বেলিফুল পর্ব০৫
আদিরা মেয়েটা সারাদিন আমার কাছেকাছে থাকলো। কোনো কারন ছাড়াই এসে জড়িয়ে ধরলো, কাঁদলো আবার হাসলো। আমি না চাইতেই সে চা নিয়ে আসলো। কেনো জানি মনে হচ্ছিলো কালকে কিছু খারাপ হতে চলেছে।
আদিরা মেয়েটা সারাদিন আমার কাছেকাছে থাকলো। কোনো কারন ছাড়াই এসে জড়িয়ে ধরলো, কাঁদলো আবার হাসলো। আমি না চাইতেই সে চা নিয়ে আসলো। কেনো জানি মনে হচ্ছিলো কালকে কিছু খারাপ হতে চলেছে।
মেয়েটাকে কি আবার মারবো? নাকি কিস করবো। মনে হয় এবার আরো দুইটা চড় বেশি মারা উচিত। চিন্তায় পড়ে গেলাম। আমি অবাক হয়ে দেখলাম সামনে আদিরা নেই।
মেয়েটা থাপ্পড় খেয়ে দুরে সরে গেলোনা বরং অবাক করে দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো। মেয়েটা তো সেদিন বলেছিলো না মারতে তবুও কেনো মারলাম আমি? মেয়েটার কান্নায়ও আলাদা একটা মায়া আছে।
বেলিফুলের মালাটা আমাকে দিবেন? – কেনো? – আমি নাহয় তিন্নি হয়েই থাকি। আদিরা নামটা নাহয় ভুলে যান। – নাহ।
বাসর রাতে ঢুকে জানতে পারলাম যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে সে আমার প্রেমিকা নয়, তার জমজ বোন। – মানে? আমিতো তিন্নির কোনো জমজ বোনকে চিনিনা
সকালের সূর্য আজ একটু ধীরে উঠেছে। খুলনার এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা “মাতৃছায়া বৃদ্ধাশ্রম” যেন নিঃশব্দে অপেক্ষা করে। আশ্রমটির পরিবেশ নিঃস্তব্ধ, কেবল বাতাসের দোলায় কিছু শুকনো পাতা মাটিতে পড়ে টুপ করে শব্দ তোলে।
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার কোন এক গ্রামের এক সাধারণ পরিবার। বাবা নেই, মা আর তিন ভাইবোন মিলে কোনো রকমে সংসার চলে। বড় বোন, নাম তার শিমু, পড়াশোনার প্রতি বরাবরই সিরিয়াস।