বেইমান জামাই প্রথম পর্ব / ০১

মেয়েটির নাম রুনা
মেয়েটির বাড়ি হচ্ছে ময়মনসিং ভৈরব
ছেলেটির নাম সুমন
ছেলেটির বাড়ি হচ্ছে যশোরে
রুনা তার খালা বাসায় বেড়াতে আসে গাজীপুরে
সেখানে সুমন রুনাকে দেখে পছন্দ করে ।
সুমন গাজীপুর চাকরি করতো
রুনাকে দেখে সুমনের অনেক পছন্দ হয়
রুনা গাজীপুর কিছুদিন থেকে বাসায় চলে আসে ।
কিছুদিন পর
রুনার খালার সাথে সুমন দেখা করে
আপনার বোনঝি কে আমার পছন্দ হয়েছে
আমি রুনাকে বিয়ে করতে চাই
যদি আপনাদের কোন আপত্তি না থাকে ।
রুনার খালা বলল
দেখো আমি তো ওর গার্জেন না
ওর বাবা মা আছে ওর বাবার সাথে কথা বলতে হবে
আর তোমাকে তো আমি চিনি না ।
তোমাকে মাঝে মাঝে এই রাস্তা দিয়ে যেতে দেখি
তুমি কোথায় চাকরি কর ।
সুমন বললো
আমার বাসা যশোর
আমি এখানে একটা গার্মেন্টসে চাকরি করি
আমাদের ফ্যামিলিতে
বাবা মা ছোট ভাই এবং ছোট বোন আছে ।
আমার ফ্যামিলি থেকে আমার জন্য মেয়ে দেখতাছে
কিন্তু রুনাকে দেখে আমার ভালো লাগছে
তাই আমি সরাসরি আমার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসছি
আমাকে যৌতুক হিসেবে কিছু দিতে হবে না
শুধু রুনার আমার সাথে বিয়ে দিলে হবে ।
যদি আমাদের বিয়ে হয়
তাহলে রুনা কে নিয়ে আমি এখানেই থাকবো
সুমনের কথা শুনে
রুনার খালার পছন্দ হয় সুমনকে ।
রুনার খালা বলল
আচ্ছা ঠিক আছে আমি রুনার বাবা মার সাথে কথা বলে তোমাকে জানাবো দেখি উনারা কি বলে
আর তোমার মোবাইল নাম্বারটা দিয়ে যাও
যদি ওনারা রাজি হয় তাহলে তোমাকে আমি ফোন
করে জানাবো ।
রুনার খালা রুনার মার কাছে ফোন করে
আমার কাছে ভালো একটি পাত্র আছে
ছেলেটি দেখতে শুনতে অনেক ভালো
ছেলেটির রুনাকে দেখে পছন্দ করছে
ছেলেটি বলছে ওর কিছু দিতে হবে না ।
ছেলেটি আমাদের এখানে চাকরি করে
আমাদের এখান দিয়ে আসা যাও করে
দেখে মনে হল ছেলেটি ভালো ।
রুনার মা বলল
আচ্ছা ঠিক আছে আমি রুনার বাবার সাথে কথা বলে তাকে ফোন করে জানাবো ।
রাতে বেলা ঘুমানোর সময়
রুনার মা রুনার বাবাকে বলল
আমার ছোট বোন ফোন করছিল
ওর ওখানে নাকি ভালো একটি পাত্র আছে
রুনাকে দেখে ছেলেটি পছন্দ হয়েছে
ছেলেটি বলছে যৌতুক হিসেবে কিছু দিতে হবে না ।
রুনা বাবা বলল
আমার মেয়ে এখনো অনেক ছোট
ও ক্লাস 7 পড়ে
ওর বয়স এখন ১৩ বছর চলে
এই বয়সে কি আমার মেয়েকে বিয়ে দেবো ।
রুনার মা বলল
তাতে কি হইছে মেয়েদের বেশি পড়ালেখা করাতে হয় না যত তাড়াতাড়ি বিয়ে দেবো ততই ভালো হয় ।
আর ছেলেকে তো আমাদের কিছু দিতে হবে না
এমন ছেলে হাতছাড়া করা ঠিক হবে না
ঢাকায় চাকরি করে অনেক টাকা ইনকাম করে।
রুনার বাবা বলল
আচ্ছা ঠিক আছে তোমার যা খুশি তুমি তাই করো
পরের দিন সকালে ফোন করলো রুনার খালার কাছে
রুনার বাবা রাজি হইছে তুই ছেলেকে বল ওর ফ্যামিলি নিয়ে আমাদের বাসায় আসতে ।
রুনার খালা সুমনকে ফোন করে
সবকিছু খুলে বলল আর রুনার বাসা ঠিকানা দিয়ে দিল
সুমন গ্রামে ফোন করে
বাবা-মা এবং বোনকে আসতে বলল
সবাইকে নিয়ে রুনার বাসায় চলে গেল বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে ভৈরব।
দুই ফ্যামিলি একসাথে বসে কথা বলল
সুমনের বাবা বললো
আপনাদের মেয়েকে নিয়ে আসেন আমরা দেখি ।
এদিকে রুনার বিয়ে করার কোন মত নেই
রুনা কিছুতে উনাদের সামনে যেতে চায় না
রুনার মা অনেক রিকোয়েস্ট করলো
কিন্তু রুনা রাজি হয়না ।
তারপর রুনার বাবা আসলো
রুনাকে নেওয়ার জন্য
তারপরও রুনা যাবেনা তাদের সামনে
রুনার বাবা বলল
দেখ মা উনারা অনেক দূর থেকে আসছে
তুই আমাদের সাথে একবার চল
পড়ে না হয় আমরা উনাদেরকে ফোন করে না করে দেবো আমাদের মেয়েকে বিয়ে দিব না ।
বাবার কথামতো
রুনা রাজি হল যাওয়ার জন্য
রুনাকে দেখে সুমনের বাবা-মার সবার পছন্দ হলো
সুমনের বাবা বলল
আপনাদের মেয়েকে আমাদের অনেক পছন্দ হইছে
যদি আপনার রাজি থাকেন
তাহলে খুব শীঘ্রই আমরা রুনাকে বউ করে নিয়ে যাব
আমাদের কিছু দিতে হবে না
শুধু আপনাদের মেয়েকে আমার ছেলের
বউ হিসেবে দিলেই চলবে
রুনার বাবা বলল
আচ্ছা ঠিক আছে আমরা আপনাদেরকে ফোন করে পরে জানাবো আমাদের মতামত ।
তারপর সুমনের ফ্যামিলির সবাই চলে গেল
রুনার মা বলল
ছেলেদের ফ্যামিলি আমার পছন্দ হয়েছে
রুনাকে সুমনের সাথে ভালো বানাবে
রুনার বাবা বলল
দেখো রুনার এই বিয়েতে রাজি না
এবং রুনার ভাইয়েরও এই বিয়েতে রাজি না
রুনা চায় পড়াশোনা করতে ।
তাই আমি ডিসিশন নিয়েছি
রুনাকে এখন বিয়ে দেবো না আমি
ওর লেখাপড়া শেষ হোক তারপর রুনাকে বিয়ে দেবো

Be the first to write a review

Leave a Reply

We’re sorry you’ve had a bad experience. Before you post your review, feel free to contact us, so we can help resolve your issue.

Post Review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক গল্প