বিবেক__হীন পর্ব_০১
– ভাবি দরজা বন্ধ করলেন কেনো। (আমি) — আজ আমি তোকে একটা উপহার দিব,তাই। — তাই, তা কি উপহার দিবে আমার প্রিয় ভাবি টা। — তোকে এমন জিনিস দিব তুই কল্পনাও করতে
– ভাবি দরজা বন্ধ করলেন কেনো। (আমি) — আজ আমি তোকে একটা উপহার দিব,তাই। — তাই, তা কি উপহার দিবে আমার প্রিয় ভাবি টা। — তোকে এমন জিনিস দিব তুই কল্পনাও করতে
ছিঃ, আমি মোটেও ওসব করতে চাচ্ছি না। দেখ এই অবস্থায় তোমার স্ট্রেস নেওয়া একদম ঠিক না। তাই তোমাকে রিল্যাক্স করতে হেল্প করছি। এতো স্ট্রেস নিলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে। তাই এখন থেকে নো স্ট্রেস। তুমি এখন আরামে শুয়ে থাকো। আর যা লাগবে আমাকে বলবে হ্যাঁ? একদম বেশি চলাফেরা করবে না।
“মিঃ আরাফ আপনি প্রেগন্যান্ট। ডক্টরের এমন অত্যাশ্চর্য জনক উদ্ভট বানী শুনে হতভম্ব হয়ে গেল আরাফ এবং ওর স্ত্রী ফারিয়া। কিছুদিন যাবৎ শরীর খারাপ যাচ্ছিল আরাফের।
মেঘ আর আরিয়ান এখন নতুন ভাড়া করা ছোট্ট একটা ঘরে থাকে।ছোট রান্নাঘর, এক রুম, একটা বারান্দা। কিন্তু শান্তি আছে।আর সেই শান্তিটুকুর নাম— ভালোবাসা”। মেঘ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে আরিয়ান রান্না করছে।
সকালে মেঘ আয়নায় নিজের মুখ দেখে।চোখে ক্লান্তি, চুল এলোমেলো, মুখ শুকনো।নিজেরই মুখে নিজেকে জিজ্ঞেস করে,তুই তো ঘৃণা করিস আরিয়ানকে, তাই তো?
রাতে মেঘকে রক্ষা করার ঘটনার ঠিক পরদিনই থানায় এক অভিযোগ যায়—আরিয়ান এক লোককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।মৃত নয়, কিন্তু আশঙ্কাজনক।
শহরের বড়লোক বাবার একমাত্র ছেলে আরিয়ান কয়েকদিনের জন্য গ্রামে এসেছে।নেশা, দেহলোভ আর উদ্দাম জীবনে অভ্যস্ত এই ছেলেটা সব সময় মদে ভাসে।
ঘড়ির কাঁটা সকাল ৮টা ছুঁইছুঁই।আবির অফিস যাওয়ার জন্য ব্যাগ গোছাচ্ছে, আর মিথিলা এক কাপ চা নিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে।চুপচাপ দাঁড়িয়ে থেকে হঠাৎ মিথিলা বলল, তুমি আমাকে না ভালোবাসলে কি হতো?
বৃহস্পতিবারের সকাল।আজ অফিসে একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রেজেন্টেশন। মূলত আবির রহমান নিজে উপস্থিত থাকবেন, এবং ক্লায়েন্টদের সামনে নতুন একটি পরিকল্পনার খসড়া তুলে ধরা হবে
রাত তখন প্রায় তিনটা।ঘরের সবকিছু অন্ধকার, নিঃস্তব্ধ, শুধু ঘড়ির কাঁটার টিকটিক শব্দটা শোনা যাচ্ছে।আমি চুপচাপ বিছানায় শুয়ে, তাকিয়ে আছি সিলিংয়ের দিকে।