যেদিন নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম বয়ফ্রেন্ড এর সাথে পালিয়ে যাবো বলে। সেদিন আমার বয়ফ্রেন্ড শূন্য হাতে বাসা থেকে বের হয়েছিল। সেদিন আমি কিছু বলতে পারিনি। শুধু নীরবে কিছুক্ষণ তাঁর দিকে এক বুক মায়াভরা মমতা নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম।
নির্বোধের মত রাইসার পিছে পিছে হাটতে লাগলাম। রিলেশনের এই প্রথম আমার কাছে কিছু আবদার করলো। এর আগে কখনো কি চায়নি উল্টো ওই আমাকে মাঝে মাঝে হাত খরচের টাকা দিত।
আমি হাসপাতালে পৌঁছে যাই। ছায়ার রুমে প্রবেশের সাথে সাথেই কেউএকজন আমার গাল দুটা লাল করে দিল।
বসে বসে ভাবতে ছিলাম ছায়ার বাবার কাছে খবরটা পৌঁছাবো কিনা? কিন্তু ইতিমধ্যে সেও এসে হাজির হয়। অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ যে এতকিছু জানে অবশ্যই সে নজরটা বসিয়ে রেখে গিয়েছিল।
অনেকটা অবাক হলাম।কারণ যে মেয়ে অতীতের সম্পর্কের জন্য নিজের বিয়ে ভেঙে দেয় সে এভাবে এমন জায়গায় থাকবে সেটা আশা করিনি।
লিলু সবাইকে ডেকে জড় করেছে। কি করতে চাচ্ছে? সেটা আর আমার কাছে ঘোলাটে নয়। তবে সেখানে থাকা বাকি সদস্যজন একটা ঘোরের মাঝে রয়েছে।
খাওয়ার পর সবাই একসাথে বসে গল্প করতেছিল। তবে আমি শুধু নিপা মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ছিলাম। জানি না কেন? কিন্তু অদ্ভুত এক মায়া রয়েছে মেয়েটির চেহারায়।
পিছন বাবা মা ভাই ভাবি সবাই ডেকেছে। কিন্তু আমার সেদিকে কোন খেয়ালই ছিল না। সবকিছু তোয়াক্কা না করে সেই ঘরে নক করে যখন ঘরে প্রবেশ করলাম। ভেতরে গিয়ে আমি অনেকটাই অবাক হয়ে গেলাম।
ও কথা না বলে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু আটকে নিয়েছি। তখনই আমার পরিবারের লোকেরা নাস্তা শেষ করে স্টেশনে ফিরে। আমাকে প্রাক্তনের হাত ধরে থাকতে দেখে অবাক হয়ে যায়। দূর থেকে তারা চিনতে পারে না। তারা দূর থেকে অসহায় একজন মহিলাই ভাবে।
বিয়ের জন্য মেয়ে দেখতে যাচ্ছি। আসলে মেয়েটা আমার জন্যই দেখা হচ্ছে। চার বছর আগে যখন আমার প্রাক্তন আমাকে ছেড়ে অন্য কারো হাত ধরেছিল তখন বিয়ে করার ইচ্ছেটাই মরে গিয়েছিল।