“মিঃ আরাফ আপনি প্রেগন্যান্ট।
ডক্টরের এমন অত্যাশ্চর্য জনক উদ্ভট বানী শুনে হতভম্ব হয়ে গেল আরাফ এবং ওর স্ত্রী ফারিয়া।
কিছুদিন যাবৎ শরীর খারাপ যাচ্ছিল আরাফের।
পেট ব্যাথা আর বমি হচ্ছিল।
তাই বউয়ের জোরাজুরিতে ডক্টরের কাছে এসেছিল পরশুদিন। ডক্টর কিছু টেস্ট দেয়।
আজ সেই টেস্টের রিপোর্ট দেখাতে এসেছিল তারা।তখনই ডক্টর রিপোর্ট দেখে উপরক্ত কথাটি বললো।
যা শুনে দুজনই মানবমূর্তি আকার ধারণ করলো। কিছুক্ষণ পর আরাফ নিজেকে একটু সামলে নিয়ে বললো।
–এক মিনিট ডক্টর! আপনি বোধহয় মিসেস আরাফ বলতে চাইছেন তাইনা? তার মানে কি আমার ওয়াইফ প্রেগন্যান্ট?
–জ্বি না মিঃ আরাফ, আমি ঠিকই বলেছি। আপনার ওয়াইফ না আপনি নিজেই প্রেগন্যান্ট।
–হোয়াট????? হোয়াট রাবিশ ইজ দিস? হ্যাভ ইউ গন ম্যাড ডক্টর। আমি, আই মিন আমি কিভাবে? হাউ ইজ দিস পসিবল?
–দেখুন রিপোর্টে যা দেখতে পারছি সেটাই বলছি। আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনি চাইলে অন্য কোন ডাক্তার কেউ এই রিপোর্ট দেখাতে পারেন। তবে তারাও একই কথা বলবে। আপনি সত্যিই প্রেগন্যান্ট।
নেক্সট পর্ব মিস করতে না চাইলে চাইলে আমাকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিন ধন্যবাদ এবং ফলো করুন
ব্যাস এবার মূর্ছা যাওয়ার উপক্রম আরাফের। মস্তিষ্কের মাঝে যেন গ্রেনেড হামলা শুরু হয়ে গেল।
চোখ দুটো কোটর থেকে স্প্রিং এর মতো লাফিয়ে বেড়িয়ে পড়লো যেন। ও কি পৃথিবীতে আছে নাকি মঙ্গল গ্রহে চলে এসেছে বুঝতে পারছে না।
ও স্বপ্ন দেখছে। হ্যাঁ এটা নিশ্চয় স্বপ্ন। এটা সত্যি হতেই পারে না।
এখুনি হয়তো ঘুম ভেঙে গেলে এসব মিথ্যে হয়ে যাবে। কিন্তু না তা হলো না।
ওকে বাস্তবের আয়না দেখিয়ে ডক্টর বলে উঠলো।
–দেখুন সবকিছু আল্লাহর হাতে।
তিনি সবকিছুর উর্ধ্বে।
তার সামনে কোনো সাইন্স চলে না।
দুনিয়াতে প্রায়ই এমন অনেক অস্বাভাবিক আশ্চর্যজনক ঘটানা হয়। হয়তো আপনার সাথেও এমন কিছু হয়েছে।
–ডক্টর রিপোর্ট ভুল আসেনিতো?
–একদমই না। রিপোর্ট ভুল আসার কোন কারণই নেই। তাই এটা মেনে নিয়ে সামনে কি করবেন সেটা ভাবুন।
এতক্ষণে আরাফের স্ত্রী ফারিয়া বললো।
–সামনে কি করবেন মানে? এতে করার কি আছে? সবাই যা করে তাই করবো।
আরে কত বছর ধরে আমরা বাচ্চার জন্য ট্রাই করে যাচ্ছি। আজ এতবছর পর আমাদের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। এরচেয়ে আর খুশি কি হতে পারে।
বাচ্চা যার মাধ্যমেই আসুক না কেন।
সে আসছে যে এটাই তো বড়ো কথা। আপনি শুধু বলুন প্রেগন্যান্সিতে কি কি খেতে হবে আর কিভাবে চলতে হবে। বাকিটা আমি দেখে নিবো।