অদৃশ্যের ভয়
বাথরুমের দরজা খুলে বের হয়ে রুপন্তী চিৎকার করে বললো, ‘এই ফাজিল। তুমি বাথরুমের দরজা ধরে ধাক্কাচ্ছিলে কেন?’ আমি ভীষণ অবাক হয়ে বললাম, ‘আমি? আমি বাথরুমের দরজা ধরে ধাক্কাচ্ছিলাম? কে বললো?’
বাথরুমের দরজা খুলে বের হয়ে রুপন্তী চিৎকার করে বললো, ‘এই ফাজিল। তুমি বাথরুমের দরজা ধরে ধাক্কাচ্ছিলে কেন?’ আমি ভীষণ অবাক হয়ে বললাম, ‘আমি? আমি বাথরুমের দরজা ধরে ধাক্কাচ্ছিলাম? কে বললো?’
লিফটের ভিতর ঘুটঘুটে অন্ধকার। মনে হলো কেউ একজন লিফটে আছে। স্পষ্ট নিঃশ্বাসের শব্দ শুনলাম। কিন্তু লিফটে ঢোকার সময় তো কাউকে দেখেছি মনে পড়ছে না। আমি মোবাইলের আলো জ্বালালাম, লিফট খালি, কেউ নেই
–আজ ২১ শে ডিসেম্বর? ওহ হো খেয়াল ছিল না। বাসায় যাই। তপু তুমিও চলে যাও বাসায়। আজ রাতে ফ্ল্যাট থেকে বের হবে না। রাজন ভাইয়ের কথায় আমি একটু অবাক হলাম। ২১ শে ডিসেম্বর এর মাহাত্ম্য কি? মনে পড়ল আজ আমাদের কর্কটক্রান্তীয় অঞ্চলে সবচেয়ে দীর্ঘ রাত্রি।
আমি বুড়ী দাদীকে মলম লাগিয়ে দিচ্ছিলাম দাদীও পাসে বসা ছিলো, মেজো আপু এসে আমাদের কাছে বসল। একটু আমতা আমতা করেই সবার উদ্দেশ্য বলল, — মানুষ কি কখনো জীবন্ত সাপ খায়!??
আপুর মৃত্যুর কয়েক মাস আগের ঘটনা, কলেজে কি এক রাজনৈতিক ঝামেলার জন্য সব শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে বাসায় চলে আসছিলো। বড় আপুও চলে আসে। মা খুব অসুস্থ থাকায় মেজ আপু আর আমিও চলে আসি। আমরা তিন বোন একই ইউনিভার্সিটি কলেজের সিনিয়র জুনিয়র ছিলাম।
বড় আপুর মৃত্যুটা হয়েছিলো খুব রহস্য জনক ভাবে! বাবার জোরাজোরি তে যদি ময়নাতদন্ত করা না হতো তাহলে এই রহস্যের সামান্য পরিমাণও আমরা জানতে পারতামনা।
দিয়াসা পাশের ওই শব্দ হওয়া রুমে যা ওই রুমটা আমারই ছিলো,ওখানে একটা আইনা আছে ওই আইনাটার দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকবি তখন ভয় কি তুই জানতে পারবি”
রাত তখন প্রায় দুটো। শহর জুড়েই পিনপতন নীরবতা, যেন এক অতলান্ত ঘুমে ঢলে পড়েছে সমগ্র জনপদ। শুধু ঝিঁঝিঁ পোকার অবিরাম একঘেয়ে ডাক আর দক্ষিণ খোলা জানলা দিয়ে ভেসে আসা ভেজা মাটির সোঁদা গন্ধটা জানান দিচ্ছিলো যে কিছুক্ষণ আগেই এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে।
দার্জিলিং-এর মাথায় মেঘের চাদর সরিয়ে যখন শতাব্দী প্রাচীন ‘মেঘমহল’ তার ধূসর অবয়ব মেলে ধরল, স্থপতি ইশানী রায়ের শিরদাঁড়া দিয়ে একটা শীতল স্রোত বয়ে গেল। এই গথিক স্থাপত্যের রহস্যময়তা আর ইতিহাসের ভার তাকে যতটা টানছিল, তার চেয়েও বেশি ছিল এক অজানা আতঙ্ক
সময়ের আঘাতে জীর্ণ হয়ে যাওয়া স্থাপত্য আর তার বুকে জেগে থাকা প্রকৃতির ধীর, নিঃশব্দ জয়। স্থানীয়দের কাছে ‘শিকদার মঞ্জিল’ নামে পরিচিত এই পোড়ো বাড়িটা ছিল তার সেই সিরিজের নিখুঁত বিষয়।