অদৃশ্য_এক_অসুখ_তুমি (৩)

সকালে মেঘ আয়নায় নিজের মুখ দেখে।চোখে ক্লান্তি, চুল এলোমেলো, মুখ শুকনো।নিজেরই মুখে নিজেকে জিজ্ঞেস করে,তুই তো ঘৃণা করিস আরিয়ানকে, তাই তো?
কিন্তু আয়নায় দাঁড়িয়ে থাকা মেঘের চোখ থেকে একটা টপটপ করে পানি পড়ে।সে নিজেকেই বলে,ঘৃণা করতে গিয়েই আমি কেন…তোর স্পর্শে সেফ ফিল করি, আরিয়ান?
দুইদিন ধরে অফিসে মেঘ যায় না।আরিয়ান চুপচাপ ফোনে ওর বসের কাছে ছুটি ম্যানেজ করে রেখেছে।হঠাৎ এক সন্ধ্যায়—জিদান হাজির মেঘের ঘরের সামনে।দরজায় দাঁড়িয়ে সরাসরি বলেতুমি হয়তো জানো না আমি কে।
তোমার জন্য আমি সব করতে পারি।তোমার শরীর, তোমার রাগ, তোমার অভিমান—সব আমার চাই।
মেঘ ভয়ে দরজা বন্ধ করতে গেলে জিদান জোরে ধাক্কা দেয়।ঠিক তখনই পেছন থেকে একটা গলা—তুই এই দরজায় আরেকবার আসলে, আমি তোর হাঁটুর নিচে কিছু রাখব না। হাঁটবি তো না, হামাগুড়ি দিবি।
আরিয়ান।চোখ লাল। মুখে রাগের আগুন।কাঁধে একটা লোহার পাইপ।জিদান ভয় পেয়ে যায়।আরিয়ান চুপ করে বলে—মেঘ তোকে ভয় পায়।তোকে ঘৃণা করে।তুই যদি ভালোবাসতিস, তার চোখে ভয় তৈরি করতি না—
ঠাঁই দিতিস।দফা শেষ, এখন ভাগ।
রাতে মেঘ দরজা বন্ধ করে, এক কোণে বসে থাকে।আরিয়ান পাশের ঘরে চুপচাপ বসে ছিল।হঠাৎ সে দরজা খুলে, একটা চায়ের কাপ দেয়।এটা খা… গরম। আর ভয় পাস না। তুই এখন আমার রুমে থাকবি।
মেঘ চুপচাপ বলে—আমি কী তোর কিছু?
আরিয়ান থমকে যায়।
তারপর হাসে।তুই আমার ঘৃণারও বেশি কিছু।
মানে?
আমি তোকে ঘৃণা করতে পারি না, মেঘ।আমি শুধু তোকে আগলে রাখতে চাই—যতক্ষণ আমার শরীরে একটা নিঃশ্বাস থাকবে।
মেঘ কাঁপা কণ্ঠে বলে—তুই তো আমাকে একদিন ভেঙেছিলি…এখন কেন ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকিস?
আরিয়ান জবাব দেয় না।শুধু একটা জিনিস বলে—কারণ আমি ভালোবাসা দিতে পারি না,আমি শুধু পাহারা দিতে পারি।তুই চাইলে সারা জীবন পাহারায় থাকব…
সেদিন রাতে, আরিয়ান চুপচাপ জিদানের ফোন ট্র্যাক করে।সে বুঝে গেছে—এই ছেলেটা থামবে না।ভালোবাসা নয়, জিদান চাই শুধু, অধিকার।
পরদিন অফিসে গিয়ে সরাসরি বসের রুমে ঢুকে পড়ে আরিয়ান।আমি জিদান সম্পর্কে কিছু জানি।
কি বলছো?
ও মেয়েদের উপর মানসিক টর্চার করে।আমি চাই আপনি ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।না হলে আমি পুলিশে যাবো।
সাথে সে জিদানের বেশ কিছু ভয়ানক মেসেজ আর ভয়েস রেকর্ড দিয়ে দেয়,যেগুলো মেঘ তার অজান্তেই রেখে দিয়েছিলো।
রেজাল্ট?জিদান চাকরি হারায়।একটা ছোট স্ক্যান্ডালও ছড়িয়ে পড়ে।সামাজিকভাবে ভেঙে পড়ে জিদান।
সেদিন সন্ধ্যায় মেঘ জানলায় দাঁড়িয়ে ছিল।আরিয়ান এসে চুপচাপ একটা গিফট দিয়ে যায়—একটা ছোট্ট কাঠের বাক্স।তার ভেতরে কী?
একটা চাবি।আর ছোট্ট কাগজে লেখা—এই রুমটা এখন তোর।তোকে পাহারা দিতে দিতে যদি একদিন মরে যাই,
তাও জানিস, তুই নিরাপদ ছিলি আমার কাছে।
মেঘ বাক্সটা বুকে চেপে ধরে।চোখে জল…তুই কী করে পারিস, আমাকে এমন ভালোবাসতে?নিজেকেই প্রশ্ন করে।
পরদিন রাত ১১টা।একটা মেসেঞ্জার মেঘের জন্য চিঠি নিয়ে আসে।তাতে লেখা—তোমার এই শহর, এই শান্তি, এই ছায়া—সব কেঁড়ে নেবো।এবার শুধু তোমার ভয় দেখতে চাই।তোমার সেই আরিয়ানও কিছু করতে পারবে না।
মেঘ ভয় পায় না।সে এবার দরজা খুলে আরিয়ানকে ডাকে,তুই যদি সত্যিই পাহারা দিতে পারিস,তাহলে দাঁড়াস সামনে।আজ আমি তোর পাশে থাকতে চাই, তোর পেছনে নয়।
আরিয়ান মৃদু হাসে।তুই দেরি করে ফেললি, কিন্তু ভুল করিসনি।এই শহরে যতদিন আমি বাঁচি,তোকে ছুঁতে কেউ পারবে না।
রাত ১টা।চারজন মুখোশধারী লোক মেঘের ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে।আরিয়ান আগেই প্রস্তুত ছিল।সে একে একে তিনজনকে কাবু করে ফেলে।চতুর্থ জন তার হাত কেটে দেয়।রক্ত ঝরছে, মেঘ কাঁদছে।
আরিয়ান চিৎকার করে বলে—তুই যদি কাঁদিস, আমি মরব!
আমি যুদ্ধে আছি, কাঁদিস না এখন!শেষ লোকটাকে মাটিতে ফেলে সে বলে,এই শহরের বুকে মেঘের চোখে জল আনবি?আমি তোকে খুঁজে নিয়ে শেষ করে দেবো!
সকালে, রক্তাক্ত আরিয়ান বেডে শুয়ে থাকে।মেঘ তার পাশে বসে কাঁদে।তখন সে ধীরে বলে—আমি তোর কিছু না, তাও তুই আমার জন্য জীবন দিতে পারিস?
আরিয়ান চোখ বন্ধ করেই বলে—তুই আমার সব, তাই তো তোকে বলি না…তোকে শুধু পাহারা দিই।
মেঘ তার কপালে একটা চুমু দেয়।আর নিজের বুকের ভেতর একটা স্বীকারোক্তি করে…আমি আরিয়ানকে ভালোবাসি…
মেঘ জানে না, রাতের সেই মুখোশধারীদের পেছনে কে ছিল।আরিয়ান এখনো পুলিশের কাছে কিছু বলে না।
শুধু বলে—ওরা আমাদের শেষ করতে চায়।
কেন?
তুই আমার স্ত্রী, এতেই অনেকে খুশি না।
মেঘ ভাবে, সেটা নিশ্চয় জিদানই করছে।
কিন্তু আরিয়ান জানে—এই খেলাটা জিদানের একার না…
আরিয়ানের বাবা সালমান চৌধুরীশহরের ধনী ব্যবসায়ী, এক হাত মানুষ।সে নিজের ছেলের এই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি।তার প্ল্যান ছিল ছেলেকে রাজনীতির এক জায়গায় বসাবে,সেই পথে গ্রামের গরিব একটা মেয়েকে সে কখনোই মানতে পারবে না।
এক গোপন অফিস রুমে বসে সে ফোনে বলে—জিদান, আর দেরি কোরো না।আমার ছেলে যেন নিজেই তার থেকে দূরে চলে আসে।ভয় দেখাও, অসম্মান করো, প্রয়োজন হলে আঘাতও করো…কিন্তু আমার ছেলের জীবনে ‘মেঘ’ নামে কোনো মেয়ের জায়গা থাকা চলবে না।
জিদানের ঠোঁটে বাঁকা হাসি।চিন্তা করবেন না, চৌধুরী সাহেব…আপনার ছেলে একদিন নিজেই বলে উঠবে—আমার ভুল হইছে, আমি জানোয়ার!
রাতে আরিয়ান মেঘকে বলে—তুই আজ থেকে অফিসে আমার সাথে যাবি।তুই একা থাকবি না আর। আমি তোকে একটা জীবন দিতে চাই, মেঘ।
মেঘ ধীরে বলে—তুই কি পারবি আমায় স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে?
আরিয়ান তার চোখে চোখ রেখে বলে—তুই কি আমাকে স্বাভাবিক ভাবিস, মেঘ?
তুই?
আমি তো নিজেই জানি না, আমি মানুষ নাকি জানোয়ার।
কিন্তু তোর পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে জানি…
সেটা তো কেউ শিখায় না।
মেঘ কিছু বলে না।শুধু তার বুকের ভেতর একটা শব্দ বেজে ওঠে—ভরসা।
পরদিন দুপুরে,মেঘের ফোনে একটা অচেনা নাম্বার থেকে মেসেজ আসে:তোর পাশে যে ছেলেটা পাহারা দিচ্ছে,
সে জানে না, তার বাবাই তোর মৃত্যুর ফাঁস বানাচ্ছে…
মেঘ কাঁপতে কাঁপতে ফোনটা ফেলে দেয়।সে বুঝে যায়…
সব কিছু যেন অনেক বড় কিছু লুকিয়ে রেখেছে—
আরিয়ান জানে না…আর মেঘ এখন ভাঙবে না। সে জানতে চায় সব।
মেঘ সেই মেসেজটার স্ক্রিনশট নিয়ে রাখে।সে আরিয়ানকে কিছু বলে না,কিন্তু ভেতরে ভেতরে সিদ্ধান্ত নেয়—
এই জিদান কে?
সে কে পাঠাচ্ছে?
আরিয়ান জানে কি না?
মেঘ সরাসরি যায় একটা সাইবার ক্যাফেতে।সেখানে নাম ভাঁড়িয়ে লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের চেষ্টা করে,আর জিদানের পুরনো প্রোফাইল খুঁজতে থাকে।
তার চোখ আটকে যায় একটা ছবিতে…সালমান চৌধুরী এবং জিদান—একসাথে একটা প্রোগ্রামে।
ছবির নিচে ক্যাপশন:চৌধুরী ফাউন্ডেশনের নতুন ‘সিকিউরিটি কনসালটেন্ট, জিদান আল হাসান
মেঘ শ্বাস বন্ধ করে ফেলে।আরিয়ানের বাবা… জিদানকে চিনত?তবে কি মেসেজটা সত্যি ছিল?
তবে কি…
তার চোখে জল চলে আসে, গলা শুকিয়ে যায়।
রাতে আরিয়ান মেঘকে জিজ্ঞেস করে—তুই কেমন আছিস?
ভালো।
মিথ্যে বলিস না, তুই কাঁদিস কেন লুকিয়ে?
তুই সত্যি জানিস না… কিছু?
কি জানার কথা?
কিছু না।
মেঘ চুপ করে থাকে।সে জানে—এই মুহূর্তে সত্যি বললে হয়তো আরিয়ান ভেঙে পড়বে।সে অপেক্ষা করে আরও প্রমাণের।
পরদিন অফিস থেকে ফেরার পথেমেঘ একা বাসায় ফিরছিল।হঠাৎ পেছন থেকে কেউ মুখ চেপে ধরে।চোখে চোখ পড়ে একটুর জন্য— জিদান!
সে বলে—তুই যত খুশি ছটফট কর,আমি তোর প্রতিটা নিঃশ্বাসে ভয় ঢুকাবো।আর তোর সেই জানোয়ার স্বামী?
ওর বাবাই আমায় লাগিয়েছিল… বুঝলি কিছু?
ঠিক তখনই একটা বাইক দাঁড়ায় সামনে।আরিয়ান লাফিয়ে পড়ে,জিদান দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।আরিয়ান কিছুই বুঝতে পারে না।
সে শুধু মেঘকে জড়িয়ে ধরে…তুই ঠিক আছিস?তুই এত ভালো… এত বোকা কেন?মেঘ বলে ফেলে চোখ ভেজা গলায়।আরিয়ান চমকে যায়।
সেই রাতে মেঘ চুপচাপ আরিয়ানের বুকে মাথা রাখে।
মেঘ ভাবে…এই ছেলেটা আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে কতো কিছু হারাচ্ছে,অথচ তার সবচেয়ে বড় শত্রুটা সে চিনতেই পারছে না।আমি কি বলবো সব?নাকি রক্ষা করবো তাকেও… ওর নিজের বাবার কাছ থেকে?
রাতটা ছিল নিঃশব্দে কাঁপা।মেঘ ধীরে ধীরে সব বলে দেয় আরিয়ানকে।তোর বাবা… সালমান চৌধুরী…উনি-ই জিদানকে পাঠিয়েছিল, আমাকে ভয় দেখাতে।
কি বলছিস তুই?
উনি চাইতেন না তুই আমাকে নিয়ে থাক…তাই আমাকে অসম্মান করতে চেয়েছিল, যাতে আমি নিজেই দূরে সরে যাই।
আরিয়ান চোখ বন্ধ করে ফেলে।
তুই নিশ্চিত?
আমি নিজের চোখে ছবিতে দেখেছি,জিদান আর তোর বাবা একসাথে।আর জিদান নিজে বলেছে, তোর বাপ জিদান কে পাঠাইছে।
আরিয়ানের শরীর থরথর করে কাঁপে।তার চোখে রক্ত নেমে আসে।আমি মানুষ না,তাইলে আমি এবার জানোয়ার হই…
সেদিন রাত ২টার সময়,মেঘ একা রান্নাঘরে পানি খাচ্ছিল।
হঠাৎ পেছন থেকে এক হাতে মুখ চেপে ধরে—জিদান!
তুই কি ভেবেছিস, আমি শেষ হইছি?তোর বোকা বর তো কিছুই করতে পারে না… আমি তোদের শেষ করে দেবো।
কিন্তু আজ জিদানের ভাগ্যে অন্য কিছু লেখা ছিল।
আরিয়ান ঠিক তখনই পেছন থেকে এসে…জিদানের মাথায় চেয়ার ভাঙে।
জিদান মেঝেতে পড়ে যায়।আবার উঠতে চাইলে আরিয়ান তার কলারে ধরে দেয়াল ঘেঁষে চেপে ধরে।তুই আমার বউর গায়ে হাত তুলছিস?তুই ওর দিকে তাকাস?তুই জানোস না, আমি জানোয়ার?
জিদান হাসে।তুই তো তোর বাবার মতোই—বাইরে ভালো, ভিতরে আগুন।
এই কথা শোনার সাথে সাথেআরিয়ান পকেট থেকে ছু*রি বের করে জিদানের পে*টে ঢু*কিয়ে দেয়।
এই আগুনেই তোরা পুড়বি…তুই, তোর মতো যারা…
আর আমার বাপ! হ্যাঁ, বাঁচিস যদি, গিয়ে ওকে বল,
আমি কিছু ভুলে যাই না!
জিদান পড়ে যায় মাটিতে। র*ক্তে গড়াগড়ি খায়।
মরে যাওয়ার আগে ফিসফিস করে বলে—তোর বাবাই… তোর বউরে শেষ করতে চেয়েছিল…আমি শুধু… হাতিয়ার ছিলাম…
মেঘ কাঁপতে কাঁপতে বলে—তুই খু*ন করে ফেললি…?
আরিয়ানের হাতে র*ক্ত মাখা ছুরি দেখে ফেলে।
সে ধীরে মেঘকে বলে।তুই তো আমার স্ত্রী…তোকে বাঁচাতে আমি নিজের জীবনও দিমু…একটা খু*ন কি তুই মানবি না?
মেঘ আর কিছু বলতে পারে না।সে শুধু জড়িয়ে ধরে আরিয়ানকে।ভয় পায় না…এই প্রথম, সে নিজেকে নিরাপদ ভাবে।
রাতটা ছিল র*ক্তাক্ত।আর ভোরবেলা—এক অজানা ভয় নিয়ে জেগে ওঠে মেঘ।আরিয়ান তখনো চুপচাপ বসে, হাত ধোয়া হয়নি।তার ছুরিতে শুকিয়ে যাওয়া র*ক্ত জমে আছে।
মেঘ তার পাশে এসে বসে।আরিয়ান… কি করবি এখন?
এখন সময় আসছে, সব সত্যি সামনে আনার।
তুই কি… পুলিশের কাছে যাবি?
না… আমি যাব আমার বাপের কাছে।
একা?
না, তোকে নিয়েই যাব… ওর সামনে তুই থাকবি, যেন ওর চোখে তোর ভয়হীন চেহারা গেঁথে যায়।
চৌধুরী ভিলা।চেয়ারে বসা সালমান চৌধুরী।হঠাৎ গেইট দিয়ে ঢোকে আরিয়ান আর মেঘ।আরিয়ানের চোখে আগুন। মেঘের চোখে অটলতা।
সালমান বলে—এতদিন পর মনে পড়ল বাবার কথা?
আরিয়ান বলে—আপনার সামনে আমি ছেলে না… আমি বিচারক।
তুই কি পাগল হইছিস?
না, পাগল ছিলাম। এখন হুঁশে এসেছি।
আপনি জিদানকে দিয়ে আমার বউয়ের শরীরে হাত দিতে চেয়েছিলেন।
আপনি আমার কাছে এখন র*ক্তের বাপ না, বিষের উৎস।
সালমান রেগে উঠে চিৎকার করে—তোর মতলব কি? তুই কি চাস?
আপনি আমাকে ত্যাজ্য করেন, আমার সম্পত্তি,কেড়ে নেন…আমি তবু এই মেয়েটাকে ছাড়বো না,
এই মেয়েটা আমার জীবন… আর আপনি? আমার অতীত।
আরিয়ান সামনে গিয়ে বলে—আমি কাউকে মাফ করবো না।জিদানকে খুন করসি, আর যদি আপনিও মেঘের দিকে তাকান,তাহলে রক্ত নদী বইয়ে দিব।
তারপর সে মেঘের হাত ধরে বলে—চলো, তোর মতো একটা মেয়ের সাথে এই ভদ্রলোকদের বাসায় দাঁড়িয়ে থাকা নিজেকে অপমান করা।দুজনেই দরজার দিকে হাঁটে।
সালমান দাঁড়িয়ে শুধু দেখতে থাকে…তার নিজের ছেলে আজ তার সবচেয়ে বড় শত্রু।
সেই রাতে মেঘ রান্না করে, খেতে দেয় আরিয়ানকে।
আরিয়ান শুধু চেয়ে থাকে মেঘের দিকে আর বলে।
তুই জানিস? তুই আমার কাছে একটা যুদ্ধ…যে যুদ্ধ আমি সব হেরে গিয়েও জিততে চাই।
মেঘ হেসে বলে—আর তুই আমার ছায়া…যে ছায়ায় দাঁড়িয়ে আমি রোদের ভয় পাই না।
আরিয়ান মেঘকে বুকে টেনে নেয়।বুকে মাথা রেখে মেঘ বলে—তুই না থাকলে আমি হয়তো আজও ভাঙা গলায় চিৎকার করতাম,তুই আমাকে নীরব যুদ্ধ করতে শিখাইছিস…

Be the first to write a review

Leave a Reply

We’re sorry you’ve had a bad experience. Before you post your review, feel free to contact us, so we can help resolve your issue.

Post Review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক গল্প