দোস্ত কিরে তুই ঘরে শুয়ে আছিস যে! কয়েক দিন ধরে তুই তো কলেজেও যাসনি
কয়েকদিন পর আমি বাসায় চলে আসলাম।বাসায় এসে দেখি আমার রুম সুন্দর করে ফুল দিয়ে সাজানো।আমি দেখে খুব অবাক হলাম।আমার সাথে আয়ানও ছিল।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে আমি নিচে গেলাম।বাসায় কিছু মেহমান ছিল।আমি সবাইকে সালাম করে সবার জন্য নাস্তা রেডি করে দিলাম।
আজ শেষবারের মতো সৈকতের সাথে দেখা করতে যাচ্ছি আমি।দুলাভাই আমাকে বাসায় নিতে আসলো।দুলাভাই আর আমি নাজিয়াত আরিয়ানাকে নিয়ে বের হলাম।নাজিয়াত আরিয়ানার বয়স প্রায় ৮ মাস।
কিছু বলার থাকলে বলো।(আমি) –কিছু বলার থাকলে বলবো মানে?আজ আমাদের পালানোর কথা ছিল না? –আমি পালাতে পারবো না।আমি নাজিয়াত আরিয়ানাকে(আপুর দুই মেয়ে) ছাড়া থাকতে পারবো না।
কাল দুলাভাইয়ের সাথে আমার বিয়ে।যাকে আমি আমার বড় ভাইয়ের মত মানতাম তার সাথে আমার বিয়ে কখনো কল্পনাও করতে পারিনি।কিন্তু আমার ভাগ্যে হয়তো এইটাই ছিল
একটা অদ্ভুত জিনিস খেয়াল করলাম।ইনি তো অনুরোধের খুব কাছের বন্ধু।তাহলে এভাবে ওকে ইগনোর করে আমার সাথে কথা বলছে কিভাবে।একবার তাকালো পর্যন্ত না অনুরোধের দিকে।নিজের অন্যায়ের কথা এভাবে স্বীকার করে দিচ্ছে বন্ধুর সামনে!সত্যিই অদ্ভুত
লোকটার কথা শুনে আমি আর স্থির রাখতে পারলাম না নিজেকে।সারা শরীর একটা অদ্ভুত কম্পন দিয়ে উঠলো।এ কি করলাম আমি….!!নিজের হাতে নিজের বড়ো বোনের এতো বড়ো একটা সর্বনাশ কিকরে করলাম আমি…???
এরপর যা বুঝতে পারলাম আমার হাত পা ভয়ে কাঁপতে লাগলো।শীতের ভেতরেই ঘেমে শরীর একাকার হয়ে যাচ্ছে।ধরফর করে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলাম।নিজের নিশ্বাস দ্রুত থেকে দ্রুততর হতে লাগলো।আতংকে গলা শুকিয়ে কাঠ
—অপারেশনের নাম করে আমার স্ত্রীর ভেতরে থাকা বাচ্চাটা শেষ করে ফেলবেন।যতো টাকা দরকার আমি দেবো আপনাকে।প্লিজ ম্যাম, এইটুকু সাহায্য করুন আমায়।