আমি সাথীর জন্য কলেজে অপেক্ষা করতেছি
এক ঘন্টা হয়ে গেছে ও এখনো আসে না ।
কিছুক্ষণ পর ও আসলো
আমার হাতে গিফটটা দেখে সাথী খুশি হলো
সাথী বলল তোমার হাতে ওটা কি
আমি বললাম
তোমার জন্য একটা সামান্য গিফট নিয়ে আসছি
এই ঘড়িটা আমি তোমাকে এখন পরিয়ে দেবো
যখন আমার কথা তোমার মনে পড়বে
তুমি এই ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে থাকবা
তাহলে আর তোমার কষ্ট হবে না ।
আমি সাথী কে বললাম
তুমি কি আমার জন্য কোন গিফট নিয়ে আসো নাই
সাথী বলল
আমার কাছে না এখন টাকা নাই
তাই তোমার জন্য কোন গিফট আনতে পারিনি
তুমি কিছু মনে করো না ।
আমি সাথীকে বললাম
তোমার হাতে একটি আংটি দেখা যাচ্ছে
এই আংটিটা আমাকে গিফট কর
সাথী বলল
আরে না এটা আমার বড় বোন গিফট করছে
এটা যদি তোমাকে দিয়ে দেই
তাহলে আপু অনেক রাগ করবে ।
আমি বললাম
আচ্ছা ঠিক আছে সমস্যা নেই
আচ্ছা সাথী শেষবার মতন আমি তোমার সাথে
একটু হাগ করতে পারি
আমার না তোমাকে একটু জোরে ধরতে ইচ্ছে করতেছে
সাথী বলল
আরে তুমি কি পা,গল হয়ে গেছো
আশেপাশে অনেক মানুষ আছে
যদি কেউ দেখে ফেলে তাহলে সমস্যা হবে ।
আমি বললাম
আমরা দুজন দাঁড়িয়ে কথা বলতাছি মানুষ দেখতেছে না আর তোমাকে জড়িয়ে ধরলে মানুষ দেখে ফেলবে
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি যখন চাচ্ছ না তাহলে আমি তোমাকে জোর করব না ।
সাথী বলল
আচ্ছা তাহলে তুমি এখন চলে যাও
বিদেশ পৌঁছে আমাকে ফোন করবা
আমি তোমার ফোনের অপেক্ষায় থাকবো ।
ওর সাথে শেষবার মতন দেখা করে
আমি চলে আসলাম
অনেক আশা নিয়ে ওর সাথে দেখা করতে আসছিলাম
কিন্তু ও আমাকে এভাবে কষ্ট দিবে
তা আমি বুঝতে পারিনি
জানে না আমি ওর মনে কি কি আছে।
বাবা মার সাথে শেষবারের মতো দেখা করে
আমি রওনা দিলাম
মা বলল
তানভীর বিদেশ পৌঁছে আমাকে ফোন করে জানাবে
যখন মন খারাপ হবে আমাকে ফোন দিবি
তুই একদম টেনশন করবি না আমাদের জন্য
আমার দোয়া সব সময় তোর সাথে আছে।
বিদেশ পৌঁছে
সবার আগে আমি সাথীকে কল করলাম
দেখে ওর মোবাইল ওয়েটিং
প্রায় ৩০ মিনিট ওর ফোনে কল দেওয়ার চেষ্টা করলাম
কিন্তু ওর মোবাইল ওয়েটিং ছিল ।
তারপর ওকে একটা এসএমএস পাঠিয়ে দিলাম
তারপর বাসায় বাবা-মার সাথে কথা বললাম
আমি বিদেশ পৌঁছেছে ঠিক মতন
বাবা-মা শুনে অনেক খুশি হলো ।
আমি যখন সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত হয়ে
বাসায় ফিরে আসি একটু সাথীর সাথে কথা বলার জন্য
আর সাথের মোবাইলে কল দিলে ওয়েটিং থাকে
ওর ফেসবুকে মেসেজ দিলে
ও কোন রিপ্লাই দেয় না
ও সব সময় রাতের বেলা লাইনে থাকে ২ টা পর্যন্ত
কিন্তু ও আমার এসএমএস সেন্ড করো না ।
মাঝেমধ্যে করে অল্প একটু কথা বলে আবার কেটে দে
সাথীকে আমি একটি এসএমএস পাঠালাম
তোমার কিছু ছবি আমাকে দাও
আমার যখন মন খারাপ হবে আমি তোমার ছবি দিয়ে তাকিয়ে থাকবো।
সাথী আমাকে কল করলো
আমার ফোনে ক্যামেরা তো ভালো না
ছবি তুললে সুন্দর উঠে না
তুমি আমার জন্য একটা দামি ফোন পাঠাও
আমি সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে তোমাকে পাঠাবো ।
আমি বললাম
আমিতো এখানে আসলাম কিছুদিন যাব
তিন চার মাস চাকরি করি তারপর না হয়
আমি তোমার জন্য একটা ফোন পাঠাবো ।
সাথী বলল
তুমি কি এতদিন আমাকে না দেখে থাকতে পারবা
এজন্য বলছি একটা মোবাইল পাঠাও
আমি বললাম
তুমি একটি কাজ কর
তোমার ফ্রেন্ডের মোবাইল থেকে ছবি তুললে আমাকে পাঠাও তাহলে তো হয়েছে ।
ও বলল
আমি কারো মোবাইলে ছবি তুলি না
আমি ফ্রেন্ডের মোবাইল হাতে ধরি না
তুমি যেদিন মোবাইল পাঠাবা সেদিন ছবি দেবো
এর আগে পারবো না ।
এটা বলে সাথী ফোনটা কেটে দিল
কত আশা নিয়ে ওর একটা ছবি চাইলাম
কিন্তু ও আমার মনের কষ্টটা বুঝলো না
ওকে সত্যি আমায় মন থেকে ভালোবাসে
নাকি অন্য কিছু
নাকি ও অন্য কারো সাথে প্রেম করে ।
ওর কথা ভাবতে ভাবতে
আমি সারাটা রাত ঘুমাতে পারিনি ।
প্রায় সাত দিন পর সাথী আমাকে
একটা এসএমএস পাঠালো
তানভীর আমার না কিছু টাকা খুবই প্রয়োজন
তুমি আমাকে পাঁচ হাজার টাকা দার দিতে পারবা
কিছুদিন পর আব্বুর থেকে নিয়ে তোমাকে দিয়ে দেবো
টাকাটা আমার অনেক দরকার
তা না হলে তোমার কাছ থেকে চাইতাম না ।
আমি বললাম
দেখো আমি এখানে কিছুদিন যাবত আসলাম
আমার হাতে এখন টাকা নেই
আমি তোমাকে পরের মাসে টাকা দিতে পারব
প্লিজ তুমি রাগ করোনা ।
সাথী বলল
তুমি রাগ করার মতন কথা বলছো রাগ করবো না
এই সামান্য টাকা তুমি কারো কাছ থেকে ধার
নিয়ত আমাকে দিতে পারো
আমি তো তোমার কাছে ধার চাইছি
আমি তো তোমার কাছ থেকে টাকা এমনিতে চাইনি।
আমি বললাম
আচ্ছা ঠিক আছে তুমি টেনশন করো না
দেখি আমি কারো কাছ থেকে টাকা পাই কিনা