যারা চোখ মেলে যা দেখল
তা সে কল্পনাও করতে পারেনি ।
যারা চোখ মেলে দেখে তার হাজবেন্ড
একটি মেয়ের সাথে ফোনে কথা বলতেছে
যারা অবাক হয়ে গেল রাত দুইটা বাজে
তানভীর কার সাথে কথা বলে।
যারা কান পেতে সব শুনতে ছিল
তানভীরের কথা শুনে যারা অবাক হয়ে গেল ।
যারা মনে মনে ভাবতাছে
যার হাত ধরে বাসা থেকে পালিয়ে আসছি
যাকে এত বিশ্বাস করতাম
সে কিনা আমাকে দিনের পর দিন ঠকে যাচ্ছে ।
পরেরদিন সকালে
যারা তানবীরের ফোন চেক করতাছে
তানভীর রাতে কার সাথে কথা বলে ।
মেয়েটির নাম ছিল মারিয়া
ফোন চেক করে যারা অবাক হয়ে গেল
মারিয়ার সাথে তিন বছরে বেশি সম্পর্ক রয়েছে।
তানভীরের মোবাইলে
মারিয়া ও তানভীরের অনেক অশ্লীল ছবি ছিল
যা দেখে যারা অবাক হয়ে গেল ।
ছবিগুলো দেখে যারা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ল
আর মনে মনে ভাবতাছে
আমি এতদিন কার সাথে সংসার করে আসলাম
যাকে আমি অন্ধের মত বিশ্বাস করতাম
সে কিনা আমাকে দিনের পর দিন ঠকে যাচ্ছে
যার কারনে বাবা মাকে ছেড়ে
হাত ধরে পালিয়ে আসলাম
সে কিনা আমার সাথে বেইমানি করলো।
যারা মারিয়ার খোঁজখবর নিতে থাকলো
কে এই মারিয়া যার সাথে তানভীর সম্পর্ক ।
কিছুদিন পর যারা মারিয়া সম্পর্কে সবকিছু জানলো
জানার পর সে আরো অবাক হয়ে গেল ।
মারিয়া জানতো না যে তানভীর বিবাহিত
এবং তার একটি মেয়ে আছে মেয়েটির নাম নাবীরা।
যারা মারিয়াকে কল করে
আপনার নাম কি মারিয়া
আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে
আপনি কি আমার সাথে দেখা হতে পারবেন
খুব ইম্পর্টেন্ট কিছু কথা আছে ।
তারপর যারা ও মারিয়া একসাথে দেখা করে
যারা মারিয়া কে বলে
আপনি কি তানভীর কে চিনেন
হ্যাঁ আমি ওনাকে চিনি।
যারা মারিয়া কে বলল
আপনার আর তানভীর এর মাঝে কি সম্পর্ক
মারিয়া বলল আপনি এসব জেনে কি করবেন
আর আপনাকে তো আমি চিনি না
আপনাকে কেন আমাদের পার্সোনাল কথা বলতে যাব
তারপর যারা মারিয়াকে বলল
আমি তানভীরের বিবাহিত স্ত্রী
আমাদের বিয়ে হয়েছে ১ মাস পর ৬ বছর হবে
এবং আমাদের একটি মেয়ে আছে ।
যারা কথা শুনে মারিয়া অবাক হয়ে গেল
আর বলতে লাগলো আপনি কি সব সত্যি বলতেছেন
তানভীর এমন কাজ করতে পারে আমি বিশ্বাস করিনা
তারপর যারা হাতের মোবাইল বার করে
যারা ও তানভীরের বিবাহিত ছবি দেখালো
এবং তাদের অনেক ফ্যামিলি ছবি দেখালো।
ছবিগুলো দেখে মারিয়া
অবাক হয়ে কেঁদে দিল
আর বলতে লাগলো
আমি এত বছর কার সাথে সম্পর্ক করলাম ।
যে কিনা ঘরে বউ বাচ্চা রেখে
দিনের পর দিন আমাকে ঠকিয়ে গেল
দিনের পর দিন
আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করে গেল ।
যাকে আমি এত ভালবাসতাম
সে কিনা আমাকে এভাবে ঠকে গেল ।
যারা মারিয়া কে বলল
তোমাদের সম্পর্কটা কতদিন যাবত
আর তোমাদের মাঝে কি কি হয়েছে ।
মারিয়া বলল
আমাদের সম্পর্কটা প্রায় তিন বছর হবে
আমাদের বিয়ে হয়নি ঠিকই
কিন্তু আমাদের সম্পর্কটা
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের মতন ।
তানভীর আমার সাথে অনেক কিছু করেছে
যা একটা স্বামী একটা স্ত্রী করে
আমি ওকে বিশ্বাস করে সব কিছু দিয়ে ফেলেছি
ও আমার কাছে যখন যা চাইত
আমি তানভীরকে না করতাম না ।
কারণ তানভীরকে আমি অনেক ভালোবাসতাম
আমি ওকে অন্ধের মত বিশ্বাস করতাম
আমি সবসময় ভাবতাম
পৃথিবীর সবাই আমার সাথে বেইমানি করলেও
তানভীর আমার সাথে বেইমানি করবে না ।
তাই ও যখন যা আব্বার কত আমার কাছে
আমি ওকে ফিরিয়ে দিতাম না ।
কিন্তু ও যে আমার সরলতা
সুযোগ নিয়ে এভাবে ঠকিয়ে যাবে
তা আমি কল্পনাও করিনি ।
মারিয়ার কথা শুনে
যারা অবাক হয়ে কান্না করে দিল
মারিয়া বলতে লাগলো
যাকে আমি এত বছর ধরে ভালোবেসে আসলাম
সে কিনা আমাকে ভালোবাসেনি
সে ভালোবাসে অন্য আরেকটি মেয়েকে ।
আমার সাথে মিথ্যে হাজবেন্ডের অভিনয় করে
দিনের পর দিন আমাকে ঠকালো
অন্য আরেকটি মেয়েকে
মনে প্রানে ভালোবেসে গেল ।
আমি কতটাই না বোকা
তিন বছর ধরে তানভীর অন্য একটি মেয়ের সাথে
সম্পর্ক রয়েছে তা আমি জানতেই পারলাম না
আর সেই মানুষটাকে
আমার বাবা মাকে ভুলে গিয়ে
তার সাথে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেবো
এটা ভেবে ভেবে আমার জীবনটা দিয়ে আসলাম ।
আর সেই মানুষটা কিনা
নতুন আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করে
নতুন সংসার করার স্বপ্ন দেখতাছে ।
এখন আমি কি করবো
কোথায় যাব কিছুই বুঝতাছি না ।