এখন আমি কি করবো
কোথায় যাব কিছুই বুঝতাছি না ।
মারিয়ার সাথে কথা বলে যারা বুঝতে পারল
মারিয়া তানভীর কে অনেক ভালবাসে
তানভীরও মারিয়া কে অনেক ভালোবাসে ।
তাই যারা সিদ্ধান্ত নিল
তাদের দুইজনের জীবন থেকে
চিরজীবনের জন্য সরে যাবে ।
তাদের মাঝে আর কাটা হয়ে থাকবে না
তানভীরকে মুক্ত করে সে চলে যাবে।
যারা মারিয়া কে বলল
তুমি কোন চিন্তা করো না বোন
আমি তোমার আর তানভীর এর জীবন থেকে
চলে যাব কোনদিনও তোমাদের মাঝে
কাটা হয়ে আসবো না।
মারিয়া যারা কে বলল
আপু আপনি কেন চলে যাবেন
আপনার স্বামী আপনারই থাকবে
বরং আমি আপনাদের মাঝ থেকে চলে যাব ।
আমি চাইনা আমার কারনে
আপনাদের সাজানো সংসারটি নষ্ট হোক ।
যারা মারিয়া কে বলল
যার হাত ধরে বাসা থেকে বের হয়ে আসলাম
সে মানুষটি আমাকে দিনের পর দিন ঠকে গেল
আমার আর সেই মানুষের সাথে সংসার করার ইচ্ছা নেই আমি আমার মেয়েকে নিয়ে সারাটা জীবন কাটিয়ে দেবো অন্য কোন কষ্ট হবে না।
যারা বাসায় এসে তানভীর কে বলল
তোমার যেহেতু আমাকে আর ভালো লাগেনা
সেটা আমাকে বলে দিতে
আমি তোমাকে মুক্ত করে চলে যেতাম ।
আমি সব সময় চেয়েছি তুমি হাসিখুশি থাকো
তুমি সব সময় ভালো থাকো ।
আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি
তোমার আর মারিয়ার জীবন থেকে চলে যাব ।
তোমার কাছ থেকে আমি কিছু সময় চাই
এই সময়ের মধ্যে আমি তোমাদের বাসা থেকে চলে যাব
মারিয়া অনেক লক্ষী একটা মেয়ে ।
ও তোমাকে অনেক ভালবাসে
আমিও জানি তুমিও ওকে অনেক ভালোবাসো
আমি চাই তুমি ওর কাছে ক্ষমা চেয়ে
ওকে বিয়ে করে বাসায় নিয়ে আসো ।
তানভীর বলল
তুমি কোথায় যাবে তুমি এখানে থাকো
মারিয়া মারিয়ার জায়গায় থাকবে
তুমি তোমার জায়গায় থাকবে ।
আমি চাই তোমরা দুইজনই থাকো
আমি তোমাদের দুইজনকে হারাতে চাই না ।
যারা বলল
না এটা হয় না আমি তোমার থেকে সরে যাব
তুমি মাইয়াকে নিয়ে নতুন জীবন শুরু করো ।
আমি যেখানেই থাকি না কেন
আমি তোমাদের জন্য সবসময় দোয়া করব ।
এভাবে অনেকদিন যাওয়ার পর
তানভীর কেমন জানি হয়ে গেল
ঠিক মতন খাওয়া দাওয়া করে না
ঠিকমতো রাত্রে ঘুমায় না।
তানভীর কেমন জানি হয়ে গেছে
যারা তানভীর অবস্থা দেখে খুব চিন্তায় পড়ে গেল
তানভীর কি হলো হঠাৎ করে
তানভীর প্রতি মায়া জমে গেল যারা ।
তারপর যারা মারিয়া কে কল করলো
যারা মারিয়াকে সবকিছু খুলে বলল
কি হলো হঠাৎ করে তানভীরের তুমি কিছু জানো ।
মারিয়ার কথা শুনে যারা অবাক হয়ে গেল
যারা কল্পনা করতে পারেনি ।
মারিয়া বলল
আমি আমার এক কাজিনকে বিয়ে করেছি
আমি চাইনা আমার কারনে
একটি সাজানো সংসার নষ্ট হোক ।
আমি চাইনা আমার কারনে
তোমাদের হাজব্যান্ড ওয়াইফের সুন্দর
সংসারটা নষ্ট হয়ে যাক ।
আমি চাইনা ছোট্ট মেয়েটি
তার বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হোক ।
আমি একটি মেয়ে হয়ে
আমি কি করে পারব আরেকটি মেয়ে সংসার ভাঙতে
আমি অনেক ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি ।
আমার হাজব্যান্ড অনেক ভালো
আমার বিশ্বাস আমার হাসবেন্ড তানভীরের মতন বেঈমান হবে না ও আমাকে অনেক ভালোবাসে ।
আমি দোয়া করি আপু তোমরা সুখে থাকো
তুমি তানভীর কে ক্ষমা করে দিও
তোমরা নতুন করে আবার জীবন শুরু করো ।
আপু যদি পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও
ছোট বোন হিসেবে ।
মারিয়ার কথা শুনে যারা কেঁদে দিল
যারা বলল আসলে তুমি অনেক লক্ষী একটা মেয়ে
তোমাকে কি বলবো আমার বলার ভাষা নেই
যদি পারো আমার সাথে একবার দেখা কইরো ।
আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরে
একটু কাঁদতে চাই 😭😭
মারিয়ার বিয়ের কিছুদিন পরেই
তানভীর বাইরে চলে যায়
তানভীর কার উপর রাগ অভিমান করে
বাইরে চলে গেল এটা অজানা রয়ে গেল
এতে করে কি সবকিছু ঠিক হলো ।
আমি গল্প লেখক মোঃ আরিফ সরকার
আমি ধন্যবাদ জানাই মারিয়াকে
শুধু ধন্যবাদ জানাই না আমি তাকে স্যালুট ধরে।
কারণ যারা চাইছিল মারিয়াকে তানভীরের হাতে তুলে দিবে তাদের জীবন থেকে যারা চলে যাবে।
মারিয়া চাইলে তানভীর কে বিয়ে করতে পারতো
কিন্তু সে করেনি সে অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়েছে
এ যুগে এরকম মেয়ে খুব কম দেখা যায় ।
আমি যারাকেও ধন্যবাদ জানাই
যারা চেয়েছিল মারিয়া ও তানভীর জীবন থেকে
চলে যাবে। তারা দুইজনে অনেক মহান মানুষ 🫡
আপনার কাছে একটা প্রশ্ন
মায়া আর ভালবাসা কি এক জিনিস
সবাই কমেন্টে জানাবেন।