“মাশাআল্লাহ বলার বালাই নাই, খালি সুন্দর সুন্দর করতেছে! ফাজিল মেয়েছেলে!” শায়লার পাশে দাঁড়ানো মধ্যবয়সী এক মহিলা বিরক্ত মুখে বিড়বিড় করল।
মহিলার কথা মারিয়ার কানে গেল বলে মনে হল না। তার কন্ঠ থেকে আবারো যেন ঝরে পড়ল একরাশ মুগ্ধতা, “কি মিষ্টি বাচ্চাটা!”
শায়লা হাসিমুখেই মারিয়ার প্রশংসাটা গ্রহণ করল। তারপর কোলে থাকা নিজের নবজাতক মেয়েটার শরীরে হলদে তোয়ালেটা পরম আদরে পেচিয়ে নিল। শায়লার পাশে দাঁড়ানো সেই মহিলা তখনো নিঃশব্দে গজগজ করে চলছে। শায়লা এই মহিলাকেও কিছু বললো না। ওদের থেকে একটু দূরে দাঁড়ানো শায়লার স্বামী রেজওয়ানের সাথে একবার চোখাচোখি হলো শায়লার। রেজওয়ান ইশারায় চুপচাপ থাকতে বলল শায়লাকে।
মারিয়া তখনো দূর থেকে ওদের বাচ্চাটার চেহারা দেখার চেষ্টা করে যাচ্ছে, “কি নিষ্পাপ! কি সুন্দর!” বিড়বিড় করল আরেকবার মারিয়া।
শায়লা আর রেজওয়ান এই বিল্ডিংয়ে উঠেছে ঠিক তিন মাস আগে। তখন শায়লা ছয় মাসের গর্ভবতী। গতকাল হাসপাতালে শায়লার একটি ফুটফুটে মেয়ে হয়েছে। নর্মাল ডেলিভারিতে। তাও একদিন হাসপাতালেই ছিল ওরা। আজ সন্ধ্যায় বাসায় ফিরেছে। তৃতীয় তলায় ওদের বাসা। ওদের মেয়েটাকে দেখতে অন্যান্য ফ্লাট থেকে কয়েকজন প্রতিবেশী এসেছে। শায়লা অবশ্য তার মেয়েকে একবারের জন্যও কোল থেকে নামায়নি। ফুটফুটে মেয়েটা ঘুমোচ্ছে শায়লার কোলেই। রেজওয়ান কেউ খুব বেশি কাছে যাক তার বাচ্চার সেটা পছন্দ করবে না দেখেই শায়লা কাউকে কোলেও দেয়নি বাচ্চাটাকে। সবাই দূর থেকেই অল্প করে চেহারা দেখছে শুধু ফুটফুটে বাচ্চাটার।
রেজওয়ান আর শায়লার পরিবার এতদিন দু’জনেরই ছিল। কোন মুরুব্বি কিংবা আত্মীয় স্বজন নেই ওদের। গতকাল থেকে সেই ছোট্ট পরিবার তিনজনের হয়েছে।
সবাই কিছুক্ষণ থেকে তারপর যে যার বাসায় ফিরে গেল। বের হবার আগে একতলার মহিলা একবার নিচু স্বরে মারিয়াকে উদ্দেশ্য করে রেজওয়ান আর শায়লাকে বলল, “ওই মেয়েটাকে ঢুকতে দেয়া ঠিক হয় নাই তোমাদের বাচ্চা দেখার জন্য। আগে যদি জানতাম ও আসবে আমিই আটকাইতাম। যাক। মেয়ের যত্ন নিও। প্রায় তিন বছর পর এই বিল্ডিংয়ে নতুন কোন বাচ্চার আগমন হইল। সাবধানে থাইকো। দোয়া করি।” বলেই বিদায় নিল মহিলা।
কেন মারিয়াকে ঢুকতে দেয়া উচিত হয়নি তা খোলাসা করে গেলো না মহিলা। রেজওয়ান আর শায়লা কিছুটা অবাক চোখেই তাকালো একে অন্যের দিকে।
——————————————————–
“কি ভীষণ সুন্দর বাচ্চা। কি ভীষণ সুন্দর বাচ্চা। কি মিষ্টি বাচ্চা…!” মারিয়া যেন একটা ঘোরে চলে গেছে। একদম চারতালায় নিজের ফ্লাটে একাকী থাকে মারিয়া। এই ভবনে মারিয়ার বসবার আজ দশ বছর। একটা বেসরকারি এনজিওতে চাকরি করে। পরিবারে কেউ নেই। একাই থাকে। কারো সাথে সদ্ভাব নেই মারিয়ার। কিন্তু একটা জিনিসে ভীষণ দূর্বলতা ওর।
ছোট্ট বাচ্চা।
সুন্দর, ফুটফুটে বাচ্চা।
বিল্ডিংয়ে বাকি বাসিন্দারা আঁচ করতে পারে, মারিয়া ঠিক স্বাভাবিক মানুষ না। তার মাঝে কিছু একটা অস্বাভাবিকতা আছে। কিন্তু সেটা কি তারা তা বুঝতে পারে না। তাই ওকে দেখতেও পারে না। এড়িয়ে চলে।
ওরা না বুঝতে পারলেও মারিয়া জানে, তার মাঝে কোন জিনিসটা সবার থেকে আলাদা।
মারিয়ার একটা ক্ষমতা আছে। এই ক্ষমতাকে সাধারণ মানুষ বলে… নজর!
মারিয়ার নজর খারাপ! ভীষণ খারাপ! এই ক্ষমতাটা সে প্রথমবার টের পেয়েছিল যখন সে একদম ছোট। তার ছোট ভাইয়ের জন্মে পর মারিয়া সব সময় সুযোগ পেলেই দূর থেকে তার ভাইয়ের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকত। সে নিজেও টের পেত না সে কেন তাকিয়ে থাকত। তার দেখতে ভাল লাগতো! তাই তাকিয়েই থাকতো। জিভের নিচে উষ্ণ লালার স্রোত টের পেত যেন সে! তার চোখ দুটো ঘুরঘুর করতো তার ছোট্ট ভাইয়ের টসটসে ফুলো গালদুটোয়, নরম গলায়, ঘনঘন নিঃশ্বাস নিতে বার বার উপর নিচ হতে থাকা বুকটায়।
তারপর একদিন মারিয়া খেয়াল করল, তার ভাইয়ের শরীরটা কেমন যেন শুকিয়ে যাচ্ছে। যেন চোখের পলকে নাদুসনুদুস বাচ্চাটা একটা হাড় জিরজিরে কঙ্কালে পরিণত হল। কতশত ডাক্তার কবিরাজ দেখালো। কতশত ওষুধ খাওয়ালো। কোন কিছুতেই কোন কাজ হলো না।
আর তারপর একদিন সকালে সবাই ঘুম থেকে উঠে দেখল ছোট্ট বাচ্চাটা নিথর হয়ে পড়ে আছে বিছানায়। শরীরটা ধবধবে কাগজের মত ফ্যাকাশে সাদা, যেন একটা কঙ্কালের উপর জড়িয়ে রাখা হয়েছে একটা পাতলা চামড়ার আবরণ।
সেই থেকে শুরু! বত্রিশ বছরের এই জীবনে মারিয়া কতশত বাচ্চার দিকে সেই নজর ফেলেছে সে নিজেও জানে না। শুধু কিছুদিনের মাঝে কানে এসেছে সেই বাচ্চাদের বাবা মায়ের হাহাকার আর আহাজারি!
এই বিল্ডিংয়ে যখন ওঠে মারিয়া, তখন পুরো বিল্ডিংয়ে সাতটা বাচ্চা ছিল। মারিয়া ওঠার মাস দুয়েকের মাঝে প্রত্যেকটা বাচ্চাই এটা সেটা নানা অসুখে মারা গিয়েছে। কেউ জানে না কেন! কেউ জানে না কোন সে অসুখে! কারো কোন ধারণাও নেই।
শুধু মারিয়া জানে। আর কেউ না।
শেষবার যখন এই ভবনে কোন বাচ্চার কান্না শুনেছিল সেটা আজ থেকে তিন বছর আগে। ঠিক রেজওয়ান আর শায়লাদের ফ্লাটেই থাকতো আরেকটা দম্পতি।
জাফর আর বিভা। বিয়ের প্রায় নয় বছর পর প্রথম বাচ্চার বাবা মা হয়েছিল ওরা। এই বিল্ডিংয়ে এসে যখন ওঠে তখন বাচ্চাটার বয়স ছিল সাত মাস। মারিয়া প্রায় ছুটে এসেছিল বাচ্চাটাকে দেখতে!
“কি যে ভীষণ মিষ্টি ছিল!” মারিয়া এখনো যেন কোন অদৃশ্য, অবাস্তব এক স্বাদ পায় নিজের মুখের ভেতর। কিসের স্বাদ এটা? জানে না মারিয়া। শুধু জানে জাফর আর বিভার সেই অতি আদরের বাচ্চা তারপর আর বেঁচেছিল মাত্র তিন সপ্তাহ।
বাচ্চাটা রাত হলেই শুরু করত রক্তবমি! গলাকাটা গরুর মত তড়পাতো বিছানায় পড়ে! তিনতলা থেকে সেই বাচ্চার চিৎকার আর কান্নার আওয়াজ যেন অপার্থিব এক শান্তি দিত চারতলায় থাকা মারিয়াকে। সাথে যুক্ত হত জাফর আর বিভার কান্না!
ডাক্তার, হুজুর, কবিরাজ কিছুই বাদ দেয়নি জাফররা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। শরীরের শেষ রক্তবিন্দুও যেন কেউ চুষে নিয়ে চলে গিয়েছিল বাচ্চাটার শরীর থেকে!
জাফর আর বিভা তাদের বাচ্চাটা মারা যাওয়ার পরদিনই এই শহর ছেড়ে দেয়। সেই থেকে এই ভবন বাচ্চা শূন্য। কেমন একটা ফিসফাস ছড়িয়ে পড়ে এই বাড়ি নিয়ে।
ঐই বাড়িতে বাচ্চা মরে যায়। কেন মরে? কেউ জানে না! দুয়েকজন অবাস্তব কিছু সন্দেহ করে কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীর মানুষদের কাছে সেই শংকা সন্দেহ ধোপে টেকে না। রেজওয়ান আর শায়লা এঔ বাড়িতে ওঠার আগে কয়েকজনই এসব বলেছিল ওদের। দু’জন উচ্চশিক্ষিত, চাকরিজীবী মানুষ পাত্তা দেয়নি এসব কুসংস্কারে।
মারিয়াও তাই নিজের মত করেই থাকে। আর অপেক্ষা করে। বাচ্চার শ্রুতিমধুর কান্না শোনার! গোলাপি লালচে চেহারা দেখার। অবশেষে তার অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটিয়েছে রেজওয়ান আর শায়লার সদ্যজাত বাবুটা।
“কি মিষ্টি! কি সুন্দর!”
মারিয়া নিজের ঘরের মেঝেতে বসে আছে। তার পুরো ঘর অন্ধকার। মারিয়ার দু চোখ বন্ধ। সে ভাবছে শায়লার কোলে থাকা থাকা বাবুটার কথা। রাত দুটো বেজে ত্রিশ। চারপাশ শুনশান, নিরব।
জিভের নিচের সেই উষ্ণ স্রোত আবার টের পাচ্ছে মারিয়া। একটু পরেই সেই স্রোত পরিণত হবে মিষ্টি রক্তস্রোতে। মারিয়া অপেক্ষা আছে সেই স্বাদের জন্য। কিন্তু…
প্রথমবারের মত মারিয়া তার মুখের ভেতর মিষ্টি স্বাদ না, অনুভব করল থকথকে ঘন ভারি কালচে কিছুর স্পর্শ। শিওড়ে উঠল সে। মুখ থেকে একদলা থুতু ছুঁড়ে ফেলল মেঝেতে। চোখ খুলে তাকাতেই চমকে উঠল।
মেঝেতে ফেলা সেই থকথকে থুতুর রং কালচে লাল! যেন একদলা জমাট রক্ত বেরিয়ে এসেছে তার মুখ থেকে। সেই থকথকে লাল থুতুর দলায় কি যেন কিলবিল করছে অনবরত। শায়লা দু চোখ কুঁচকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করল কি সেগুলো… তারপর প্রচন্ড অবিশ্বাস মাখা চোখে দেখল, কিলবিল করতে থাকা জিনিসগুলো হচ্ছে ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চার শরীর!
অসংখ্য বাচ্চার শরীর পোকার মত কিলবিল কিলবিল করতে বেরিয়ে এলো সেই জমাট রক্তের দলা থেকে। একটা… দুটা… দশটা… একশোটা… হাজারটা… অসংখ্য!
জীবনে প্রথমবার একটা অচেনা অনুভূতি টের পেল মারিয়া। তার ঘাড়ের রোমগুলো সব খাড়া হয়ে গেছে! জায়গা থেকে নড়তে পারছে না এক সুতো। রক্তের দলা থেকে বেরুতে থাকা অজস্র ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চার শরীর এবার মারিয়াকে ঘিড়ে পাক খেতে লাগলো। গোল গোল, মারিয়া ঠিক সেই ঘূর্ণির কেন্দ্রে বসে আছে। সে নড়তে পারছে না। চোখের পাতা ফেলতে পারছে না।
অসংখ্য সেই বাচ্চার শরীরগুলো হঠাৎ সব একসাথে চিৎকার করে কেঁদে উঠল! যে কান্নার আওয়াজ আগে মারিয়ার কাছে অমৃত লাগত, সেই আওয়াজ এখন সে সহ্য করতে পারছে না! তার কানের পর্দা ফাটিয়ে মস্তিষ্কের ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেছে সেই কান্নার আওয়াজ! মারিয়া আর নিতে পারছে না! তার মনে হচ্ছে দু চোখ ফেটে বাইরে চলে আসবে যে কোন সময়!
বাচ্চাগুলো তাদের পিচ্ছিল শরীর গুলো মেঝেতে হেঁচড়ে হেঁচড়ে নিয়ে আসতে লাগল মারিয়ার দিকে। মারিয়া তারপরেও নিজের জায়গা থেকে নড়তে পারলো না! সবগুলো বরফের মত ঠান্ডা হাজার হাজার ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের রক্তমাখা শরীর যখন মারিয়াকে একটা অজগর সাপের মত প্যাঁচ দিয়ে ধরল, মারিয়ার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসতে লাগল। ওই অবস্থায় দেখতে পেল তার ঠিক সামনে দাড়িয়ে আছে একটা ছোট্ট বাচ্চা।
এই বাচ্চার চেহারা মারিয়া চেনে! গত সন্ধ্যায় দেখে এসেছে এই চেহারা….!
বেশিক্ষণ ভাবতে পারল না আর মারিয়া। সারা শরীর বেয়ে অজস্র জোঁকের মত ছেয়ে থাকা বাচ্চা শরীরগুলো মারিয়ার হাঁ করা মুখ, চোখ, নাক, কান দিয়ে ঢুকে যেতে শুরু করল মারিয়ার সারা শরীরে…!
কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে মারিয়া যেন অনুভব করল নিজের হৃৎপিণ্ডের উপর অসহনীয় চাপ পড়ছে বুকের ভেতর! তার খোলা চোখ, মুখ, কান দিয়ে রক্তের ফোয়ারা ছুটলো… কয়েক মুহূর্ত ধরফর করে নিস্তেজ হয়ে গেল মারিয়ার শরীরটা।
————————————————————————–
“লাশটা কোথায় কবর দিবে?”
“কবরস্থানেই নিয়ে যাব।”
“জানাজা?”
“নাহ। সদ্য জন্ম নেয়া মৃত শিশুর জানাজা লাগে না!”
রেজওয়ানের শীতল গলা। তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে শায়লা।
ওরা তাকিয়ে আছে মারিয়ার মৃতদেহ নামাতে থাকা পুলিশের লোকগুলোর দিকে। গতরাতে মারিয়া নিজের ঘরে বিভৎসভাবে খুন হয়েছে! মারিয়ার শরীরটা কয়েকশো খন্ডে টুকরো টুকরো হয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল পুরো ঘরের মেঝেতে!
কেউ জানে না কি হয়েছিল! পুলিশ তাদের ইনভেস্টিগেশন চালাতে থাক। ধীর পায়ে ঘরে ঢুকলো রেজওয়ান আর শায়লা। তাদের দৃষ্টি বিছানায় শুইয়ে রাখা তাদের সদ্যজাত বাচ্চার দিকে…!
নাহ।
এটা তাদের বাচ্চা নয়।
বিছানায় পড়ে থাকা ওই শরীরটা একটা মৃত বাচ্চার শরীর! গতকাল এই মৃত বাচ্চার শরীরটা হাসপাতালের মর্গ থেকে নিয়ে এসেছিল ওরা দুজন।
তিন মাস আগে যখন রেজওয়ান আর শায়লা এই বিল্ডিংয়ে ওঠে তখন শায়লা প্রেগন্যান্ট ছিলো না। সবটাই ছিল অভিনয়। তিনমাস গর্ভবতীর অভিনয় করে সবার বিশেষ করে মারিয়ার বিশ্বাস জিতে নেয় ওরা। আর তারপর গতরাতে নিয়ে আসে সেই মৃত বাচ্চা শরীরটা। যাকে দূর থেকে দেখে কেউই ধরতে পারেনি বাচ্চাটা মৃত!
ওরা জানত, মারিয়া আসবে। ওরা জানত মারিয়া বাচ্চার দিকে নজর ফেলবে। ওরা জানতো মারিয়ার সেই নারকীয় নজরের অশুভ ছায়া এই বাচ্চার উপর ফেলবেই।
ঠিক যেমনটা ফেলেছিল তিন বছর আগে রেজওয়ানের ভাই জাফর আর ভাবি বিভার সাত মাস বয়সী বাচ্চাটার উপর!
অন্ধকারকে অন্ধকার দিয়েই তুলতে হয়। রেজওয়ান আর শায়লা যখন মারিয়া সম্পর্কে সবকিছু খুঁজে বের করে জেনেছিল, তখনই ঠিক করেছিল, এক সদ্য জন্ম নেয়া মৃত বাচ্চার উপর যখন মারিয়ার সেই অশুভ নজর পড়বে… মৃত্যু তখন মারিয়াকে ছাড়বে না। কখনোই না!
আর তাই সেই মৃত বাচ্চার আত্মার উপর অজান্তেই মারিয়ার বিষাক্ত নজর, গত রাতে খুলে দিয়েছিল নরকের দরজাটাকে…! আর মারিয়াকে টেনে নিয়ে গিয়েছে সেই অতল গহীন নরকের অন্ধকারে!