গ্রামটা অদ্ভুত রকম রহস্যময়। এটার প্রকৃত নাম বিলগাঁও হলেও এই অঞ্চলের সব মানুষ এটিকে মরা গ্রাম হিসেবেই চেনে। গ্রামের ৭৫ শতাংশ জায়গা জুড়েই রয়েছে একটা মুসলমানদের ও আরেকটা ক্রিস্টানদের গোরস্থান। আর একটা শ্মশান। বাকি ২৫ ভাগ জায়গার মধ্যে একটা বিলের কিছু অংশ এবং গ্রামবাসীর বাস। গ্রামের জীবিত লোকসংখ্যা প্রায় ২শ, মৃত কয়েক হাজার। জীবিতদের অধিকাংশই পুরুষ এবং প্রাপ্ত বয়স্ক। তাদের সবার পেশাই মৃত মানুষদের অন্তিম ক্রিয়া সংক্রান্ত। দিনের থেকে রাতেই এই গ্রামের চঞ্চলতা বেশি থাকে। দূর- দূরান্ত থেকে প্রতিরাতে অসংখ্য মানুষকে এখানে আসতে হচ্ছে নিজের আপন জনদের অন্তিম স্থানে পৌঁছে দিতে। শহরে যেখানে লাশ দাফন করা খুব ভেজাল আর খরচের বিষয়। এখনো তার উল্টো। গোরস্থান কিংবা শ্মশান নিয়ে অসংখ্য মানুষের মধ্যে আতঙ্ক থাকলেও এই গ্রামের মানুষেরা নিশ্চিত মনে-প্রাণে বিশ্বাস করেন এরচেয়ে পবিত্র স্থান আর হয় না। তাই পুরো গ্রামকে গোরস্থান হতে দেখেও তাদের মনে কোনো চিন্তা নেই।
হলুদ পিকাপ ভ্যানটি সেতুটি পার হলো। একই রকমের আরও ৪টি ভ্যান দেখা যাচ্ছে আগে-পিছে। সবগুলোতেই পিন-পতন নীরবতা। মৃত মানুষের খাটিয়া ঘিরে বসে আছে সবাই। বাকি ভ্যান গুলো হলুদ পিকআপ ভ্যানটিকে অতিক্রম করে চলে গেল। এটাই কেবল একটু মন্থর গতিতে চলছে। ড্রাইভারের পাশের ছিটে বসে আছে ম্যানেজার খলিল। দীর্ঘক্ষণ নীরব থেকে তার হাত-পা নিশপিশ করছে। পেছনে লাশের কাছে বসে আছে ছোট সাহেব আর বড় সাহেব। তাই সিগারেট ধরাতেও পারছে না। সে ভাবছে মানুষের কী ভাগ্য! কোটি টাকার সম্পত্তি পড়ে আছে লোকটার আর তার ভাগ্যে একটা এম্বুলেন্সও জুটলো না। ঢাকায় গোরস্থানের কী অভাব আছে? তবুও কেন এত দূরে লাশ টেনে আনতে হবে! তাও ট্রাক! বড়লোকের বিষয় নিয়ে বেশি ভাবলেও বিপদ।
ম্যানেজার খলিল ফিসফিস শব্দে ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করে, ‘ শুনেছি ওই গ্রামটা নাকি আগে পিশাচদের দখলে ছিল ?’
ড্রাইভার মাথা ঝাকিয়ে বলল , ‘ হু।’
‘এখন কী নাই?’
‘না। যেই গ্রামে গোরস্থান থাকে সেই গ্রামে পিশাচ থাকে না। ‘
‘আগে কী ওখানে গোরস্থান ছিল না, নাকি?’
‘বিলগাঁও! না, প্রথমে ঐটা একটা জঙ্গল ছিল। এখন যেইটা বিল ঐটা ছিল বড় একটা নদীর অংশ। বড় বড় নৌকা চলতো এইখানে। পরে জঙ্গল কাইটা ধানচাষ করতেছিল এই এলাকার জামশেদ মাদবরেরা। ধানক্ষেত ভইরা পরে গ্রাম বানাইলো। বিলে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত বলে অনেক মানুষে ভরে গেল পুরো গ্রাম। এরপরে মানুষের গন্ধে কত হাজার বছরের পুরানো পিশাচ জাইগা উঠল। একটা একটা কইরা গ্রামের বাচ্চা,মহিলা, বয়স্ক মানুষ ধইরা ধইরা মারতে লাগলো। নানান সাধু, বিদ্বান , ওজা আইতে লাগলো পিশাচ তারাইতে। ওরাও মরতে লাগলো সমানে। মরা মানে এমন-তেমন মরা না। শরীরের এক খণ্ড পাওয়া যাইতো বিলের কাছে তো আরেক খণ্ড ১০০ হাত দূরের আমগাছ তলায়। পরে এক মাওলানা , এক পুরোহিত, এক ফাদার আইসা বলল পুরা গ্রামটা গোরস্থান আর শ্মশান বানাইতে। তাইলেই পিশাচ দূর হইবো। গ্রামের অর্ধেকের বেশি মানুষ এমনেই চইলা গেছিল ভয়ে, এইবার বাকিরাও গেলোগা। সেই থিকা পিশাচ মুক্ত ওই গ্রাম! মরা গ্রাম!’
কাহিনীটা শুনে বেশ ভয় পেয়েই গেল খলিল। অবাক দৃষ্টি মেলে ড্রাইভারের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো সে।অদ্ভুত কাহিনী! সে সব সময় জানতো শ্মশান কিংবা গোরস্থানের আশেপাশেই পিশাচ থাকে বেশি। এ যেন তার উল্টো। এমন সময়েই গাড়ি থামলো ড্রাইভার। বলল, ‘জরুরি কাজ থাকলে সেরে ফেলেন এখনই, সামনে দেড় ঘন্টার পথ। কোনো থামাথামি নাই।’খলিল একটু খুশি হলো। এই ফাঁকে একটা সিগারেট টানা যাবে। গাড়ি থেকে নেমে সাহেবদের সে বলল এখানে ১০ মিনিট গাড়ি দাঁড়াবে। দুই ভাই ভ্যান থেকে নেমে খলিলকে বলল তুমি লাশটাকে একটু দেখ, আমরা আসছি। হতাশ হলো সে। কিছুক্ষণ কেটে গেল। ড্রাইভার নেই, সাহেব নেই, আশেপাশে কোনো মানুষ নেই। অদ্ভুত একাকীত্ব!
খলিল আড়চোখে বারবার ভ্যানের উপর থাকা খাটিয়ার দিকে তাকাচ্ছে। ময়নাল স্যার তাকে খুবই স্নেহ করতো। সেও তাকে শ্রদ্ধা করতো অনেক। তবে বেশ কয়েক মাস ধরে বুড়ো তার উপর বেশ বিরক্ত ছিল। খলিলের করা কিছু হিসেবের গোলমাল তার চোখে পড়েছিল বলেই হয়তো। তার চাকরিটা প্রায় যায় যায় অবস্থা। এমন সময়েই সে খবর পায় বাড়ির সিঁড়ি থেকে উল্টে পড়ে , মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেছে স্যার। আসলে যতটা খারাপ লাগছিল তার মনে, তারচেয়ে বেশি স্বস্তি অনুভব করেছিল সে। তার ২ ছেলেকেও অবশ্য তেমন একটা শোকাতর মনে হচ্ছে না। খলিল ভাবে এর কারণও আছে। লোকটার কারণে মন-মতন চলতে পারেনি দুই ভাই। এমনকি পছন্দের মেয়েকে পর্যন্ত বিয়ে করতে পারেনি। পারিবারিক ভাবে ধনী হলেও মন মতো খরচ করবার স্বাধীনতা ময়নাল সাহেবের কেবল একার ছিল। সব সম্পত্তি পেয়ে তাই হয়তো দুই ভাইয়েরও শোকের চাইতে স্বস্তিটাই বেশি। ময়নাল সাহেবের বয়সও হয়েছিল ৭২।
এসবই ভাবছিল সে। হঠাৎই কোথা থেকে এক দমকা বাতাস এসে খাটিয়ার উপর থেকে লাশ ঢেকে রাখার চাদরটা সরিয়ে ফেলল। দ্রুত লাফ দিয়ে ট্রাকে উঠে চাদরটা দিয়ে খাটিয়াটা ঢেকে দিল সে। বাতাস আবার তীব্র হয়ে উঠল। আবার চাদরটা সরে গেল। চাদর দিতে গিয়ে লাশটার দিকে তাকিয়ে একটু থমকে গেল সে। তার কেন যেন মনে হলো লাশটা একটু নড়ছে। আজব চিন্তা! লাশটা পুরোটা কাফনের কাপড় দিয়ে ঢাকা। মাথার উপর এবং পায়ের নিচে সুতলী দিয়ে বাধা। কিন্তু ওকি! ওগুলো একা একাই খুলে যাচ্ছে। ভয়ে থরথর করে কাঁপতে লাগলো সে। মনের ভ্রম নয়তো!
একি! আরেকটু বাতাস এলো। লাশটার মুখের উপর থেকে কাপড়টা সড়ে গেল। তার চোখের সামনে ময়নাল সাহেবের মুখটা উন্মুক্ত হয়ে গেল। ব্যান্ডেজে মোড়া মাথা, মুখের দাঁড়িগুলো বিশ্রী ভাবে নাকের ফুটো দিয়ে ঢুকে আছে, আর দুইচোখ অদ্ভুত ভাবে বেঁকে গিয়ে ভ্রু গুলো প্রায় কাছাকাছি মিশে গেছে। ভয়ের এক অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছে সে। আশেপাশে লোকজন কিংবা দিনের আলো থাকলে হয়তো এর সহস্র ভাগের এক ভাগ ভয়ও তার ভেতর কাজ করতো না। সে একটু ঝুকে লাশটার মুখটাকে আবার কাফনের কাপড়ে ঢেকে দিতে চাইলো। কিন্তু লাশটা কেমন যেন ছটফট করে উঠল। ওটার হাত-পা কাঁপছে। মুচড়া-মুচড়ি করে শরীরের বাধন খোলার চেষ্টা করছে যেন সে। যদিও কিছু দিয়েই বাধা নেই লাশটা। আতংক এবার খলিলের পাঁজরে তীব্র একটা আঘাত আনলো। মৃত ময়নাল ব্যাপারীর চোখ দুটো খুলে গেল।
মিনমিন শব্দে আওয়াজ বেরিয়ে আসছে ওটার মুখ থেকে, ‘পালিয়ে যাও তোমরা এখান থেকে, ওরা সবাইকে মেরে ফেলবে, ওরা কিছুতেই সেই গোরস্থানে আমাদের যেতে দেবে না। পথ ভুলিয়ে মেরে ফেলবে। তোমরা পালাও, পালাও। ওরা জেনে গেছে আমি স্বাভাবিক ভাবে মরিনি। আমার সন্তানেরা ধাক্কা মেরে সিঁড়ি থেকে ফেলে আমায় মেরেছে। ওরা ছোট তাই ভুল করে ফেলেছে। কিন্তু ওরা তাদের ছাড়বে না। পিশাচরা সব জেনে গেছে। ওরা এখনো ওৎ পেতে থাকে আমার মতো লাশের জন্য। পালাও , পালাও!’
পাথরের মূর্তিতে পরিণত হয়ে গেছে খলিল। ভ্রম নাকি অন্যকিছু। কী হচ্ছে এসব! ভয়ে তার শরীর একটুও নাড়াতে পারছে না সে। বাতাস থেমে গেছে। না , এভাবে চললে হবে না। তাকে কিছু একটা করতেই হবে। সে একটু নড়তে পারলো। ঝাঁপিয়ে পড়লো লাশটার উপর। দ্রুত ওটার মুখ আর মাথা পেঁচিয়ে দিল কাপড়টা দিয়ে। সুতলী গুলো দিয়ে বেঁধে দিল আবার মাথা আর পা। লাশটার ছটফটানি কমে গেল। অস্থির হয়ে পিকআপ ভ্যান থেকে লাফিয়ে নেমে পড়লো সে। একি হলো তার সাথে। জ্ঞান হারাবে সে। ওরা কোথায়! এখনো আসছে না কেন। ট্র্যাকের ড্রাইভারের পাশের সিটে দৌড়ে গিয়ে উঠে পড়লো সে। কতদূর গেছে ওরা, দ্রুত ফিরে আসুক। আর পারছে না সে থরথর করে কাঁপা শরীরটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে। কী এক আতংক ঘ্রাস করে নিচ্ছে তাকে। সে গাড়ি চালাতে পারে না। গাড়ির সিটের উপরেই চাবিটা ফেলে গেছে ড্রাইভার। ইচ্ছা করছে গাড়িটা চালু করে পালিয়ে যায় কোথাও। কিন্তু অসম্ভব! চোখে অন্ধকার দেখল সে শুধু। শুধু অন্ধকার। জ্ঞান হারালো।
যখন চোখ খুললো দেখল পিকাপ ভ্যান ট্রাকটি ছুটে চলেছে অসম্ভব গতিতে। খলিল পাশে থাকা ড্রাইভারের দিকে তাকালো। বলল, ‘ ভাই গাড়ি থামান। আমাদের ঢাকায় নিয়ে চলেন। সামনে বিপদ আছে।’ ড্রাইভার কোনো উত্তর দিল না। সে রাস্তার দিকে তাকিয়ে গাড়ি ছুটিয়ে চলেছে। খলিল ড্রাইভারকে আরো কয়েকবার গাড়ি থামাতে বলল। কিন্তু সে তাকে পাত্তাই দিচ্ছে না। উত্তেজিত হয়ে ড্রাইভারের হাত স্পর্শ করল সে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। আগুনের ছেকা খাবার ভাব করে মুহূর্তেই হাতটা সরিয়ে নিল সে। ড্রাইভারের হাত এত শীতল তার মনে হলো একটা বরফের টুকরোয় হাত দিয়েছে সে। আতংক উন্মাদ করে দিল তাকে। সে চিৎকার করে উঠল, ‘ গাড়ি থামা বলছি , পিশাচ!’
গাড়ি থেমে গেল। ড্রাইভার তার দিকে তাকালো। ওর চোখে কোনো প্রানের অস্তিত্ব যেন নেই। মুহূর্তেই সে গাড়ি থেকে নেমে পেছনের দিকে চলে গেল। সাহেবদের নিয়ে কোনোমতে কেটে পড়তে পারলেই সে বাঁচে। ভ্যানের উপর থেকে ধস্তাধস্তির শব্দ আসছে। তার নার্ভ আরো দুর্বল হয়ে এল। হচ্ছেটা কী। সে ছোট সাহেব, বড় সাহেব? বলে ডাকতেই ধস্তাধস্তি থেমে গেল। কিন্তু কারো সাড়া পাওয়া গেল না। নিচ থেকে ভ্যানে কাউকেই দেখতে পাচ্ছে না সে। শুধু যেন খাটিয়াটা পড়ে রয়েছে। লাফিয়ে পিকআপে উঠে পড়ল খলিল। আসলেই কেউ নেই! খাটিয়ার লাশটা এত মোটা লাগছে কেন! ওকি , লাশটা আবার নড়ছে, ওখানে যেন কয়েকটা লাশ পেঁচিয়ে আছে। একটা থেকে আরেকটা ছোটার চেষ্টা করছে। দমকা বাতাসে কাফনের মুখ খুলে গেল, সেখানে এবার দেখা যাচ্ছে তিনটা মুখ চিপাচিপি করে শুয়ে আছে এক কাফনে। ছোট সাহেব বড় সাহেব আর ময়নাল ব্যাপারী। চিৎকার করে উঠল খলিল। তিনটা লাশ যেন ওরা! দুই সাহেবের আবার কী হলো! সাহেব দুজন চোখ মেলে তার দিকে তাকালো। কিন্তু সেই দৃষ্টিতে কোনো প্রাণ নেই। হিতাহিত জ্ঞান নেই আর তার। চিৎকারে ফেটে পড়লো খলিল।
চিৎকার করেই যাচ্ছে সে। এরমধ্যে আবার গাড়ি ছুটতে শুরু করলো। নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাটিয়ায় লাশের উপর গিয়ে পড়লো সে। কিছু বোঝার আগেই দু’ জোড়া হাত চেপে ধরলো তাকে। বড় সাহেবর কণ্ঠ, ‘ বড় ভুল হয়ে গেছে, বড় অন্যায় করে ফেলেছি আমরা। ওরা সব টের পেয়ে গেছে। এমন পূর্ণিমা রাতে ওরা জেগে ওঠে। সব টের পেয়ে যায়। আমরা ভুল রাতে , ভুল পথে ছুটে এসেছি। এখন আর ফেরার উপায় নেই। তুমিও চলো আমাদের সঙ্গে খলিল, ওরা তোমাকেও সাথে নিয়ে যাবে। ওদের আলাদা গোরস্থান আছে, ওখানে ওরা আমাদের রাখবে। খুব ই ভয়ের। না না , তুমি এসো না। বাবা আমাদের কিছুতেই ছাড়ছে না। মুক্ত করো আমাদের। প্লিজ, বাঁচাও।’
হিংস্র জন্তুর মতো চিৎকার আর অনেক ধস্তাধস্তি করে ওদের থেকে ছুটল সে। আবার চিৎকার করতে লাগলো, গাড়ি থামা পিশাচ , গাড়ি থামা! কিন্তু গাড়ি থামে না। বুঝতে পারে সে আর কোনো উপায় নেই। মৃত্যু নিশ্চিত তার। ওকি কাফন ছেড়ে বেরিয়ে আসছে তিনটা নিষ্প্রাণ শরীর। গাড়ির ছুটে চলার তীব্র শব্দের মাঝেও ড্রাইভারের তীব্র হাসির শব্দ ভেসে আসছে সামনে থেকে। এক মুহুর্ত ভেবেই গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়লো সে। প্রথমেই আঘাত পেল মাথায়। অচেতন হয়ে গেল। যখন জ্ঞান ফিরলো আবিস্কার করলো নিজেকে একটা হাসপাতালে। ডাক্তার, পুলিশ তাকে ঘিরে রেখেছে। ওরা জানতে চাইল, এত ভয়ঙ্কর ভাবে গাড়ি একসিডেন্ট হওয়ার পর সে কী করে বেঁচে গেল। ড্রাইভার , আর ময়নাল সাহেবের দুই ছেলের লাশ খুঁজে পেলেও ময়নাল ব্যাপারীর লাশটা খুঁজে পায়নি তারা। ওটা কোথায় গেল! নিষ্পলক দৃষ্টি মেলে সিলিং এর দিকে তাকিয়ে রইলো ম্যানেজার খলিল। তাদের ভাষা বোঝার ক্ষমতা তার নেই। কিন্তু ওদের পেছন থেকে যে বিকট কুৎসিত আকৃতি তার দিকে চেয়ে আছে তার চোখের ভাষা সে ঠিকই বুঝতে পারছে।