শিকল পর্ব০২
মায়ার উপর থেকে ঘোমটা সরে গেলে মায়া তাকিয়ে দেখে এ যে ইমরান। ইমরান মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে। মায়া ইমরানকে দেখা মাত্রই মাথা নিচু করে ফেলে। ইমরান এখনো মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে। হ
মায়ার উপর থেকে ঘোমটা সরে গেলে মায়া তাকিয়ে দেখে এ যে ইমরান। ইমরান মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে। মায়া ইমরানকে দেখা মাত্রই মাথা নিচু করে ফেলে। ইমরান এখনো মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে। হ
আজ মায়ার বিয়ে। যার সাথে মায়া বাসর ঘরের স্বপ্ন দেখেছিল যাকে ও ৬ বছর ধরে ভালবেসে এসেছে তার সাথে নয় অন্য কেউ। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য মায়ার প্রেমিকের বন্ধু ইমরানের সাথে আজ ওর বিয়ে৷ ভিতরটা শেষ হয়ে যাচ্ছে মায়ার।
যে স্বামী দিনের পর দিন তিয়াসাকে অত্যাচার নির্যাতন করে গেছে সেই স্বামীর অসুস্থতায় তিয়াসার কষ্ট হচ্ছে। বিয়ের পর প্রতিরাতেই স্বামী সাগরের হাতে মার খেয়েছে তিয়াসা। আজ ব্যতিক্রম কারণ সাগর মারাত্মকভাবে অসুস্থ
স্বামী সাগরের হাতে বিয়ের দ্বিতীয় রাতে অসহনীয় মার খেয়ে তিয়াসা সে রাতেই সিদ্ধান্ত নেয় এভাবে আর বাঁচবে না। যদি স্বামীর সাথে ভালোভাবে সংসার করতে পারে তাহলে করবে অন্যথায় নিজেকে শেষ করে দিবে।
সাগরকে বিদায় দিয়ে সাগরের মা তিয়াসাকে বলতে শুরু করেন, “সাগর আগে কতটা খারাপ ছিল তুমি কল্পনা করতে পারবে না। ভাবতে পার মা কেন তার ছেলেকে খারাপ বলবে? কিন্তু এটাই সত্যি। সাগর আগে মাদকাসক্ত ছিল।
বাসর ঘরে ঢুকেই সাগর রাগী সুরে বলে, “শাড়ির আচল এভাবে ফেলে রেখে বুক দেখানোর মানে কি? আর বিয়ের শাড়ি পাল্টানোর দরকার কি ছিল?”
দেখতে দেখতে টগরেরও স্কুল যাওয়ার বয়স হয়ে গেলো।তীর-তরীর এখন তেরো বছর বয়স। জামান এই কটা বছর খুবই ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়েছে ব্যবসা নিয়ে।কারন, তার বড় ভাই মারা গেছে
তীর আর তরীর বয়স মাত্র ২ বছর। ওদেরকে নিয়ে জামান যেনো অথই সাগরে পরেছে। শাহানার জন্য মন খারাপ করার সময়ও সে পাচ্ছেনা।ওদেরকে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো এসব যেন একেকটা যুদ্ধ
২ টি যমজ শিশু কোলে নিয়ে শাহানা তড়িৎ গতিতে হাঁটছে।তার স্বামী আসার আগেই চলে যেতে হবে ষ্টেশনে। সেখানে আহসান অপেক্ষা করছে তার জন্য। আহসান তার বাল্য কালের প্রেমিক।
রাতে মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো আর কতদিন বাবা এবারতো একটা বিয়ে করে নে। আর রাইসাও তো এখন বড় হয়েছে ওকে না হয় আমার কাছেই রেখে দিব।