বেইমান জামাই পর্ব / ০২

রুনাকে এখন বিয়ে দেবো না আমি
ওর লেখাপড়া শেষ হোক তারপর রুনাকে বিয়ে দেবো
রুনার বাবার কথা শুনে রুনার মা বলল
তুমি অনেক বেশি বোঝো
এত সুন্দর একটা ছেলে তুমি হাতছাড়া করলা ।
কিছুদিন পর সুমনের বাবা ফোন করলো
ভাইসাহেব কিছু বললেন না যে আর
আমরা তো আপনাদের ফোনের অপেক্ষায় আছি।
রুনা বাবা বলল
আমাদের মেয়েকে এখন বিয়ে দেবো না
রুনা এখন বয়স কম
ওর পড়াশোনা শেষ হয়নি
আপনারা কিছু মনে করবেন না
আপনার ছেলের জন্য অন্য জায়গায় মেয়ে দেখেন
এটা বলে রুনার বাবা ফোন কেটে দিল ।
সুমনের বাবা সুমনকে ফোন করে সব কিছু বলল
সুমনের বাবার কথা শুনে সুমনের মন খারাপ হয়ে গেল
বাবা আমি এতকিছু বুঝি না
তুমি যে করে পারো যেভাবে পারো
রুনাকে আমার লাগবে আমি ওকে বিয়ে করতে চাই
তুমি কিছু একটা করো বাবা।
সুমনের বাবা বলল
আচ্ছা তুই টেনশন করিস না
আমি ওদের বাসায় যাব কালকে
রুনার বাবাকে আমি অনেক বুঝাবো দেখে উনাদেরকে রাজি করাতে পারি কিনা।
পরদিন সকালে সুমন ও তার বাবা আসলো
রুনার বাবাকে অনেক রিকোয়েস্ট করল
অনেক বুঝালো তাও রুনার বাবা রাজি হয় না ।
সুমন রুনার বাবা পায়ে ধরে বলল
আমি রুনাকে অনেক সুখে রাখবো
ওর গায়ে আমি কখনো হাত তুলবো না
রুনাকে আমি কখনো কষ্ট দেবো না ।
আপনি আমাকে বিশ্বাস করেন
আমি রুনাকে অনেক সুখে রাখবো কথা দিলাম ।
রুনার মা বলল
উনারা যখন এত রিকোয়েস্ট করতাছে
তাহলে উনাদের আর ফিরিয়ে দিও না ।
রুনার বাবা বলল
আমরা রাজি হলে তো হবেনা
রুনার তো রাজি হতে হবে
মেয়েটার তো পছন্দ অপছন্দ থাকতে পারে
মেয়েটা চায় পড়াশোনা করতে ।
রুনা মা বলল
তুমি ওকে একটু বুঝালে ও রাজি হয়ে যাবে
আমি জানি তোমার কত রুনা ফিরাবে না ।
রুনার বাবা বলল
আচ্ছা ঠিক আছে আমি ওর সাথে কথা বলে
আপনাকে আমি জানাবো
আমার অনেক আদরের মেয়ে
ছোট থেকে রুনাকে আমি আদর করে আসছি
ওর শরীর কখনো হাত তুলে নাই আমি।
রুনা ইস্কুল থেকে বাসায় আসলো
রুনার বাবা বলল
সুমনেন বাবা আর সুমন আজকে আসছিল
এসে অনেক রিকোয়েস্ট করতাছে
তোকে নাকি উনাদের অনেক পছন্দ হয়েছে
তোকে বউ করে নিয়ে যেতে চায় উনারা ।
আমি ওনাদের বলছি
যদি আমার মেয়ে রাজি থাকে
তাহলে আমি আপনার ছেলের সাথে বিয়ে দেব ।
এখন তোর মতামত কি
আমি তোকে জোরাজুরি করব না
তোর ইচ্ছায় বাইরে আমি যাবো না ।
রুনা বলল
তোমার যদি এ বিয়েতে মত থাকে
তাহলে আমি আর না করবো না
তোমাদের সবার খুশিতে আমি খুশি ।
রুনার কথা শুনে
সবাই খুশি হলো ।
ছোটখাটো একটা অনুষ্ঠান করে
রুনার আর সুমনের বিয়েটা হয়ে গেল
বিয়ার সাত দিন পর্যন্ত যশোর ছিল
তারপর দুজনে ঢাকায় চলে আসে ।
বিয়ের ২১ দিন মাথায়
সুমন রুনা কে বলল ।
দেখো ঢাকা শহরে থাকতে হলে অনেক খবর আছে
আমি বলতে চাচ্ছিলাম কি
তুমি আমি যদি একসাথে চাকরি করি
তাহলে আমরা গ্রামের বাড়িতে একটা
সুন্দর একটা ঘর তুলব।
আর কিছু জমিজমা কিনব
ঢাকা শহরে আমরা কি সবসময় থাকবো
গ্রামে একটা জমি কিনতে পারলে
আমরা ওখানে চাষ করবো আর গ্রামে থেকে যাব
ঢাকা শহরের থাকতে মন চায় না ।
তুমি কি বলো
রুনা বলল
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যা বলো তাই হবে
রুনা চাকরিতে জয়েন করলো
যখন রুনা বেতন পেল
সুমন রুনার সব টাকা নিয়ে নিল ।
রুনার প্রতি মাসের বেতনের টাকা
সুমন নিয়ে নিত্য রুনার হাত খরচের জন্য অল্প কিছু টাকা দিত যা কিনা রুনার কিছু হতো না ।
এভাবে প্রায় এক বছর কেটে গেল
রুনা এখন পেগনেট
তাই রুনার কাজ করতে পারে না ।
রুনা বাবার বাসায় চলে আসলো ভৈরব
কিছুদিন যাওয়ার পর
রুনার একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান হল ।
রুনা বাবার বাসায় ৩ মাস ছিল
তারপর সুমন আসলো রুনাকে নেয়ার জন্য
তারপর দুজনে ঢাকা চলে গেল
রুনা বাসায় এসে দেখে
সবকিছু এলোমেলো যা আগে কখনো এরকম ছিল না
রুমের এই অবস্থা দেখে
রুনার মনে একটু সন্দেহ জাগলো।
সুমন অফিসে চলে গেল
রুনা ঢাকা যেখানে থাকতো
সেখানে একটি মেয়ের সাথে রুনার ভালো সম্পর্ক হয়
মেয়েটি কে রুনা বলল
আমার কেন যেন একটা সন্দেহ হচ্ছে
আমি যখন বাসায় ছিলাম না
হয়তো সুমন অন্য একটা মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসতো
তুমি কি এমন কিছু দেখেছো ।
মেয়েটি বলল হ্যাঁ
তুমি যখন বাসায় চলে গেছো
তখন সুমন ভাই একটি মেয়েকে প্রায় বাসায় নিয়ে আসতো রাতের বেলা ।
সুমন ভাই রাতের বেলা ওই মেয়েটিকে কেন বাসায় নিয়ে আসতো তা হয়তো তোমাকে খুলে বলতে হবে না
তুমি সুমন ভাইকে কতটা ভালোবাসো
আর সে কিনা অন্য আরেকটি মেয়েকে নিয়ে সে
রাত কাটা তো।
সত্যি সুমন ভাই এত জঘন্য একটা লোক
তা আমি কল্পনাও করি নাই
তোমাকে যে আমি এ কথাগুলো বলছি
তুমি কিন্তু সুমন ভাইকে বলো না
তাহলে ও আমার ক্ষতি করে দিবে ।
মেয়েটার কথা শুনে রুনার মাথা ঘুরে গেল
রুমে এসে রুনা চিন্তা করতে লাগল
আমি এটা কি করলাম
আমি কি তাহলে ভুল মানুষকে ভালবাসছি
যার জন্য আমি কত কিছু নিয়ে করলাম
আর সে কিনা অন্য একটা মেয়ের সাথে ।
এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর
সুমনের আরেকটি গোপন তথ্য জানতে পারলো রুনা

Be the first to write a review

Leave a Reply

We’re sorry you’ve had a bad experience. Before you post your review, feel free to contact us, so we can help resolve your issue.

Post Review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক গল্প