খুব বিপদে পরছি দোস্ত। একটু হেল্প কর না।
কি!!! কি বিপদ?
আমাকে আজ রাতটা তোদের বাসায় একটি থাকতে দিবি??
।
হোয়াট!!! তুই……..
।
প্লিজ এখন কোন প্রশ্ন করিস না।
পরে সব বলবো তোকে।
।
আচ্ছা তুই কোথায় আছি বল। আমি আমাদের ড্রইভারকে পাঠাচ্ছি।
।
একটু পর একটা ব্লাক কী কালারের গাড়ি এসে দাড়ালো আমার সামনে। আমিও উঠে পরলাম।
।
তানিয়ার বাসায় পৌচ্ছে দেকি তানিয়া আমার জন্য বসে আছে।
।
আমাকে দেখে বললো কি হয়েছে তো??
।
সব কিছু খুলে বললাম তানিয়া কে।
।
তারপর তানিয়া আমাকে নিয়ে একটা রুম গিয়ে বললো,,, এখানে আজ রাত টা ঘুমাও। কাল দেখছি কি কার যায়।
।
ধন্যবাদ….. টেনশন করিস না। আমি কালকেই দিনাজপুর চলে যাবো(দিনাজপুর এ আমার বাসা)
।
চুপ……. কোন কথা বলবি না। যা গুমিয়ে পর। আর হ্যা মাইশাকে নিয়ে আর ১ মিনিট ও ভাববি না।
।
তানিয়া চলে যাওয়ার পর আমি শুয়ে পড়লাম।
কিন্তু ঘুম আসছে না।
বার বার সেই ম্যাসেস গুলো ভাসছে চোখের সামনে।
আমার এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে মাইশা এসব করছে।
।
কতো স্বপ্ন ছিলো দুজনের।
আমাদের প্রথমে কি বেবি হবে এবং কি নাম রাখবো সেটা নিয়ে ঝগরা করতে কতরে যে দুজনে কতো রাত না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিয়েছি
সে সিসাব নেই।
কিন্তু সেই মাইশাই কিনা আজ অন্য কারো বেবি পেটে নিয়ে মহা খুশি।
।
সকাল বেলা দরজায় কারো ঠকঠক শব্দে ঘুম ভাঙ্গলো আমার।
।
দরজা খুলে দেখি মাইশা। হাতে একটা কাগজ নিয়ে দারিয়ে আছে।
মাইশাকে দরজার সামনে দারিয়ে থাকতে দেখে একটু অবাক হলাম।
মনে মধ্যে কিছু প্রশ্ন উদয় হলো।
প্রথম যে প্রশ্নটা মাথায় এলো সেটা হলো
ওর হাতে কাগজটা কিসের? তাহলে কি আমার থেকে ডিভোর্স পেপারে সাইন নিতে এসেছে?
।
আরো কিছু প্রশ্ন নিয়ে আমি দাড়িয়ে আছি
আর আমার সামনে মাইশা।
।
দুজনেই নিরব,, কেউ কিছু বলছি না।
মনে মনে ভাবছি মাইশা এখানেই বা এলো কেন?
।
এভাবে দাড়িয়ে থাকতে ভালো লাগছিলো না তাই ঘুরে আবার রুমের ভিতরে যাব
তখনি কেউ জরিয়ে ধরলো বলে মনে হলো। খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।
।
মহুর্তের মধ্যে সব কিছু এলো মেলো হয়ে গেলো আমার।
হাজারো হলেও ভালো বাসি যে পাগলীটাকে।
তাই ওর প্রতিটা স্পর্শই আমার কাছে ছিলো বিশেষ কিছু।
কিন্তু এখন কেন যানি আর সেই অনুভূতি টা আসে না।
কেমন যানি হাশ ফাশ লাগছিলো
তাই ঝটকা দিয়ে ছারিয়ে নিলাম।
নিয়ে বিছানায় গিয়ে বসে পড়লাম।
।
এমন সাময় তানিয়া আসলো রুমে, এসে মাইশাকে দেখে
তানিয়া রেগে আগুন হয়ে বললো।
।
এই মেয়ে কি চাও এখানে??
কেন এসছো?
।
মাইশা চুপ….
।
কথা বলছো না কেন?
।
মাইশা এখনো চুপ…….?আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
।
এতোদিন ছেলেটাকে জ্বালিয়েছো তাতেও সখ মিটে নি???
এখন আমার আাসাতেও আসছো??
।
এবার মাইশা মাথা নিচু ফেললো।
ওকে দেখে বুঝতে পারছিলাম যে,,, মাইশার মন ভিশন খারাপ।
কিন্তু কেন কারাপ সেটা বুঝতে পারছিলাম না বা বুখতে চাইছিলাম ও না।
।
আমি ওকে (আমাকে) নিয়ে কোর্টে যাচ্ছি,,,উকিলের সাথে দেখা করবো। এসে যেন না দেখি তুই আমার বাড়িতে আছিস।
বলেই তানিয়া আমার হাতটা ধরে রুম থেকে বেরিয়ে পরবে
এমন সময় আমাকে এবং তানিয়াকে অবাক করে দিয়ে
মাইশা কষে একটা থাপ্পর মারলো তানিয়ার গালে। থাপ্পর টা মেরে তানিয়ার হাত থেকে এক টানে আমার হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে বললো।
আমার স্বামির হাত ধরার সাহস হয় কি করে তোর??
।
তানিয়া পুরা থ বনে গেলো
আমি পাথর প্রায়।
মাইশা তানিয়াকে থাপ্পর মারলো কেন???
।
তারপর আমাদের আরো অবাক করে দিয়ে মাইশা তানিয়ার উপর আংঙ্গুল তুলে বললো।
।
ও আমার স্বামী,,,,, ওকে ছোয়ার অধীকার শুধু,,আর শুধু আমার।
বুঝেছিস তুই??
।
তানিয়া গালে হাত দিয়ে,,,হা করে তাকিয়ে আছে মাইশার দিয়ে।
কি হচ্ছে,,, কি চলছে,,৷ আমি তানিয়া কিছু বুঝতে পারছিলাম না।
।
মাইশার এমন রিয়েট দেখে আমরা রিতিমতো শক্ট।
।
কি হচ্ছে না হচ্ছে কিছু মাথায় ঢুকার আগেই মাইশা আমার হাত ধরে বললো,,,,,
চলো আমার সাথে।
।
কোথায়?
।
কোথায় মানে? বাসায়??
।
আমি যাবো না।
।
তুই যাবি তোর চৌদ্দ গুষ্ট যাবে। (হাত ছেরে টিশার্ট এর কলার ধরে)
বলেই টানতে শুরু করলো।
।
কিন্তু আমি সায় দিলাম না।
কেন যাব আমি?
।
কেন যাবা না?
।
আমি চুপ……..
।
আমি চুপ থাকতে দেখে মাইশা আবার টানতে শুরু করলো।
আর টানতে টানতে আমাকে তানিয়ার বাসার সামনে নিয়ে এলো।
।
এসে একটা সিনজি ধরে দুজনে বসে পড়লাম।
আমি এখনো বুঝতে পারছি না যে মাইশা এমন কেন করছে?
আমি তো ওর ইচ্ছা মতো ওকে ছেড়ে দিয়েছি।
এখন তো ও ইচ্ছা মতো নিলয়ের সাথে মিশতে পারবে।
তাহলে আমাকে এভাবে আবার বাসায় নিয়ে যাচ্ছে কেন??
।
এসব ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে আসলাম।
।
আমাকে রুমে ঢুকিয়ে মাইশা কষে একটা থাপ্পর মারলো আমাকেও।
মেরে আমার মুখের উপর আমার লিখে রাখা চিঠিটা ছুরে মেরে বললো,,, এটা কি লিখেছো??
।
কেন? মিথ্যা কিছু লিখেছি কি?
।
কি সত্যি লিখেছো সেটা বলো।
।
কি লিখেছি সেটা আবার পড়। পড়লেই বুঝবা।
।
আমি তোমায় বলেছি তোমার থেকে স্পেস চাই??
।
আমি মাথা নিচু করে আছি……
।
আমি নিলয়ের সাথে কথা বলি,,, ওর সাথে মিশি কিসের জন্য একবারো জানার প্রয়জন মনে করো নি?
একবারো প্রশ্ন করার প্রয়জন মনে করো নি??