অদ্ভুত মৃত্যু
সন্ধ্যা ৭টা। ঢাকা শহরের গলি ঘেঁষে ছোট এক বাসায় মিলল এক তরুণীর লাশ। বয়স মাত্র ২৪। নাম — সায়রা রহমান।
সন্ধ্যা ৭টা। ঢাকা শহরের গলি ঘেঁষে ছোট এক বাসায় মিলল এক তরুণীর লাশ। বয়স মাত্র ২৪। নাম — সায়রা রহমান।
কোনো বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে খালি পড়ে থাকলে নাকি সেখানে খারাপ কিছু এসে থাকা আরম্ভ করে। আজকাল এসব বিশ্বাস করা হয় না। আমিও এসব বিশ্বাস করতাম না, যদি অফিসের কাছাকাছি হওয়ায় সেই পরিত্যক্ত বাড়ির পাশের ছাপড়া ঘরটা আমাকে ভাড়া নিতে না হতো
পাশের বাসার ভাবি আমাকে দেখেই মুখ গোমড়া করে বললেন, ‘অ্যাই, সুমিকে আনছো না কেন? পুরো বিল্ডিংটা কেমন খালি খালি লাগে তোমার বউকে ছাড়া। এতোদিন বউকে বাপের বাড়ি রাখে কেউ?’
বাবা মার একমাত্র সন্তান ,তাই মিরপুর দশ এর ছয়তলা বাড়িটা আমিই পেলাম । তিন তলার ফ্লাটে থাকি , ফ্লাটটি সুন্দর তবে রান্না ঘরের ফ্লোরটা অনেকটা উঁচু । এই ফ্লোরটা এমন কেন বুঝতে পারলাম না । মা বেঁচে থাকতে তিনতলায় কখনো আসিনি
আমার বিয়ে হয়েছে প্রায় দুবছর হলো। দুবছরের বিবাহিত জীবন আমার খুব ভালোভাবেই কাটছিলো। আমার স্বামী সরকারি ১০ম গ্রেডের চাকরিতে আছেন, সংসারে কেবল আমার শাশুড়ি আর স্বামীই আছেন।
রাত গভীর হলে খাটের নিচ থেকে আঁচড় কাটার শব্দ পাওয়া যায়। এই শব্দ আবার রুবিনা ছাড়া কেউই শোনে না। সাজ্জাদকে একদিন ডেকেছিলো, সে ঘুম ঘুম গলায় বললো- “কি?”
পাশের ফ্ল্যাটের চিৎকার-চেঁচামেচি ক্রমশ বেড়েই চলেছে। যত দিন যাচ্ছে ততই বাড়ছে, আচ্ছা এরা কি আমাকে শান্তিতে থাকতে দেবেনা। যখনই একটা ছবি মনোযোগ দিয়ে আঁকতে যাই, শুরু হয়ে যায় এদের চেঁচামেচি।
আম্মু বললো, ‘দেখতো, তোর মামা-মামী আসার সময় হয়ে গেছে। উনারা আসছেন কিনা?’ আমি বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। আমাদের বাসা থেকে রাস্তার অনেকদূর পর্যন্ত দেখা যায়। শহরের শেষ মাথায় আমাদের বাসা, এরপরই বিস্তীর্ণ ধানক্ষেত।
শ্যামল নিজের আঙুল নিজেই খাচ্ছে। ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরছে। হাড় চাবানোর কচকচ বিশ্রী রকমের শব্দ আসছে তার মুখ থেকে। সেই সাথে ভেসে আসছে একটা অসহনীয় পঁচা দূর্গন্ধ। রানু বিশ্বাস করতে পারছে না এমন কিছু সত্যই তার সামনে ঘটছে।ও এটা ভেবে অবাক হলো
রানু গভীর রাতে একা একা বাড়ির পেছনের গোরস্থানে এসে দাঁড়ায়। আজ যদি একটু ভয় পাওয়া যায়, এই আশা নিয়ে সে গোরস্থানে এসেছে। রানু ভুত বিশ্বাস করে না। এতটুকুও না।