প্রবাসীর বিয়ে বিড়ম্বনা
৬ বছর প্রবাস জীবন পার করার পর যখন দেশে ফিরলাম তখন বাবা মা খুব করে চাইলেন আমি যেন বিয়ে করি। আমিও ভেবে দেখলাম বয়স তো কম হলো না। তাই বিয়ে করার জন্য রাজি হলাম।
৬ বছর প্রবাস জীবন পার করার পর যখন দেশে ফিরলাম তখন বাবা মা খুব করে চাইলেন আমি যেন বিয়ে করি। আমিও ভেবে দেখলাম বয়স তো কম হলো না। তাই বিয়ে করার জন্য রাজি হলাম।
আমি শুভর কথা শুনে হাসবো না রাগবো বুঝতে পারছিলাম না। বললাম,”শুভ এতো রাতে তোর রুমে ১টা মেয়ে,তোর বাবা জানলে কি হবে ভাব….আমি চিন্তায় পাগল হয়ে যাচ্ছি। আর, তুই মজা করছিস?”
সারিনা বসে আছে ড. ফাতেমার সামনে।সারিনার মায়ের কাছ থেকে ড.ফাতেমা গতরাতের ঘটনা সবটাই শুনেছে।তিনি সারিনা কে বললো, তুমি দেখেছো তোমার ঘরের আয়নার ভিতরে ১টা ছেলে
রেইনবো কেক দেখে আমি সত্যিই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম।কেউ যেন আমার শ্বাস-প্রশ্বাস আটকে দিয়েছিলো।আমি,শুভর দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলাম।শুভর বাবা বললো,কি হলো?এমন করছো কেন?কেকটা খাও।
বিয়ের পর ১০ বছর আমি সন্তানহীন ছিলাম।ডাক্তার বলেছিল আমি কখনোই মা হতে পারবোনা।আশাও ছেড়ে দিয়েছিলাম। আমার স্বামীর সাথেও আমার সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিলো না
জাহানারা অনেক আগেই চলে গিয়েছে। তবে আমি এখনো আগের মতোই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। ডায়রিটা খোলার সাহস হচ্ছে না,ভয় হচ্ছে,অনেক বেশি ভয় হচ্ছে।
বাবার পছন্দ করা ছেলেটাকে যখন ফোন দিলাম তখন সে ফোনটা রিসিভ করলো না,কেটে দিলো। ভাবলাম হয়তো ব্যস্ত আছে তাই আর বিরক্ত করলাম না। কিন্তু তার দুইমিনিট পরেই ওই নাম্বার থেকে কল আসলো
যখন মানুষের খারাপ সময় আসে তখন তাঁর ভালোবাসার মানুষটা তাকে সাহস দেয়,অনুরপ্রেরণা দেয়। তাকে কখনো এভাবে একা রেখে চলে যায় না। যেমনটা সাদাফ আমাকে রেখে চলে গিয়েছে। এই সময়টাতে তাকে আমার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিলো
যেদিন নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম বয়ফ্রেন্ড এর সাথে পালিয়ে যাবো বলে। সেদিন আমার বয়ফ্রেন্ড শূন্য হাতে বাসা থেকে বের হয়েছিল। সেদিন আমি কিছু বলতে পারিনি। শুধু নীরবে কিছুক্ষণ তাঁর দিকে এক বুক মায়াভরা মমতা নিয়ে তাকিয়ে ছিলাম।
নির্বোধের মত রাইসার পিছে পিছে হাটতে লাগলাম। রিলেশনের এই প্রথম আমার কাছে কিছু আবদার করলো। এর আগে কখনো কি চায়নি উল্টো ওই আমাকে মাঝে মাঝে হাত খরচের টাকা দিত।