প্রত্যাবর্তিত
রিনার শাশুড়ি মারা যাবার আগে বলে গিয়েছিলেন, ‘আমি মারা যাবার পর সংসারের কিছুই পাল্টাবা না। ঘরের সবকিছু যেমনভাবে রেখে যাচ্ছি, ঠিক সেভাবেই রেখো।’
রিনার শাশুড়ি মারা যাবার আগে বলে গিয়েছিলেন, ‘আমি মারা যাবার পর সংসারের কিছুই পাল্টাবা না। ঘরের সবকিছু যেমনভাবে রেখে যাচ্ছি, ঠিক সেভাবেই রেখো।’
মহিলাটি অপ্রকৃতিস্থ ছিলেন। স্বামী মারা যাবার পরই নাকি স্ট্রোক করেছিলেন, তারপর থেকেই এই অবস্থা। ঐ ছোটবয়সে এতো কিছু তো আর বুঝতাম না। শুধু তাকে দেখলেই রুপকথার ডাইনি বুড়ির কথা মনে পড়তো। সেই রকম লাল চোখ, খোলা চুল, শীর্ণ হাতে বড় বড় নখ। আমি খুব করে চেষ্টা করতাম উনার সামনে না পড়তে
রানাদের গ্রামে গিয়ে একটা জিনিস বেশ খটকা লাগছে। এ গ্রামে কেউ মাছ খায় না। মুরগি, খাসি, গরু, ডিম, কচুর লতি, লাউয়ের বড়া সবই খেয়েছি এখানে, কিন্তু মাছ খাইনি এখনো।
সেবার শীতে ফ্যামিলি ট্যুরে গেছি এক জায়গায়। জায়গার নাম বলছি না। আমাদের দেশের পূর্বে পাহাড়ের ধারের এক জায়গা। আমরা একটা কটেজে উঠেছি।
আমার ঘরের দেয়ালে কে যেন টোকা দিতো রাতের বেলায়।’ বলেই নিধি আপু চারা মেরে আমগাছ থেকে দুটো আম ফেলে দিলো। আমি অবাক হয়ে আপুর দীঘল কালো খোলা চুলের আন্দোলন দেখলাম
রাত যত গভীর হতে থাকে, পরিবেশ ততই ভারী হয়ে ওঠে। বাতাসের বয়ে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, আশপাশের সব শব্দ যেন হঠাৎ করেই স্তব্ধ হয়ে যায়। কৃষক রহিম মাঠে পানি সেচ দিতে গিয়েছিলেন।
আমি বসে আছি রান্নাঘরে। নোভা আপু চা বানিয়েছেন। বিখ্যাত মালাই চা। চায়ের সাথে চলছে গল্প। আপুর নিজের জীবনের ঘটনা। আমি তন্ময় হয়ে শুনছি। মুন্সীগঞ্জের বাতাসে আজকে বৃষ্টির ঘ্রাণ, বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় গল্প শুনতে ভালো লাগছে।
বিয়ে নিয়ে আমার আফসোস ছিলো না। বিয়ের পরপরই বাবার বাড়িতে চলে এসেছিলাম, সেখানে থেকেই পরীক্ষা দিলাম। একটা মাস আমার পরীক্ষা চললো, আমার বর আর শ্বশুরবাড়ির লোকজন মাঝেমাঝে ফোন করে আমার খোঁজখবর নিচ্ছিলো ঠিক,
আমরা অন্ধকার মাইক্রোতে বসে আছি। বাইরে অনবরত কাঁচে বাড়ি দেবার শব্দ। ভেতরে সবাই আতঙ্কে অস্থির। শায়লা আপু অদ্ভুত আচরণ করছে।
তিথি হঠাৎ বায়না ধরলো, ময়না পাখি কিনবে। ওর ক্লাসের একটা মেয়ের নাকি ময়না পাখি আছে। কেউ গেলেই বলতে থাকে, ‘আই লাভ ইউ’। মেয়েটা ওই ময়নার গল্প ক্লাসের সবাইকে বলে বেড়ায়।