এক মুঠো ভৌতিক
মিতুটা এমনই ছিলো। বান্ধবী রুবাকে ভয় দেখাতে মাঝরাতে ওর রুমের বাইরে এসে জানালায় নক করতো ঠকঠক করে। তখন কেমন বিরক্তই না লাগতো রুবার। অথচ আজ খারাপ লাগছে। তিনদিন আগে মারা গেছে মিতু।
মিতুটা এমনই ছিলো। বান্ধবী রুবাকে ভয় দেখাতে মাঝরাতে ওর রুমের বাইরে এসে জানালায় নক করতো ঠকঠক করে। তখন কেমন বিরক্তই না লাগতো রুবার। অথচ আজ খারাপ লাগছে। তিনদিন আগে মারা গেছে মিতু।
২/১৩ বছরের দু’টো মেয়েই একসাথে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। দু’জনের গলাই অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়ার মত করে পেঁচিয়ে আছে একটা মাত্র মোটা দড়ি। দৃশ্যটা ততক্ষণ ভয়ংকর ছিলো, যতক্ষণ মেয়েদু’টো ছিলো নিশ্চল, কিন্তু আতংকজনক হয়ে উঠলো যখন ওরা নড়তে আরম্ভ করেছিলো।
লোকটির বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। ছোটখাটো মানুষ। ডিসেম্বর মাসের তীব্র শীতেও পাতলা একটা পাঞ্জাবী পড়ে আছে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে গেছে। সে বসে আছে সোফার এক কোণে, জড়সড় হয়ে মাথা নিচু করে।
রাত তখন ঠিক ১২টা। গ্রামের এক প্রান্তে পুরোনো এক ভাঙাচোরা বাড়ি। অনেক বছর ধরে সেখানে কেউ থাকে না। কিন্তু হঠাৎ করেই, কিছুদিন ধরে রাত ১২টা বাজতেই বাড়িটা থেকে একটা অদ্ভুত কান্নার শব্দ ভেসে আসে। কেউ কাছে গেলে কিছুই পায় না, শুধু একটা ভয়ংকর ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়
বাস্তব জীবনে নিজ চোখে ভুত-প্রেত বা জ্বীন দেখা একজন মানুষের সাথে দেখা করার ইচ্ছা আমার দীর্ঘদিনের। আজ হঠাৎ এমন একজন মানুষ, যে কিনা ৬টা জ্বীন পোষে তার সাক্ষাৎ পেয়ে তাই মনটা আমার উত্তেজনায় ভরে উঠলো
দরজার ফাঁক গলে কেউ ক্যালেন্ডারটা রেখে গেছে। আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে ক্যালেন্ডারে কোন কোম্পানির নাম লেখা নেই। ছয় পাতার ক্যালেন্ডার। প্রতি পাতায় পাখির ছবি। প্রথম পাতায় একটা বিশাল বাজ পাখি। এতো জীবন্ত ছবি, মনে হয় এখনই ক্যালেন্ডার থেকে বের হয়ে উড়াল দেবে।
“দেখুন বাড়ি ভাড়া দিতে আমার আপত্তি নেই, শুধু একটাই শর্ত, আমার বাড়িতে কখনো খিচুড়ি রান্না করা যাবে না।” বাড়িওয়ালা লোকটার কথা শুনে বেজায় অবাক হল সৌগত। বাড়িভাড়া নিতে গিয়ে এর আগেও অদ্ভুত সব শর্তের কথা শুনলেও এটা একদমই নতুন।
ফ্রান্সের লিওন শহরে বাস করতো অ্যালেনোর নামের এক অষ্টাদশী মেয়ে। অ্যালেনোর সাধারণত বড় হয় এক বৃদ্ধার কাছে। অ্যালেনোরের জন্মের পূর্বেই তার বাবা মি. অলিভারের মৃত্যু হয়।
মর্গে নাইট ওয়াচম্যানের চাকরি’টা পেয়েছি সপ্তাহ খানেক হলো। চার দেয়ালের শ’খানেক লাশের মাঝখানে বসে থাকার দায়িত্ব টা একটু ভয়ানক বটে। রাত প্রায় বারোটা বাজতে চললো
ভয়ানক এই দ্বীপটির নাম শুনলেই মেক্সিকোর মানুষের নাওয়া খওয়া বন্ধ হয়ে যায় , হবেই না কেন ? কারন ঐ দ্বীপে কোনো মানুষ থাকে না, পুতুলের অতৃপ্ত ও অশরীরীরা ঐ দ্বীপে ঘুরে বেড়ায় । প্রায়ই দেখা যায় এক শিশুর ছায়া মূর্তি ভেসে বেরাতে ।