শেষ স্মৃতি পর্ব-০১
“বড় আপাকে আমি ঘৃণা করতাম। হ্যা যে মানুষটাকে ছাড়া আমার একটা মিনিটও চলতো না তাকে আমি প্রচন্ড ঘৃণা করতাম।”
“বড় আপাকে আমি ঘৃণা করতাম। হ্যা যে মানুষটাকে ছাড়া আমার একটা মিনিটও চলতো না তাকে আমি প্রচন্ড ঘৃণা করতাম।”
বিয়ের তিন বছর পর যখন জানতে পারলাম, আমি কখনো মা হতে পারব না। যে আমি পরিবারের প্রিয় পুত্রবধূ, চোখের মনি ছিলাম তার প্রতি ধীরে ধীরে সবার ব্যবহার বদলাতে শুরু করল
দোস্ত কিরে তুই ঘরে শুয়ে আছিস যে! কয়েক দিন ধরে তুই তো কলেজেও যাসনি
একটা অদ্ভুত জিনিস খেয়াল করলাম।ইনি তো অনুরোধের খুব কাছের বন্ধু।তাহলে এভাবে ওকে ইগনোর করে আমার সাথে কথা বলছে কিভাবে।একবার তাকালো পর্যন্ত না অনুরোধের দিকে।নিজের অন্যায়ের কথা এভাবে স্বীকার করে দিচ্ছে বন্ধুর সামনে!সত্যিই অদ্ভুত
লোকটার কথা শুনে আমি আর স্থির রাখতে পারলাম না নিজেকে।সারা শরীর একটা অদ্ভুত কম্পন দিয়ে উঠলো।এ কি করলাম আমি….!!নিজের হাতে নিজের বড়ো বোনের এতো বড়ো একটা সর্বনাশ কিকরে করলাম আমি…???
এরপর যা বুঝতে পারলাম আমার হাত পা ভয়ে কাঁপতে লাগলো।শীতের ভেতরেই ঘেমে শরীর একাকার হয়ে যাচ্ছে।ধরফর করে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলাম।নিজের নিশ্বাস দ্রুত থেকে দ্রুততর হতে লাগলো।আতংকে গলা শুকিয়ে কাঠ
—অপারেশনের নাম করে আমার স্ত্রীর ভেতরে থাকা বাচ্চাটা শেষ করে ফেলবেন।যতো টাকা দরকার আমি দেবো আপনাকে।প্লিজ ম্যাম, এইটুকু সাহায্য করুন আমায়।
এখন রাত ১১ টা বাজে। মায়া জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আকাশের সুন্দর চাঁদটাকে দেখছে। চাঁদের মাঝে ওর আর আবিরের অনেক পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ছে।
এরপর ইমরান সবার উদ্দেশ্য বলে দেয় যে আবির গান গাবে। এখন আর না করার কোন রাস্তা নেই আবিরের। মায়া শুধু আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে। আবিরও মায়ার দিকে তাকিয়ে গিটারটা হাতে নিয়ে বসে গান ধরে,
পরদিন সকালে, গতরাতটা দু’প্রান্তের দুজনের কাছে ছিল বিভীষিকাময়। ছিলনা কোন শান্তি। কষ্টের তীব্রতায় বুকের ভিতরটা শেষ হয়ে গিয়েছে দুজনের৷ একজনও রাতে বিন্দুমাত্র ঘুমায় নি