কাঁচের_চুড়ি পর্ব ০৩ এবং শেষ পর্ব
দেখতে দেখতে টগরেরও স্কুল যাওয়ার বয়স হয়ে গেলো।তীর-তরীর এখন তেরো বছর বয়স। জামান এই কটা বছর খুবই ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়েছে ব্যবসা নিয়ে।কারন, তার বড় ভাই মারা গেছে
দেখতে দেখতে টগরেরও স্কুল যাওয়ার বয়স হয়ে গেলো।তীর-তরীর এখন তেরো বছর বয়স। জামান এই কটা বছর খুবই ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়েছে ব্যবসা নিয়ে।কারন, তার বড় ভাই মারা গেছে
তীর আর তরীর বয়স মাত্র ২ বছর। ওদেরকে নিয়ে জামান যেনো অথই সাগরে পরেছে। শাহানার জন্য মন খারাপ করার সময়ও সে পাচ্ছেনা।ওদেরকে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো এসব যেন একেকটা যুদ্ধ
২ টি যমজ শিশু কোলে নিয়ে শাহানা তড়িৎ গতিতে হাঁটছে।তার স্বামী আসার আগেই চলে যেতে হবে ষ্টেশনে। সেখানে আহসান অপেক্ষা করছে তার জন্য। আহসান তার বাল্য কালের প্রেমিক।
কারন আমি জানি,আমি ওখানে থাকলে সে আবার কান্নাকাটি শুরু করে দিবে। ঘরে এসে ব্যাগ পত্র গুচ্ছাচ্ছিলাম,বিজয় এসে আমাকে সজোরে একটা চর মারলো।
ঘুম ভাঙলো সাজ্জাতের ফোনে।আজ বেশ ফুরফুরে লাগছে।এতদিন পর তাহলে সেই প্রতীক্ষিত সময়টা এসেই গেলো।খবরটা পেয়েই বিজয়ের কাছে গেলাম,গিয়ে দেখি ও অফিসের জন্য রেডি হচ্ছে।আমি বললাম – বিজয় আজ তোমার একটু সময় হবে?
ছোট আর বিজয়ের চিল্লাচিল্লি শুনে রুম থেকে বের হয়ে ওদের কাছে গেলাম।জিজ্ঞেস করলাম – কি হয়েছে বিজয়,এভাবে চিৎকার করছো কেনো? – ছোটো বললো তুমি আমাদের মধ্যে নাক গলাতে আসবেনা।
অনেকদিন পর বিজয়ের সাথে ছাদে আসা।রাতের আকাশে চাঁদটা কেমন ঝলমল করে জ্বলছে। বিজয় ছাদের এক পাশে দাড়িয়ে,আমি অন্য পাশে।খুব কাছাকাছি না,আবার বেশি দূরেও না। বিজয় একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে আমাকে বললো
ছোটো কে নিয়ে হসপিটালে উপস্থিত হলাম।সিজারের সব ব্যাবস্থা হয়ে গেছে,ডাক্তার বললো রক্তের ব্যাবস্থা করে রাখতে,রক্তের প্রয়োজন পরতে পারে।আমি ডাক্তার কে বললাম সমস্যা নাই,আমার আর রোগীর ব্লাড গ্রুপ একটাই,ব্লাড লাগলে আমি দিবো
গেটের সামনে গিয়ে দেখি শাশুড়ি মা বৌকে বরণ করার জন্য দাড়িয়ে আছেন।আমি বৌ এর মুখটা দেখার চেষ্টা করলাম কিন্তু দেখতে পাচ্ছিনা,লম্বা ঘোমটা তার উপর এত মানুষের ভিড় এড়িয়ে দেখার কোনো সুযোগ পাচ্ছিনা।
দরজা খুলে দেখি বাড়িওয়ালা চাচা,সাথে আরো দুই জন ছেলে তমাল আর সুজন।বাড়ির সামনে আরো অনেক মানুষ জড়ো হয়ে আছে।আমি কিছু বলার আগেই তমাল আর সুজন ঘরে ঢুকে বিজয় কে শার্টের কলার ধরে বাইরে বের করলো