ভুল পর্ব ৫ এবং শেষ পর্ব
আমি নিলয়ের সাথে কথা বলি,,, ওর সাথে মিশি কিসের জন্য একবারো জানার প্রয়জন মনে করো নি? একবারো প্রশ্ন করার প্রয়জন মনে করো নি?? আমি এখনো চুপ,,, মাথা নিচু করে পায়ের কাছে পরে থাকা চিঠিটার দিকে তাকিয়ে আছি।
আমি নিলয়ের সাথে কথা বলি,,, ওর সাথে মিশি কিসের জন্য একবারো জানার প্রয়জন মনে করো নি? একবারো প্রশ্ন করার প্রয়জন মনে করো নি?? আমি এখনো চুপ,,, মাথা নিচু করে পায়ের কাছে পরে থাকা চিঠিটার দিকে তাকিয়ে আছি।
খুব বিপদে পরছি দোস্ত। একটু হেল্প কর না। কি!!! কি বিপদ? আমাকে আজ রাতটা তোদের বাসায় একটি থাকতে দিবি??
“”””আর প্রেম নয়,,, এবার সোজা বিয়ে,, কার্ড ছাপাতে দিয়ে দিয়েছি অলরেডি””” মাইশার ফোন ম্যাসেসটা দেখে মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো। গলা শুকিয়ে গেছো। তলে তলে তাহলে এতো দুর!!!
আমার স্ত্রী মাইশা বেলকনিতে দাড়িয়ে কারো সাথে হাসতে হাসতে কথা বলতেছিলো। যা আমার একদম সহ্য হয় নি। তাই মাইশাকে গিয়ে বললাম কার সাথে কথা বলছো তাও আবার এতো সকালে।
আমি বসে বসে ল্যাপটবে অফিসের কাজ করছি। আর আমার স্ত্রী মাইশা আয়নার সামনে বসে সাজুগুজু করছে। মেয়েরা পারেও ভাই। একটু পরে দুজনে শুইতে যার আর ও সাজুগুজু করছে।
জ্বীনহুজুর শুনছেন? এখানে গোসল করার জায়গা কোনটা? গোসলখানার মতো কোনোকিছুই তো চোখে পড়ছে না। ” মায়ার কথায় পেছন ঘুরে তাকালো মুহিব। এতক্ষন সামনে থাকা ঝর্ণার দিকে চেয়ে ছিলো ও।
বন্ধঘরে ডুকরে ডুকরে কেঁদে উঠছে মায়া। ব্যাথায় সারা শরীর অবশ হয়ে আসছে। কিছুক্ষন আগে মুহিব এসে মায়াকে বে*ল্ট দিয়ে বে*ধ*রম পি*টিয়েছে। যার ফল ভোগ করছে মায়া। অথচ কস্মিনকালেও মুহিব এটা কল্পনা করতে পারেনা।
মুহিব সাদিয়ার কপাল থেকে নিজের হাত দিয়ে ঘাম মুছে দিলো। তারপর ওর কপালে নিজের ঠোট গভীর ভাবে ছোঁয়ালো। মুহিবকে কাছে আসতে দেখে সাদিয়া চট করে দূরে সরে যায়। মুহিব সাদিয়ার কোলে মাথা রাখে।
বাসর রাতে একহাত ঘোমটা দিয়ে বউ বরের জন্য অপেক্ষা করবে, বর ঘরে আসলে উঠে গিয়ে সালাম করবে, একসাথে নামায পড়তে হবে এগুলো নাকি নিয়ম। অথচ সাদিয়া এখন কোনোটাই করতে পারবে না। কথাটা ভাবতেই কেঁদে ওঠে সাদিয়া
সারা শরীরজুরে শিরশির অনুভূতিতে কেঁপে উঠলো সাদিয়া। গলায়, পেটে, হাটুর কিছুটা উপরে কারোর শীতল হাতের ঠান্ডা স্পর্শে নড়ে উঠলো ও। চোখ দুটো যেন খুলতে নারাজ। সাদিয়ার হাত ক্রোমশ উচু হতে শুরু করে। সাদিয়া অনুভব করছে কারোর শীতল মুখশ্রী। হাতে খোচা খোচা দাড়ি ফুটছে