লাশের ভয়(পর্ব ১)
আমি রিফাত। আমি যেখানে থাকি সেই জায়গা দেশের অধিকাংশ মানুষই চিনেন। সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধের কোয়ার্টারে থাকি। একদিন রাতে বাসায় ইলেকট্রিসিটি না থাকার কারণে আমি বাহিরে বের হই।
আমি রিফাত। আমি যেখানে থাকি সেই জায়গা দেশের অধিকাংশ মানুষই চিনেন। সাভারে অবস্থিত জাতীয় স্মৃতিসৌধের কোয়ার্টারে থাকি। একদিন রাতে বাসায় ইলেকট্রিসিটি না থাকার কারণে আমি বাহিরে বের হই।
কুয়োর কতটা গভীরে চলে এসেছেন তিনি বুঝতে পারছেন না। বিস্মিত দৃষ্টিতে নিজের সামনে ভেসে ওঠা নতুন দৃশ্যটার দিকে তাকিয়ে আছেন । অবাক হয়ে গেলেন ওগুলোর ভেতর থেকে ভেসে আসা অনেকগুলো স্বরের গুঞ্জন শুনে।
ইঞ্জিনিয়ার খোরশেদ আলম বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে রইলেন বেলকনির দিকে। আধো আলো-আধারীর মধ্যে অস্পষ্ট ভাবে দেখা যাচ্ছে ওখানে একটা নারী মূর্তি দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি কয়েকবার ডাকলেন, ‘কে?’ ‘কে ওখানে?’ কোনো উত্তর না পেয়ে ধকধক বুক নিয়েই এগিয়ে গেলেন সামনে।
একই বিল্ডিং থেকে পর পর দুটো এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা আলোড়ন সৃষ্টি করলো সবখানে। প্রথমে তানিয়া আর রাকিব মিলে ধাক্কা দিয়ে ৮ তলার বেলকনি থেকে বৃষ্টির পিতা ফরহাদকে ফেলে দিয়ে হত্যা করলো।
ফরহাদকে খুনের অভিযোগে থানায় নিয়ে যাওয়া হলো তার স্ত্রী তানিয়া এবং খালাতো ভাই রাকিবকে। পরকীয়া প্রেম, তা থেকে নৃশংস খুন, একটি বাচ্চা মেয়ের করুণ খুনের সাক্ষী। পুরো বিষয়টাই চাঞ্চল্য সৃষ্টি করল সবার মাঝে। সবাই যা জানে তার চেয়ে বেশি কিছু জানতে আগ্রহী হয়ে উঠলো।
‘কাকু তুমিও আজ আমাদের সাথে ঘুমাও না, বাবা বাইরে গেলে যেভাবে এক বিছানায় আমি, মা আর তুমি ঘুমাই।’
সকলে মিলেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জঙ্গলটার আরেকটু ভেতরে যাবে। রৈতির স্পষ্ট মনে আছে সে তার বান্ধবীদের সাথেই হাটছিল। হঠাৎ তার খেয়াল হলো তার আশেপাশে কেউ নেই।
রাত ১১টা বাজতেই নাইলা তার বিছানা-পত্র এনে আফরোজা বেগমের ঘরের মেঝেতে শুয়ে পড়ল। আফরোজা বেগমও ঘরের দরজা ভেতর থেকে আটকে বিছানায় শুয়ে পড়লেন। শুয়ে মনে পড়ল ঘরের আলো নেভাতে ভূলে গেছেন।
বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেল। ফারহানাকে তিনি কয়েক বার কল দিলেন। কিন্তু সে ধরল না। তিনি এবার কিছুটা স্বাভাবিক ভাবে ঘটনাটার ব্যাপারে চিন্তা করছেন। তিনি কী শুধু শুধু তার আপন ছেলে আর স্বামীকে সন্দেহ করছেন!
আফা, রোজ রাইতে আমি জামা কাপড় পইরাই শুই। কিন্তু সকালে যখন ঘুম থিকা উঠি। দেখি শইলে একটা সুতা কাপড়ও নাই। রোজ রাইতে কেডা জানি ঘুমের মইধেই আমার শইলের কাপড় খুইলা ফেলে।