প্রবাসীর বিয়ে বিড়ম্বনা
৬ বছর প্রবাস জীবন পার করার পর যখন দেশে ফিরলাম তখন বাবা মা খুব করে চাইলেন আমি যেন বিয়ে করি। আমিও ভেবে দেখলাম বয়স তো কম হলো না। তাই বিয়ে করার জন্য রাজি হলাম।
৬ বছর প্রবাস জীবন পার করার পর যখন দেশে ফিরলাম তখন বাবা মা খুব করে চাইলেন আমি যেন বিয়ে করি। আমিও ভেবে দেখলাম বয়স তো কম হলো না। তাই বিয়ে করার জন্য রাজি হলাম।
গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দরজার ওপাশ থেকে ভেসে আসছে কারো কান্নার আওয়াজ। দু’বছর আগে দরজার ওপাশের রুমটাতে লাবনীর সাথে আমার বাসর রাত হয়েছিলো। আজও আমার শ্বশুর বাড়ীর লোকেরা ফুল দিয়ে আমাদের জন্য বাসর ঘর সাজিয়েছেন
বউ আমার খুব লাজুক পা থেকে মাথা পর্যন্ত তাঁর লজ্জায় ভরা। তাই আমি ওর নাম দিয়েছি লজ্জাবতী লতা। লজ্জায় সে আমার সামনে আসতে পারে না। শ্বশুর বাড়ি যখন যাই একা কখনো রুমে আসেনা শুধু রাতের বেলা ছাড়া। সব সময় সাথে করে একমাত্র ছোট শালী লোপাকে নিয়ে আসবে। আমার মত এত বিশাল বড় কপাল কার আছে বলেন বউয়ের সাথে শালী ফ্রি।
-অনেক সময়ই তার ডায়রীটা পড়ার সুযোগ হয়েছে। কিন্তু ইচ্ছে করেই পড়িনি। অনেক সময় গোপনে সেও আমার ডায়রীটা পড়ার বৃথা চেষ্টা চালিয়েছিল। এখনো চেষ্টা চালাচ্ছে, কিন্তু মনে হয় না আমার কারণে সফল হয়ে উঠবে।
চট করে ফোনটা হাতে নিয়ে কল করলাম বুদ্ধিমান হাবাগোবা মানুষটাকে। -আমার ডায়রীটা কি এখন ফেরত পাওয়া যাবে? -হ্যাঁ, অবশ্যই। আপনার কাছে আমার একটা আবদার আছে, যদি ইচ্ছে হয় রাখবেন, আর নাহলে না করে দিয়েন।
ডায়রীটা খুলছি আর ভাবছি, “আসলেই কি লোকটা হাবাগোবা, নাকি ভেতরে বুদ্ধির বাসা”। পড়া শুরু করলাম ডায়েরীর প্রথম পাতা থেকে,
-যদি আপনার নিজের ডায়রীটা একদিনের জন্য আমাকে দেন তাহলেই আপনার স্ত্রীর ডায়রীটা ফেরত দেবো। ~আপনিও দেখছি আমার স্ত্রীর মত অদ্ভুত মানুষ। ঠিকাছে, কখন ও কোথায় আসতে হবে আমাকে?
টিউশনি করে রাতের বেলা হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরছিলাম। হঠাৎ পথের পাশে পড়ে থাকা একটা সবুজ রঙের ডায়রীর উপর নজর পড়লো। ভাবছিলাম তুলবো কিনা। এভাবে পড়ে থাকা কারো জিনিস ধরা তো ঠিক না। তারপরও কি মনে করে ডায়রীটা তুলে নিলাম।
আমি শুভর কথা শুনে হাসবো না রাগবো বুঝতে পারছিলাম না। বললাম,”শুভ এতো রাতে তোর রুমে ১টা মেয়ে,তোর বাবা জানলে কি হবে ভাব….আমি চিন্তায় পাগল হয়ে যাচ্ছি। আর, তুই মজা করছিস?”
সারিনা বসে আছে ড. ফাতেমার সামনে।সারিনার মায়ের কাছ থেকে ড.ফাতেমা গতরাতের ঘটনা সবটাই শুনেছে।তিনি সারিনা কে বললো, তুমি দেখেছো তোমার ঘরের আয়নার ভিতরে ১টা ছেলে