রিমার সাথে কথা শেষ করে husband কে phone দিলাম।ask করলাম important meetingকেমন হলো?সে বললো সে এখন যাচ্ছে।অামি বললামall the best.bye. বুকের ভিতর অনেক ব্যাথা করছে।জানিনা কি করবে।রিমাকে ফোন দিয়ে বললাম তুই তাকে বিয়ের কথা বলবি।।।অার যা যা বলেছি মনে রাখিছ।সে যেন বুঝতে না পারে তুই বিথীনা।রিমা বললো তুই line এ থাক দুলাভাই চলে অাসছে।রিমা সুন্দরী অাছে। সে তাকে দেখে মুগ্ধ। বললো ঠিক করেছ তোমার pic দেওনি।তাহলে সবায় ভালবেসে ফেলতো।অার অামি চাইনা অামার ভালবাসার মানুষ কে অন্য কেউ দেখুক। তার ভালবাসার কথা বলা শুরু করলো।রিমা ask করলো অামি তোমার জীবনে কত তম ভালবাসা?সে নিঃসন্দেহে বললো প্রথম। তারপর রিমা বিয়ের কথা তুললো।বললো এখনতো অামাকে দেখেছো ভালো লেগেছে তোমার কবে বিয়ে করবে?বিয়ের কথা শুনে কিছুটা ধাক্কা খেল।বললো বিয়ে অারো ৫ বছর পর করবো।এখনতো বড় ভাই য়ের বিয়ে হয় নি।তার হলে পরে অামার।রিমা বললো অামার বাসায় এতো time দিবে না।যা করার তাড়াতাড়ি করো।সে শুধু কথা ঘুরাচ্ছিল।অামি কথা শুনতে শুনতে সিড়ি দিয়ে সাধে উঠছিলাম হঠাৎ মাথা ঘুরে পরে গেলাম।পাশের বাসার ভাবি আমার husband কে phone দিল…সে শুনার সাথে সাথে ভাল করে রিমাকে বিদায় না দিয়েই চলে অাসলো।অামি হসপিটালের বেডে শুয়ে ছিলাম।অাম্মু অাব্বু অাসলো।একটু পর অামার husband ও চলে অাসলো।তার চোখে পানি।কি হলো কিভাবে হলো হাজারো প্রশ্ন।অামি বললাম তেমন কিছু হয় নি।পা মচকে গেছে। ১৫ দিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।অামার হাত ধরে কান্না করছে।অনেক ভালবাসা দেখাচ্ছে।কেন জানি অামার এখন তার সব কিছুই অভিনয় মনে হয়।অাব্বু আাম্মু অামাকে বাসায় নিয়ে যায় কেননা সে সারাদিন অফিস থাকে ডাক্তার অামাকে বেড rest এ থাকতে বলছে।বাসায় গেলাম।তার সাথে বিথী সেজে কথা বলি অার ভাবি তাকে divorce দিব।অার mentally torture নিতে পারছিনা।২দিন পর বাসায় কেও অাসলো।
অামার রুমে অাম্মু রিমাকে নিয়ে অাসলো।অামি একটু অবাক হয়ে বললাম তুই অাচ্ছিস।
রিমাঃকাল চিটাগং চলে যাচ্ছি। তোকে দেখতে অাসলাম।
অামিঃভাল করেছিস বস।
রিমাঃকি করবি ভাবছিস?
অামিঃহ্যা divorce দিয়ে দিব।অার পারছিনা।কষ্ট হচ্ছে।
রিমাঃকিছু কথা বলার ছিল রাগ করিছ না।
আমিঃবল।।।
রিমাঃশুন নিজের যত্ন নে।তোর চেহারার দিকে তাকালে খুব কষ্ট হয়।লাস্ট কবে অায়না দেখেছিস?দেখ তোর চেহারা দেখে মনে হয় কতদিন খাবার খাচ্ছিস না।
আমিঃনা পেচিয়ে direct বলতো কি বলবি?
রিমাঃদোস্ত যা হয়েছে সব ভুলে যা।ভাইকে একটা চান্স দিয়ে দেখ।শুন সব কিছুর সমাধান divorce না।তোর বাপ মা তোর সাথে থাকবে সবসময়।কিন্তুু ভিতর ভিতর অনেক tension করবে।পাড়া প্রতিবেশি… relatives রা তোর সামনে খুব করুনা দেখাবে।অার পিছনে গিয়ে তোরি দূর্নাম করে বেড়াবে। তোর only ২২বছর।সামনে কত সময় পরে অাছে।aunty uncle তোর বিয়ের কথা ভাববে সাভাবিক।কিন্তুু পরে যাকে বিয়ে করবি সে এমন হবেনা..গ্যারান্তি দিতে পারবি?
অামিঃতুই কি বলতে চাচ্ছিস?যে এতো অভিনয় করলো অামার trust নিয়ে খেলা করলো তাকে অারেক চান্স দিব?কতো কষ্ট হচ্ছে অামার তুই বুঝবিনা।তোর সাথে দুলাভাই এমন কিছু করলে তুই মাফ করে দিতি?
রিমাঃদোস্ত অামি যা করতাম তাই তোকে বলছি।তুই আমার best frnd like as sister…. সবার ভালবাসা এক হয় নারে।এটাই বাস্তবতা।তোর husband তোকে ভালবাসে ঠিকই।ঐ দিন যখন ফোন অাসছিল তুই ব্যাথা পায়ছিস সে অামার কাছে শুধু বললো imaregency কাজ অাছে।।।।। বিদায়ও বলেনি।অার তাকে অনেকবার বিয়ের কথা বললাম সে হাজার বাহানা অার ignore করলো।তার মনে বিথীর জন্য কোন ভালবাসা নেই। just time pass করতে চেয়েছিল।
আমিঃtime pass?how funny! কেন এমন করবে?এক বউ দিয়ে তার হচ্ছিল না। অামাকে বললে নিজ ঠেকে সরে যেতাম।তোর মনে হচ্ছে অামিই খারাপ।কেন পরীক্ষা নিলাম।সত্যি বলছি।অামি ভেবেছিলাম অামি হেরে যাবো।সে বিথীকে বলবে সে বিবাহিত। অামি কি এমন চেয়েছি?ভেবেছি সে বলবে তার বউকে সে ভালবাসে।এটা কি অপরাধ। কোন unknown ছেলে অামাকে knockকরলে অামিতো বলি অামি বিবাহিত।অামিতো তার মতো প্রেম করে বেরাইনা।
রিমাঃদোস্ত ছেলে ছেলেই হয়।সে কারো husband bf যাই হোকনা কেন।বেশিরভাগ ছেলেরাই এমন।এর জন্য অামাদের মেয়েদের carefully হতে হবে।এখন তুই রেগে অাছিস।একটা কথা রাগের মাথায় কোন সিদ্ধান্ত নিস না।ভাব কিছু দিন।অার দেখ তার কাছ থেকে সব কিছুর password চাবি।দেখ কি করে…
অামিঃএটা কিভাবে চাইবো?
রিমাঃতোর মাথায় ভালো বুদ্ধি।। কোন না কোন উপায় পাবি।অামি তাহলে অাছি।ভাল থাকিস।
অামিঃপরে অামি সব জানাবো তোকে।
রিমা চলে যাওয়ার পর তার কথা গুলো অামাকে ভাবাচ্ছে।সে যা বলেছে কেন জানি ঠিক লাগছে।পা ভালো হওয়ার পর অামি আমার husband এর কাছে চলে গেলাম।বাসায় থাকাকালীন time তার বিথী হয়ে তার সাথে কথা বলতাম।বসে সে টিভি দেখছে হঠাৎ এক group এ post দেখলাম ছেলেদের facebook password চাওয়া মানে তার কাছে কিডনি চেয়ে নেওয়া।অামি তাকে post তা দেখালাম অার হাসতে হাসতে বললাম কি থাকে তোমাদের fb তে।সে বললো এগুলো অাজাইরা কথা।আমি বললাম আজাইরা কথা হলে দেও তোমারটা।সে কোন ভাবেই দিচ্ছে না।রাগ করে রান্নাঘরে চলে গেলাম।রান্না বসাতে। সে ফোনে ব্যস্ত।ভাবছি অার না।হঠাৎ পিছন থেকে জরিয়ে ধরে বললো।তোমার password চাই?এই নেও।অামি phone নিলাম। সব কিছুই চেক করলাম। বিথীর sms কেটে দিসে।ভাবলাম no problem. সেwashroom এ গেলে বিথীর id তে ঢুকে sms করবো।রাতে ঘুমানোর অাগে washroom এ গেলে অামি বিথীর id তে ঢুকি।তার sms sry আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারবোনা।ভালো থেকো।লেখেই block… অামি অবাক তাহলে কি রিমার কথা সত্যি সে শুধু time pass করছিল।তাও কেন জানি সাভাবিক হতে পারছিলাম না।কিছুদিন ধরেই মাথা খুব ভারি ভারি লাগে।ভাবলাম tension জন্য may be.তাকে বলার সাথে ডাক্তার এর কাছে নিয়ে গেল। ডাক্তার বললো i m 2 months pregnant… এই কথা শুনে তার খুশির কূল কিনারা নেই।অামার অনেক যত্ন নেওয়া শুরু করলো। জানিনা কেন জানি অাগের মতো ভালবাসতে পারিনা।শুধু সব take care ভালবাসা সবই মিথ্যা মনে হয়।১০ মাস পর অামাদের ছেলে সন্তান পৃথিবীতে অাসলো। সে অনেক খুশি।অফিসে গিয়েও imo তে একটু পর পর ভিডিও ফোন দেয় ছেলেকে দেখার জন্য।৩মাস পর থেকে সে রাতে ছেলেকে তার বুকের উপর ঘুম পারিয়ে ঘুমায়।ছুটির দিনে সে প্রসাব পায়খানার সব কাপড় ধুয়ে দেয়।সে বলে যেহেতু অামার ছেলে তার দাদা দাদির অাদর পাবেনা।তাই তাদের ভাগের অাদরটা অামি একাই করবো।অামার খুব ভালো লাগে এই ভেবে হয়তো অামাকে ভালবাসাটা তার অভিনয় হতে পারে।কিন্তুু বাবা ছেলের ভালবাসাটা সত্যি। ২বছর ধরে তার fb password অামার কাছে।সে change ও করেনি।অামি প্রায় ঢুকেই চেক করি।জীবনের সব থেকে কষ্টের সময় সেই তিন মাস এগারো দিন।যতদিন বেচে থাকবো সেই কষ্টগুলোর কথা ভুলতে পারবোনা।অাগের মতো বিশ্বাস অার ভালবাসতে পারবো না।কিন্তুু ছেলে অার তার ভালবাসা দেখে অামি মুগ্ধ।তাদের ভালবাসার জন্য সব ভুলে এক সাথে অাজীবন থাকতে চাই।কিন্তুু একটা কথা সত্যি।অামার ভালবাসার পরীক্ষায় ভালবাসাটা হারিয়ে গেছে।অার কখনো পাবো কিনা জানিনা।হয়তো সময়ের সাথে সাথে কষ্ট কমে যাবে।