সবুজ_ডায়েরীর_আত্মকথা পর্ব০৩
ডায়রীটা খুলছি আর ভাবছি, “আসলেই কি লোকটা হাবাগোবা, নাকি ভেতরে বুদ্ধির বাসা”। পড়া শুরু করলাম ডায়েরীর প্রথম পাতা থেকে,
ডায়রীটা খুলছি আর ভাবছি, “আসলেই কি লোকটা হাবাগোবা, নাকি ভেতরে বুদ্ধির বাসা”। পড়া শুরু করলাম ডায়েরীর প্রথম পাতা থেকে,
-যদি আপনার নিজের ডায়রীটা একদিনের জন্য আমাকে দেন তাহলেই আপনার স্ত্রীর ডায়রীটা ফেরত দেবো। ~আপনিও দেখছি আমার স্ত্রীর মত অদ্ভুত মানুষ। ঠিকাছে, কখন ও কোথায় আসতে হবে আমাকে?
টিউশনি করে রাতের বেলা হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরছিলাম। হঠাৎ পথের পাশে পড়ে থাকা একটা সবুজ রঙের ডায়রীর উপর নজর পড়লো। ভাবছিলাম তুলবো কিনা। এভাবে পড়ে থাকা কারো জিনিস ধরা তো ঠিক না। তারপরও কি মনে করে ডায়রীটা তুলে নিলাম।
আমি শুভর কথা শুনে হাসবো না রাগবো বুঝতে পারছিলাম না। বললাম,”শুভ এতো রাতে তোর রুমে ১টা মেয়ে,তোর বাবা জানলে কি হবে ভাব….আমি চিন্তায় পাগল হয়ে যাচ্ছি। আর, তুই মজা করছিস?”
সারিনা বসে আছে ড. ফাতেমার সামনে।সারিনার মায়ের কাছ থেকে ড.ফাতেমা গতরাতের ঘটনা সবটাই শুনেছে।তিনি সারিনা কে বললো, তুমি দেখেছো তোমার ঘরের আয়নার ভিতরে ১টা ছেলে
রেইনবো কেক দেখে আমি সত্যিই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম।কেউ যেন আমার শ্বাস-প্রশ্বাস আটকে দিয়েছিলো।আমি,শুভর দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।শুভর বাবা বললো,কি হলো?এমন করছো কেন?কেকটা খাও।
বিয়ের পর ১০ বছর আমি সন্তানহীন ছিলাম।ডাক্তার বলেছিল আমি কখনোই মা হতে পারবোনা।আশাও ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমার স্বামীর সাথেও আমার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না
জাহানারা অনেক আগেই চলে গিয়েছে। তবে আমি এখনো আগের মতোই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। ডায়রিটা খোলার সাহস হচ্ছে না,ভয় হচ্ছে,অনেক বেশি ভয় হচ্ছে।
বাবার পছন্দ করা ছেলেটাকে যখন ফোন দিলাম তখন সে ফোনটা রিসিভ করলো না,কেটে দিলো। ভাবলাম হয়তো ব্যস্ত আছে তাই আর বিরক্ত করলাম না। কিন্তু তার দুইমিনিট পরেই ওই নাম্বার থেকে কল আসলো
যখন মানুষের খারাপ সময় আসে তখন তাঁর ভালোবাসার মানুষটা তাকে সাহস দেয়,অনুরপ্রেরণা দেয়। তাকে কখনো এভাবে একা রেখে চলে যায় না। যেমনটা সাদাফ আমাকে রেখে চলে গিয়েছে। এই সময়টাতে তাকে আমার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিলো