দরজার_ওপাশে পর্ব০২ এবং শেষ পর্ব
গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দরজার ওপাশ থেকে ভেসে আসছে কারো কান্নার আওয়াজ। দু’বছর আগে দরজার ওপাশের রুমটাতে লাবনীর সাথে আমার বাসর রাত হয়েছিলো। আজও আমার শ্বশুর বাড়ীর লোকেরা ফুল দিয়ে আমাদের জন্য বাসর ঘর সাজিয়েছেন
গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দরজার ওপাশ থেকে ভেসে আসছে কারো কান্নার আওয়াজ। দু’বছর আগে দরজার ওপাশের রুমটাতে লাবনীর সাথে আমার বাসর রাত হয়েছিলো। আজও আমার শ্বশুর বাড়ীর লোকেরা ফুল দিয়ে আমাদের জন্য বাসর ঘর সাজিয়েছেন
বউ আমার খুব লাজুক পা থেকে মাথা পর্যন্ত তাঁর লজ্জায় ভরা। তাই আমি ওর নাম দিয়েছি লজ্জাবতী লতা। লজ্জায় সে আমার সামনে আসতে পারে না। শ্বশুর বাড়ি যখন যাই একা কখনো রুমে আসেনা শুধু রাতের বেলা ছাড়া। সব সময় সাথে করে একমাত্র ছোট শালী লোপাকে নিয়ে আসবে। আমার মত এত বিশাল বড় কপাল কার আছে বলেন বউয়ের সাথে শালী ফ্রি।
-অনেক সময়ই তার ডায়রীটা পড়ার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু ইচ্ছে করেই পড়িনি। অনেক সময় গোপনে সেও আমার ডায়রীটা পড়ার বৃথা চেষ্টা চালিয়েছিল। এখনো চেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু মনে হয় না আমার কারণে সফল হয়ে উঠবে।
চট করে ফোনটা হাতে নিয়ে কল করলাম বুদ্ধিমান হাবাগোবা মানুষটাকে। -আমার ডায়রীটা কি এখন ফেরত পাওয়া যাবে? -হ্যাঁ, অবশ্যই। আপনার কাছে আমার একটা আবদার আছে, যদি ইচ্ছে হয় রাখবেন, আর নাহলে না করে দিয়েন।
ডায়রীটা খুলছি আর ভাবছি, “আসলেই কি লোকটা হাবাগোবা, নাকি ভেতরে বুদ্ধির বাসা”। পড়া শুরু করলাম ডায়েরীর প্রথম পাতা থেকে,
-যদি আপনার নিজের ডায়রীটা একদিনের জন্য আমাকে দেন তাহলেই আপনার স্ত্রীর ডায়রীটা ফেরত দেবো। ~আপনিও দেখছি আমার স্ত্রীর মত অদ্ভুত মানুষ। ঠিকাছে, কখন ও কোথায় আসতে হবে আমাকে?
টিউশনি করে রাতের বেলা হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরছিলাম। হঠাৎ পথের পাশে পড়ে থাকা একটা সবুজ রঙের ডায়রীর উপর নজর পড়লো। ভাবছিলাম তুলবো কিনা। এভাবে পড়ে থাকা কারো জিনিস ধরা তো ঠিক না। তারপরও কি মনে করে ডায়রীটা তুলে নিলাম।
আমি হাসপাতালে পৌঁছে যাই। ছায়ার রুমে প্রবেশের সাথে সাথেই কেউএকজন আমার গাল দুটা লাল করে দিল।
বসে বসে ভাবতে ছিলাম ছায়ার বাবার কাছে খবরটা পৌঁছাবো কিনা? কিন্তু ইতিমধ্যে সেও এসে হাজির হয়। অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ যে এতকিছু জানে অবশ্যই সে নজরটা বসিয়ে রেখে গিয়েছিল।
অনেকটা অবাক হলাম।কারণ যে মেয়ে অতীতের সম্পর্কের জন্য নিজের বিয়ে ভেঙে দেয় সে এভাবে এমন জায়গায় থাকবে সেটা আশা করিনি।