আমি নিলয়ের সাথে কথা বলি,,, ওর সাথে মিশি কিসের জন্য একবারো জানার প্রয়জন মনে করো নি?
একবারো প্রশ্ন করার প্রয়জন মনে করো নি??
আমি এখনো চুপ,,, মাথা নিচু করে পায়ের কাছে পরে থাকা চিঠিটার দিকে তাকিয়ে আছি।
।
মাইশা আবার বলতে শুরু করলো……
আমার পেটে নিলয়ের সন্তান??
এটাই ভাবছো?
এটা ভাবতে পারলে?
এটাই তোমার ভালোবাস?
তুমি না কথায় কথায় বলতে যে,,, আমি অন্য কারো হওয়ার আগে আমায় খুন করবে,,করে নিজেও আত্নহত্যা করবে??
।
আমি কি বলবো কিছু বুঝতে পারছিলাম না।
মাথা তোলার শক্তি পাচ্ছিলাম না।
।
আমি তোমাকে কখনো ইগনোর করিনি।
আমরা একটা ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট পেয়োছি।
সেটা হ্যান্ডেল করছি আমি আর নিলয়।
তাই ওর সাথে একটু বেশি কথা বলতে হয়। টাইমের আগে অফিস যেতে হয়।
আর এসবকে তুমি ইগনোর হিসেবে ধরে নিলে?? বাহ রে স্বামী। কি ভালোবাসা,?
কোন বলা নেই কিছু নেই ছেড়ে চলে যাচ্চে।
।
এবার আর চুপ থাকতে পারলাম না,,,,,
তাহলে ঐ ম্যাসেস গুলোর মানে কি?? আর ঘড়ি কিনেছো কার জন্য??
।
হাহাহা,,,,,, তুমি আমার কয়টা কলিগকে চেনো??
আলিয়াকে চেনো??
।
কেন??
।
আগে বলো চেনো কিনা?
।
না চিনি নাহ।
।
নিলয় আলিয়ার মধ্যে ৩ বছরের সম্পর্ক। কিন্তু মাঝে কোন কারনে ভুল বুঝাবুঝি হয় ওদের মাঝে। তোমার যেমন তানিয়া বেস্ট ফ্রেন্ড। তেমন নিলয় ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। আর ওদের আবার মিলিয়ে দিতেই আমি ঘড়িটা কিনি। আলিয়ার টাকায়।
আর তুমি না জানো আমার স্যালারি কতো? এতো দামি ঘড়ি কেনার টাকা থাকে আমার কাছে???
আর যেহেতু এতো কিছু দেখেছো তাহলে তো নিশ্চয় সেই ম্যাসেস টাও দেখেছো যেটাতে নিলয় বলছে,, আর প্রেম নয়। এবার সোজা বিয়ে??
দেখনি?
।
হুমম দেখেছি।
।
হুমমম,,, কাল সেই কার্ড পাবে। মানে নিলয় আলিয়ার বিয়ের কার্ড।
।
আর সেই ম্যাসেস?? তুমি পৌছাইছো কিনা?? যেটা পরে ডিলিট করে দিয়েছো?
।
আমি জানতাম না সেটা কে ছিলো। আর কেন সেই ম্যাসেস করেছে। তাই তুমি দেখলে মন খারাপ করবে বলে ডিলিট করেছি।
।
তুমি যে প্রেগনেন্ট সেটা আমাকে না বলে আগে নিলয়কে বলেছো কেন??
।
আমি তোমাকে আমার প্রেগন্যান্সির কথা আগে বলি নি কারণ তোমাকে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছি।
আর দেখো তুমি আমাকেই উল্টো সারপ্রাইজ দিয়ে দিলে।
।
বুকের উপর থেকে মনে হচ্ছে বিশাল কিছু একটা সরে গেলো।
যেটা এতো দিন থেকে দিন দিন বুকের উপর একটু একটু বড় হচ্ছিলো।
।
আমি আর কিছু বলার ভাষা খুজে পাচ্ছি নাহ।
কি বলবো পাগলিটাকে??
।
মাইশা ধপ করে বিছানায় বসে পরলো।
।
আমি কিছুক্ষণ দারিয়ে থেকে মাইশার কাছে গিয়ে বসলাম।
।
দুজনেই নিরব……
।
ঐ……..
।
মাইশা চুপ
।
ঐ………………………….
।
মাইশা চুপ
।
খুদা লাগছে
।
মাইশা চুপ………………?
।
তাহলে আমি তা………..
।
খুন করে ফেলবো শালা,,, আর একবার তানিয়া তানিয়া করলে।
।
সরি………. (মাইশাকে জরিয়ে ধরে)
।
হুম হয়েছে…….
।
সরিইইইইইইইইইইই
।
শালা ভাগ এখান থেকে,,
।
তাহলে…..
।
কি তানিয়ার কাছে যাইতে চাইবি আবার???
বল বল
যা দেখি তোর কতো সাহস,,, পা বাড়া দেখি (বসা থেকে উঠে)
।
আমি একটা মুসকি হাসি দিয়ে বললাম,,,,, আটকাতে পারবা???
।
তারপর ওদিক থেকে কোন শব্দ পেলাম না।
শুধু কারো বুকের স্পর্শে শিহরিত হয়ে উঠলাম।
।
পাগলিটা বুকের মধ্যে মুখ গুজে দিয়ে কাঁদছে।
।
ঐ…..চুপ
।
কেন চুপ করবো??
থাকতে পারতে তুমি আমায় ছেড়ে??
।
১০০ বার পারবো না…….
।
সয়তান,,,পাগল,,৷ আমাকে বললে কি আমি তোমায় মিথ্যা বলতাম??
।
আমি চুপ….
।
আর কখনো এমন করবে না। যদি আমার উপর কোন সন্দেহ হয় তাহলে সরাসরি বলবে আমায়।
জানো সকালে চিঠিটা নিয়ে কোতক্ষন কেঁদেছি??
।
সরি,,,,,
।
যাও ফ্রেস হয়ে এসো,,, আমি খাবার রেডি করি।
।
কেন তুমি কেন,,, হালিমা কোথায়?
।
ওকে ছুটি দিয়েছি। আর আমিও জব টা ছেড়ে দিয়েছি।
।
কি!!! কেন?
।
চাইনা আমার সেই জব যে জব। যার জন্য তুমি আমায় ভুল বুঝো।
।
চুপপ,, কাল থেকে অফিসে যাবে।
।
উহহহহ যাবো না।
।
যাবে।
।
হয়েছে,,,, এবার ছারো,,,, নাস্তা রেডি করবো।
।
নাহ
।
তোমার না খুদা লাগছে।
।
হুমম,, বাট সব খুদা তো খাবারে মেটে না।
।
মানে?
।
মানে এখন মিষ্টি খাবো।
।
যাহহহ,,, দুষ্টু (আমাকে ধাকা দিয়ে সরিয়ে দিলো মাইশা)
।
ঐ কই যাও??
।
ওয়াশ রুমে ফ্রেস হয়ে। নাস্তা বানাবো।
।
ধুর….
।
এএএএএএআআআআআআআআ
।
আচ্ছা,,, রাতে দেখবো
।
কচু……. আমি বাবার বাড়ি যাবো।
।
পা ভেঙ্গে দেবো।
।
নো প্রবলেম। আমি হুইল চেয়ারে বসে বসে খাবো
।
মাইয়া না কি রে বাবা।
।
মাইয়া না,,,,, মেয়ে?? okkkkkkkk.
বলেই মাইশা ওয়াশ রুমে চলে গেলো।
আর আমি হাত পা ছেড়ে দিয়ে শুয়ে পরলাম।
আর মনে মনে ভাবছি।
এতো সুন্দর একটা মেয়েকে কি না কি ভাবচিলাম আমি????
আমি পাগল??
হুমমম হয়তো
মাইশার পাগল
কারণ মাইশা শুধু আমার