আমার মাসি দিয়াসা (ছদ্মনাম) বরাবরই একটু বেশিই সাহসি আর এটা আমরা সবাই জানতাম তার ফ্রেন্ড সারকেলের সবাই ও এটা জানতো তাই সে তার ফ্রেন্ডদের সাথে একদিন ঘুরতে বের হয় তারই এক ফ্রেন্ড সোনালির (ছদ্মনাম) বাড়ি আর সেখানে গিয়ে তারা ট্রুথ এন্ড ডেয়ার খেলছিলো আমার মাসি যেহেতু অনেক সাহসি ছিলো তাই সে সব সময় ডেয়ার বেছে নেয় আর তার বাকিরা তাকে কিছু হরর টাস্ক দিতে থাকে যেমন একবার বাড়ির বাইরে বের হয়ে পাশের বাগান থেকে একা একা ঘুড়ে আসতে বলে আমার মাসি সেটা করে তারপর আবার বলে একটা মোম বাতি নিয়ে ব্লাডি মেরি কে ডাকতে একটা আইনার সামনে গিয়ে দাড়াতে আমার মাসি সেটাও করে তারপর আবার সবাই বসে খেলতে থাকে কিছু সময় পর আবারও মাসির দিকে বতল ঘোরে
“নে,এবার বল আর কি করতে হবে”?
” তোর ভয় নেই, তাই না দিয়াসা”?
সোনালির কথাতে মাসি হেসে উঠে
“আর কি,প্রমান দিতে হবে সেটা বল”
“আচ্ছা মেনে নিবো যে তুই অনেক সাহসি,তবে এবার তোকে টাস্কটা আমি দিবো”
“আচ্ছা, দে”
“তাহলে চল, আমার সাথে”
সোনালি দিদি আমার মাসিকে নিয়ে ও বাকিদের নিয়ে গাড়িতে উঠে আর অনেকটা দূরে একটা জায়গাতে গাড়ি থামায় এত সময়ে কেউ কোনো কথা বলেনি কিন্তু গাড়ি থামতেই সোনালি দি মাসির দিকে তাকায়
“সামনে,একটা বাড়ি দেখতে পাচ্চিস”?
” হুম,একতলার একটা বাড়ি মনে হয় অনেক দিন কেউ থাকে না”
“হুম ঠিক ধরেছি আগে আমরা এখানে থাকতাম কিন্তু আমাদের সাথে, এখানে থাকা কালিন কিছু হরর জিনিস ঘটে যেই জন্য আমরা এই বাড়িটা ছেড়ে ওই বাড়িতে চলে যায়”
“হরর জিনিস,কিন্তু কেমন”
“বাড়িটা নাকি কবর স্থান এর উপর তৈরি করা,তাও যেন তেন কবর না ছোট বাচ্চা যারা জন্মের সময় মারা যায় আর সে সব যুবতী মেয়ে যাদের বিয়ের সময় বা বিয়ের আগে অকাল মৃত্যু হয়”
“ও মাই গড, তাহলে আমরা এখানে কি করছি সোবালি”
রাজিব (ছদ্মনাম) এর কথাতে সোনালি দি একবার রাজিব এর দিকে তাকিয়ে তারপর আবার মাসির দিকে তাকায়
“দিয়াসার জন্য, ও অনেক সাহসি কিন্তু এই সাহসের শেষ হওয়া প্রয়োজন কারন নয়তো পরে ও যদি এমন সিচুয়েশনে পরে যে যেখান থেকে ও বের হতে পারবে না সেটা ওর জন্য আরো বেশি সমস্যা সৃষ্টি করবে তাই ভয় কি জিনিস সেটা আমি ওকে আজ এখানেই বোঝাবো কারণ আমিও আগে ওর মতোই ছিলাম কিন্তু এই বাড়িতে আমার সাথে যা যা ঘটেছে তারপর থেকে আমি ও চিনেছি যে ভয় কি জিনিা”
“তাহলে আর কি, চল আমি তৈরি আছি”
এত কিছু শুনেও মাসির কোনো ভয় ছিলো না সে আরো বেশি এক্সাইটেড ছিলো
মাসি,সোনালি দি,রাজিব আর আরো তিন জন মিলে যায় ভেতরে ভেতরে গিয়েই তাদের শরীর অতিমাত্রায় ঘামতে শুরু জরে গরম এর মাত্র যেন অনেক বেশি এই ঘরে শরীর যেন গরমের জন্য জ্বলতে শুরু করে
“আমাদের এখন, চলে যাওয়া উচিত”
“না আমার ভালোই লাগছে,তোর ভয় করলে তুই যা তো রাজিব”
কথা বলার মাঝে পাশের রুমে একটা শব্দ হতে থাকে সোনালি দি নিজেই ভয়ে গুটিয়ে যায় মাসির দিকে তাকায়
“দিয়াসা পাশের ওই শব্দ হওয়া রুমে যা ওই রুমটা আমারই ছিলো,ওখানে একটা আইনা আছে ওই আইনাটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবি তখন ভয় কি তুই জানতে পারবি”
মাসি চলে যায় রুমে আর সাথে সাথে দরজাটা নিজ থেকেই শব্দ করে বন্ধ হয়ে যায় কিছু সময় এর জন্য মাসি অবশ্যই ভয় পায় রুমে কোনো আলো নেই কিন্তু জানালা থেকে একটু চাঁদের আলো আসছে রুমে আইনাটার সামনেই দারিয়ে আছে মাসি সামনে ছিলো একটা বসার জন্য রাখর স্থান সেখানে মাসি বসে আর সোনালি দির কথা মতো এক দৃষ্টিতে আইনার দিকে তাকিয়ে থাকে তখনই যেন পুরো বাড়ি কাপতে থাকে আর মাসি নিজের পেছনের দিকে একটা কালো ভয়ানক ছায়া দেখতে পারে আর সাথে সাথে সেই ছায়াটা একটা ভয়ানক চিৎকার দেয় আর সাথে সাথে মাসিও জোরে চিৎকার দিয়ে সেই রুম এর দরজা ধরে ধাক্কাতে থাকে কিন্তু দরজা খোলে না
বাইরে থেকে তার বন্ধুরাও দরজা ধাক্কাতে আর চিৎকার করতে থাকে কারণ তারাও ওই ছায়াটির বিভতশো চিৎকার শুনেছিলো এক পর্যায়ে দরজাটা খুলে যায় আর মাসি ও তার বন্ধুরা মিলে দৌড়ে গাড়ির কাছে যায় আর গাড়ি চালিয়ে চলে যায় আগে স্থানে মানে সোনালি দির বাড়ি