে। আয়নার কাচটা ধুলোয় ঢাকা, কিন্তু রবিন ওটা মুছতেই…
সে দেখতে পেল, তার পিছনে দাঁড়িয়ে আছে এক রক্তাক্ত মুখের মেয়ে!
সে দ্রুত পেছনে ফিরে তাকাল, কিন্তু কিছুই নেই!
আবার আয়নার দিকে তাকাল—মেয়েটা এবার তার চোখের দিকে তাকিয়ে আছে, হাসছে।
[৩] অদ্ভুত লেখাগুলো
রবিন আতঙ্কিত হয়ে দরজার দিকে দৌড় দিল, কিন্তু হঠাৎ দেয়ালে কিছু লেখা চোখে পড়ল।
“যদি সত্যিটা জানতে চাও, আয়নার পেছনে তাকাও।”
রবিন দ্বিধায় পড়ে গেল। পালাবে, নাকি দেখবে?
তার কৌতূহল জয়ী হলো। সে ধীরে ধীরে আয়নার পেছনে হাত বাড়াল। সঙ্গে সঙ্গে এক শীতল স্পর্শ অনুভব করল—তার হাত যেন কারও হাড়গোড় ঠান্ডা হাতে আটকে গেছে!
[৪] চূড়ান্ত আতঙ্ক
এক ঝটকায় পেছনে তাকাতেই রবিন দেখল—তার সামনে দাঁড়িয়ে আছে সেই মেয়ে! এবার আর আয়নার মধ্যে নয়, সত্যিকারের রক্ত মাখা মুখ নিয়ে!
তার ঠোঁট থেকে গলগল করে কালো তরল ঝরছে, আর চোখদুটি ফাঁকা!
মেয়েটা কাঁপা কাঁপা গলায় বলল—
“আমার জায়গা তুমি নিয়ে নিয়েছ, এবার আমি তোমার জায়গা নেব!”
সেই রাতের পর থেকে রবিন কোথাও নেই।
কিন্তু… আজ রাত ১২টায় আয়নার সামনে দাঁড়ালে, তোমার প্রতিবিম্ব কি সত্যিই তোমার হবে?