অপেক্ষা পর্ব – ৪ এবং শেষ পর্ব
সকাল হওয়ার আগেই ব্যাগ গুছিয়ে ঘরে একটা চিঠি লিখে রেখে চলে এলাম ঢাকার পথে। চিঠিতে লেখা ছিলো তারা যেন আমার জন্য বেশি চিন্তা না করে। হুট করেই আমি আবার ফিরে আসবো।
সকাল হওয়ার আগেই ব্যাগ গুছিয়ে ঘরে একটা চিঠি লিখে রেখে চলে এলাম ঢাকার পথে। চিঠিতে লেখা ছিলো তারা যেন আমার জন্য বেশি চিন্তা না করে। হুট করেই আমি আবার ফিরে আসবো।
এইটা কেমন কথা বাবা? তোমার খাওয়ার কষ্ট হয়েছে এটা আমাকে বললেই হয়। এত চিন্তা করা লাগে? আজ থেকে তুমি তিনবেলা আমাদের সাথেই খাবা। শুধু শুধু মেসে গিয়ে মেসভাড়া দিয়ে বুয়ার হাতের জঘন্য খাবার খাওয়ার কী দরকার বলো?
কিন্তু আঙ্কেল এসবের কি দরকার ছিলো? — আরে তাতে কী। তুমি তো আমার ছেলের মতোই তাই না? — জ্বি আঙ্কেল। — আচ্ছা শুনো, আমি মৃন্ময়কে পরে পাঠিয়ে দিলে তুমি তখন যেও কেমন? — আচ্ছা ঠিক আছে যাবো।
– আপনাকে না ছাদে আসতে মানা করেছিলাম তারপরও আজ আবার আসলেন? — আসলে এই ছাদ ছাড়া আর কোথায়ই বা যাবো বলুন? ছাদের চিলেকোঠায় থাকি। আমার তো আর বেলকনি নাই যে সেখানে একটু আসবো।
তিন্নি ডাক্তার ডাকে। ডাক্তার এসে মেডিসিন দিয়ে যায় আর তিন্নিকে বলে কাওকে রামিমের সাথে থাকতে। রামিম ছেলেটা এই পরিবারেরই একজন হয়ে গেছে তাই তিন্নি তার সাথে থাকবে বলায় কেউ আপত্তি করেনি।
এইযে হাদারাম আপনি ঘুড়ি বানাতে পারেন? – হ্যা পারি কেনো? – আমাকে একটা বানিয়ে দিবেন প্লিজ? – নাহ আপনাকে দিবোনা আপনি খুব বাজে।
গিফট বক্সটা খুলে তিন্নি অবাক হয়ে যায়। তার পছন্দের পায়েল যেটা সে টাকার জন্য কিনতে পারেনি সেটা। তিন্নি অবাক হওয়ার মাত্রা ছাড়িয়ে যায় কারন সেদিন সে একাই গিয়েছিলো তাই এটা আরতো কারোর জানার কথা না
বুঝলেন মশাই আপনার হবু বউয়ের দুই স্তনের মাঝে একটা তিল আছে আপনি খুব ভাগ্যবান এমন একটা বউ পেয়েছেন। বিয়ের ঠিক ১০ মিনিট আগে অপরিচিত একজনের মুখে একথা শুনে পাত্রের অবস্থা কি সেটা তো বুঝতেই পারছেন। কোনোরকমে বললো,
গ্রামের বাড়িতে আসার পরও বাবার একপাল ছাত্র জুটে গেলো। তবে বাবা এবার আর তাদের অন্দরমহলে ঢোকার অনুমতি দিলেন না। বাড়ির চারপাশে প্রাচীর তুলে প্রাচীরের বাইরে রুম করলেন ছাত্রদের জন্য।
আচ্ছা ঝিনুক আপা যদি কোথায় চলে যায় তখন তুই কার সাথে থাকবি? “আপা কোথায় যাবে? আমাকে ছেড়ে আপা কোথাও যাবে না আম্মা।