সতীনের ঘর পর্ব০৬

ছোট আর বিজয়ের চিল্লাচিল্লি শুনে রুম থেকে বের হয়ে ওদের কাছে গেলাম।জিজ্ঞেস করলাম
– কি হয়েছে বিজয়,এভাবে চিৎকার করছো কেনো?
– ছোটো বললো তুমি আমাদের মধ্যে নাক গলাতে আসবেনা।
– আমি নাক গলাতে আসিনি,তোদের এভাবে ঝগড়া করতে শুনে না এসে পারলাম না। মা অসুস্থ,তাছাড়া বাচ্চারাও বড় হচ্ছে ওদের সামনে এমন করে ঝগড়া করা কি ঠিক হচ্ছে?
– ঠিক ভুল কি তোমার কাছ থেকে শিখতে হবে?তুমি নিজের চরকায় তেল দাও।আমার আর আমাদের সন্তানের কথা তোমার না ভাবলেও চলবে।
এই বলে ছোট ওর ঘরে চলে গেলো।বিজয় ওখানেই দাড়িয়ে ছিলো।আমি বললাম
– দেখেছো বিজয় তোমার বউ কি বলে গেলো?
– যা বলেছে ঠিকই বলেছে,তুমি এসবের প্রাপ্য ছিলে।
– আমি কি করেছি?
– কি করেছো জানো না?তুমি আমার জীবনটা শেষ করে দিয়েছো।এইযে যা কিছু হচ্ছে এইসব কিছু তোমার কারণেই হচ্ছে।সব নষ্টের গোড়া হলে তুমি।
– বিজয় তুমি আমার সাথে এভাবে কথা বলছো কেনো?
– আমি তোমার সাথে এভাবে কেনো,কোনো ভাবেই কথা বলতে চাইনা।প্লিজ আমার চোখের সামনে থেকে যাও এখন।
– আমি তোমার চোখের সামনে থেকে চলে গেলে কি তুমি খুশি?
– নেকামি না করে যেতে বলছি যাও।অসহ্য লাগে তোমাকে।
বিজয়ের এমন কথা শুনে কান্নায় বুক ভিজে যাচ্ছিলো।ও এভাবে অপমান করতে পারলো!
বিজয় কেনো আমাকে এইসব বললো জানিনা।আমি কি এমন করেছি, বিজয় এমন ভাবে আমার সাথে কথা না বললেও পারতো।নাহ আর সহ্য করতে পারছিনা।আমাকে কিছু একটা করতে হবে,আমাকে অনেক দূরে কোথাও চলে যেতে হবে। এতোটা দূরে যেতে হবে যে ,কেও আমাকে আর কখনো খুজে না পায়।বিজয় চায় আমি ওর সামনে না থাকি,তবে তাই হোক।
আচ্ছা আত্মহত্যা করলে কেমন হয়?
নাহ আত্মহত্যা করবো কেনো,আমি মরে গেলেই বিজয়ের কি আসে যায়!জিবনে কত পাপ করেছি তার কোনো হিসাব নেই,আর পাপ বাড়াতে পারবোনা।তাছাড়া মৃত্যু তো কোনো সমস্যার সমাধান হতে পারেনা।আমাকে অন্য কোনো একটা সলিউশন বের করতে হবে।নিজেকে আর নিচে নামাতে পারবোনা,এত লাঞ্ছনা,অপমান সহ্য করে এখানে আর থাকবো না। হ্যা আমি চলে যাবো এখান থেকে,অনেক দূরে চলে যাবো।
সাজ্জাত কে ফোন দিলাম,একটা রিং বাজতেই ও ফোন ধরলো
– হ্যালো সাজ্জাত?
– হুমমম, হঠাৎ ফোন কিছু বলবে?
– তুমি না বলেছিলে কোম্পানি থেকে দেশের বাইরে কিছু কর্মী নিবে তার মধ্যে আমিও আছি,ওইটার খবর কি?
– সামনের মাস থেকে শুরু হবে,কেনো তুমি যাবে নাকি?
– হুমম যাবো,আমাকে কি নিবে?
– কেনো নিবেনা,তুমি তো একজন দায়িত্ববান স্টাফ,আর তুমি যাবে শুনলে বস আরো খুশি হবেন।তবে সমস্যা হলো তোমাকে কি তোমার হাসব্যান্ড যেতে দিবে?
– আমি চলে গেলে তো তার আরও ভালো হয়,তুমিতো সবটাই জানো।আসলে আমি আর এখানে থাকতে চাচ্ছি না।দম বন্ধ হয়ে আসছে আমার।প্লিজ সাজ্জাত একটু হেল্প করো আমাকে।
– আচ্ছা অফিসের তুলি মেডাম আছে না,তার সহকারী হিসেবে তোমাকে দেই?তার সাথে কাজ করতে পারবে তো?
– সব পারবো,যদি বলো সেখানে ঘর মুছতে হবে,কাপড় ধুতে হবে তাতেও রাজি আমি।
– হাহাহা কিযে বলো।আচ্ছা আগে অফিসে এসো,বাকি কথা অফিসেই হবে।
– আচ্ছা ভালো থেকো।
অফিসে লাঞ্চের সময়ে কুইন আর আমি একসাথে খেতে বসলাম।খেতে ইচ্ছে করছেনা,খাবার নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলাম।কুইন জিজ্ঞেস করলো
– কিরে খাচ্ছিস না কেনো,কি ভাবছিস?
– ভাবছি মানুষ কিভাবে পাল্টে যায়।
– কেনো নতুন করে আবার কোনো ঝামেলা হয়েছে নাকি?
– যতদিন আমি ওই বাসায় থাকবো,ঝামেলা আমার পিছু ছারবে না।কুইন তোর বাসায় আমাকে কয়েকদিন থাকতে দিবি?
– এভাবে বলছিস কেনো,থাকবি সমস্যা নেই, কিন্তূ কি হয়েছে বলবি তো?
– কি আর হবে,আমার কপাল খারাপ।যাকে ভালোবেসে বাচতে চেয়ে ছিলাম সেই মানুষটাই আমাকে ভেতর থেকে মেরে ফেলছে।মাঝপথে দিক হারিয়ে যেই মানুষটার হাত আক্রে ধরেছিলাম,সেই মানুষটাই আজ হাত ছেড়ে দিয়েছে।যেই চোখে একসময় ভালোবাসা খুজে পেতাম,সেই চোখেই এখন ঘৃণা দেখতে পাই।তার বউ আমাকে অপমান করে সে প্রতিবাদ না করে উল্টো আমাকেই বলে আমি নাকি এসবের প্রাপ্য। আমাকে দেখলে নাকি তার অসহ্য লাগে।আমি নাকি তার জীবন শেষ করে দিয়েছি।
– বাদ দে,রাগে বলেছে হয়তো।
– কেনো,আমার উপর তার এতো কিসের রাগ?কি করেছি আমি?বলতে পারিস আমার ভুলটা কোথায়?আমি বিজয় কে ভালোবাসি এটাই কি আমার ভুল?আমি তো কখনো ওদের কোনো ক্ষতি করিনি,তবুও আমার এতো দোষ কেনো হয়?ছোটোর কথা আমি ধরিনা, কিন্তূ বিজয়….
আসলে মানুষ চেনা অনেক কঠিন, এতোটাই কঠিন যে একসাথে দশ বছর সংসার করেও চেনা যায়না।আমিও বিজয় কে চিনতে পারিনি, আমিতো ভাবতাম যাইহোক ও আমাকে মন থেকে একটু হলেও ভালোবাসে, কিন্তূ আমি ভুল ছিলাম। ও আমার মনকে নিয়ে খেলেছে শুধু,আর কিছুনা।
কুইন একটু আমতা আমতা করে বললো,সুফিয়া একটা কথা বলবো,যদিও বিজয় নিষেধ করেছে তোকে বলতে।
– কি কথা?
– মনে আছে আমি যখন প্রথম তোর বাসায় গেলাম,তুই জানতে চেয়েছিলি না আমি তোর কষ্টের কথা কিভাবে জানলাম,তোর বাসা চিনলাম কিভাবে,আমি সেদিন সত্যিটা বলিনি কিছু একটা বলে কাটিয়ে দিয়েছিলাম কথাটা কিন্তু সত্যিটা হলো…
– কি সত্যিটা?
– তোর কষ্টের কথা আমাকে বিজয় বলেছে।
– বিজয়!
– হ্যা বিজয়।ও একদিন আমাকে ফোন দিলো,বললো দেখা করবে।পরে আমি অফিসের ঠিকানা দিয়ে দিলাম।তখন ও আমার অফিসে এসে সব বলেছে।আর তোর কাছেও আমাকে বিজয় ই পাঠিয়েছে।
– কিন্তূ বিজয় এমনটা কেনো করলো?
– ও চাইছিলো তুই নিজের পায়ে দারা,বাসায় তোর রোজ রোজ অপমান নাকি তার সহ্য হয়না।তোর সতীন নাকি তোকে কথায় কথায় অপমান করে,ওর বাচ্চাকে কোলে নিতে দেয়না।এসব থেকে দূরে রাখার জন্যই বিজয় চাইছিলো তুই একটা জব কর,নিজের মতো বাচতে শিখ।তোর এই সফলতার পেছনে বিজয়ের অবদান অনেক। আমিতো শুধু ওর কথা মতো তোকে বুঝিয়েছি।
– বিজয় তো আমাকে নিজেই জবের কথাটা বলতে পারতো।
– আমিও বিজয়কে সেটাই বলেছিলাম যে,আপনি নিজেই সুফিয়াকে বলুন কিন্তু বিজয় বললো,আমি বললে সুফিয়া ব্যাপারটাকে সহজ ভাবে নাও নিতে পারে,এমন ও হতে পারে ও ভাবলো আমি ওর খরচ বহন করতে চাইছিনা।তাই তুমি তো ওর খুব কাছের বান্ধবী তোমার কথায় ও কিছু মনে করবেনা।বরং ভালো করে ভেবে দেখবে।আমি বিজয়ের মুখে এমনটা শুনে পরে তোকে গিয়ে বললাম জবের কথা।
অফিসের কাজ শেষ,বসে আছি।মাথা কেমন যেনো করছে,একটা হিসেব কিছুতেই মিলাতে পারছিনা।আমার অপমান সহ্য হয় না বলে যে মানুষটা আমাকে চাকরি করার সুযোগ করে দিলো,সেই মানুষটাই আমাকে খুব যত্ন সহকারে বাসায় অপমান করে।এই জন্যই হয়তো ওইদিন জবের কথা বলায়,ও সহজেই রাজি হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তূ একটা কথা মাথায় কিছুতেই ঢুকছেনা, সে যদি আমার কথা এতোটাই ভাবে,তাহলে এভাবে আমাকে কষ্ট দেয় কেনো।
দারোয়ানের ডাকে ঘোর কাটলো।
– মেডাম বাসায় যাবেন না?
হুমম যাবো।
– কয়টা বাজে?
– একটা বাজে মেডাম
– একটা বেজে গেছে!oh my god।
– স্যার ডাকছে আপনাকে,মেডাম।
– আমি জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম,বিজয় গাড়ি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।আমি নিচে গিয়ে গাড়িতে উঠে বসলাম।যদিও বাসায় যেতে ইচ্ছে করছেনা।কুইন ওর সাথে যাওয়ার জন্য অনেক জোরাজুরি করলো,তাও গেলাম না।মন আজ সত্যিই উতলা হয়ে আছে,সব কিছু কেমন যেনো এলোমেলো লাগছে।একটা সমীকরণ যে কিছুতেই মিলছেনা।গাড়িতে উঠে জানালা লাগিয়ে দিলাম।
বিজয় আমাকে জিজ্ঞেস করলো
– খেয়েছো?
– হুমমম।
– বিজয় একটা নুডুলস এর বাটি আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,তুমিযে খাওনি সেটা আমি ভালো করেই জানি।নাও এটা খেয়ে নাও।
– খাবোনা,খিদে নেই।
– খাও,তোমার ফেভারিট রেস্টুরেন্ট থেকে এনেছি।
– কেনো করছো এইসব?জুতো মেরে গরু দান না করলেও চলবে।
– ওমাঃ এতো রাতে আমি গরু পাবো কই,যে তোমাকে দান করবো।
– বিজয় তুমি মজার মুডে থাকলেও আমার কিন্তু এসব ভালো লাগছেনা।
– তাহলে খেয়ে নাও।
– বলছি তো খাবোনা।
বিজয় বাটিটা খুলে,চামচ বের করে আমাকে খাইয়ে দিতে নিলো,আমি অন্যদিকে মুখ ফিরিয়ে নিলাম।বিজয় বললো
– প্লিজ খেয়ে নাও,আমিও কিন্তূ সারাদিন কিছু খাইনি,তুমি খেলে আমিও খাবো।
– কেনো খাওনি?
– সেটা তুমি বুঝবেনা।
– আমিও আর কথা না বাড়িয়ে খেতে লাগলাম।বিজয় আমাকেও খাওয়াচ্ছে,নিজেও খাচ্ছে।আমার চোখ দিয়ে অঝোরে পানি পরে যাচ্ছিলো।
– এইযে মেডাম,আপনাকে কাদতে বলিনি,খেতে বলছি।
– তুমিও তো কাদছো।
– কই নাতো,চোখে কিছু পড়েছে মনে হয় তাই জলছে।
– কেনো মিথ্যে বলছো?
– জানিনা…
কারো মুখে কোনো কথা নেই,দুজনের চোখেই আজ পানি।মনের কষ্ট গুলো চোখের পানি হয়ে ঝরছে।এক অজানা কষ্ট বাসা বেধেছে মনে,জানিনা এই কষ্টের শেষ কোথায়।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে একটু বারান্দায় বসলাম।আজ আকাশে চাঁদ নেই,অমাবস্যা চলছে মনে হয়।পেছন থেকে শাশুড়ি মা এসে জিজ্ঞেস করলো
– আজ এতো দেরি হলো যে ফিরতে?
– আপনি এখনো ঘুমান নি?
– তুই বাসায় না আসা পর্যন্ত কি আমার ঘুম হয়।
– আচ্ছা মা একটা কথা জিজ্ঞেস করবো?
– কি কথা?
– শুনেছি একজন মা নাকি তার সন্তানের গতিবিধি জানতে পারে,তার মনে কি চলছে না বললেও বুঝতে পারে,কিছু লুকাতে চাইলে নাকি টের পেয়ে যায়।আচ্ছা মা,আপনি কি বুঝেন না আপনার ছেলের মনে কি চলছে?
– কেনো কি হয়েছে?
– আমি না তাকে ঠিক বুঝতে পারিনা কিন্তূ আপনি তো ওর মা,আপনিও কি বুঝেন না?
– বিজয় কি তোকে কিছু বলেছে?
– একটা মানুষ কিভাবে এত বহুরূপী হতে পারে?যে মানুষ টা আমাকে কষ্ট দেয়,আবার দিন শেষে সেই কাদে।যে আমাকে চোখের সামনে থেকে দূরে যেতে বলে,গভীর রাতে সেই গাড়ি নিয়ে আমার সামনে দাড়িয়ে থাকে।যে আমাকে অপমানের হাত থেকে বাচানোর জন্য আড়াল থেকে সাহায্য করে ,অথচ বাসায় সেই আমাকে বেশি অপমান করে।আমি আসলে অনেক কিছুর হিসেব মিলাতে পারছিনা।আপনি কি বলতে পারবেন মা,এর মানে কি?
– শুন মা,আমি যত টুকু জানি,আমার বিজয় খুব অভিমানী।ও ওর মনের কথা মুখে প্রকাশ করতে পারেনা।ওর মনে এখন অনেক অভিমান জমেছে।আসলে ও যেটা দেখায় তুই সেটাই দেখিস,যেটা ওর মনে লুকানো সেটা বুঝতে পারিস না।
– কিভাবে বুঝবো তাকে,যে মানুষটা বিয়ের আগ‌ মুহূর্তেও বিয়ের জন্য রাজি ছিলোনা,সেই মানুষটা বিয়ের পর মুহূর্তেই কিভাবে পাল্টে গেলো।যেই মানুষটা আমাকে ছাড়া রাতে খাবার খেতো না, সে তো এখন সুন্দর ভাবে খেয়ে ঘুমিয়ে পরে,একবারও আমার কথা জিজ্ঞেস করে না।
– সবটাই আমার জন্য হয়েছে,এর জন্য আমিই দায়ী।
– না মা,আপনি শুধু শুধু নিজেকে দোষারোপ করবেন না।
– শুধু শুধু না,আমার কসমের জন্যই বিজয় তোর থেকে দূরে চলে গেছে।
– কিসের কসম।
যেদিন বিজয় বিয়ে করে ফিরে এলো,আমি বিজয় কে আমার কসম দিয়ে বলেছি,
ও যেনো আমার নাতি বা নাতনি না হওয়া পর্যন্ত তোর থেকে দূরে থাকে।বিনিময়ে বিজয় আমার কাছে,এই বাড়িটা আর ব্যাংকে দশ লাখ টাকা তোর নামে লিখে দিতে বলেছে,যাতে শেষ বয়সে তোর কারো উপরে ভরসা করতে না হয়,আমি তাই করেছি।বিজয় কে বলেছি, যদি আমার কসম না মানে তাহলে আমার মরা মুখ দেখবে।ছেলে হয়ে মায়ের মরা মুখ দেখবেনা বলে,তোর থেকেই দূরে সরে গেলো।কিন্তু যখন দেখতাম তুই অনেক কষ্টে আছিস,রাতে না ঘুমিয়ে শুধু কান্না করিস,তখন বিজয়ের থেকে সব কসম তুলে নিয়েছি।তাই আমি বলার পর ই বিজয় তোর কাছে যেতো।আমি হয়তো‌ শাশুড়ি হিসেবে খারাপ কিন্তূ আমিও তো মানুষ,আমার ও কষ্ট হয়।আমি তোর কষ্ট সহ্য করতে পারিনা।আমাকে ক্ষমা করে দিস মা,ক্ষমা করে দিস।আমি তোর মত এতিমের সাথে‌ অনেক বড়ো অন্যায় করে ফেলেছি।
– মা আমিতো বাড়ি বা টাকা চাইনি,বিজয় এসব না করে যদি আমার সাথে একটু স্বাভাবিক ব্যাবহার করতো তাতেই আমি খুশি হতাম।ও তো আমার ভালো করতে গিয়ে,আমার খারাপ টাই করে।মুখে বলে একটা,করে আরেকটা।জানিনা ও কি চায়।
আবারও শাশুড়ি আমাকে ধরে কান্না শুরু করলো,আমিও নিজের কান্না ধরে রাখতে পারলাম না।
এতদিনে বুঝতে পারলাম বিজয়ের আমার থেকে দূরে যাওয়ার কারনটা, কিন্তূ বিজয়ের বার বার আমাকে অপমানে কারণটা ঠিক খুজে পাচ্ছিনা।বিজয় কি আমাকে এখনও ভালোবাসে?
মা তো তার কসম তুলে নিয়েছে,তাও তো বিজয় আমার থেকে দূরে থেকেছে।অবশ্য এটা তো বিয়ের সময়ের কথা, এতদিনে তার ছোট স্ত্রীর ভালোবাসা পেয়ে আমাকে তো ভুলেই গেছে।তার প্রমাণ তো সেদিনের কথা গুলোই।যেদিন আমাকে তার সামনে থেকে চলে যেতে বলেছিলো।
কিছুদিন পর…..
সাজ্জাতের ফোনে ঘুম ভাঙলো,অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত দিনটি এসেই গেলো

Be the first to write a review

Leave a Reply

We’re sorry you’ve had a bad experience. Before you post your review, feel free to contact us, so we can help resolve your issue.

Post Review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক গল্প