মায়া পরি পর্ব_০২_
বাসর রাতে একহাত ঘোমটা দিয়ে বউ বরের জন্য অপেক্ষা করবে, বর ঘরে আসলে উঠে গিয়ে সালাম করবে, একসাথে নামায পড়তে হবে এগুলো নাকি নিয়ম। অথচ সাদিয়া এখন কোনোটাই করতে পারবে না। কথাটা ভাবতেই কেঁদে ওঠে সাদিয়া
বাসর রাতে একহাত ঘোমটা দিয়ে বউ বরের জন্য অপেক্ষা করবে, বর ঘরে আসলে উঠে গিয়ে সালাম করবে, একসাথে নামায পড়তে হবে এগুলো নাকি নিয়ম। অথচ সাদিয়া এখন কোনোটাই করতে পারবে না। কথাটা ভাবতেই কেঁদে ওঠে সাদিয়া
সারা শরীরজুরে শিরশির অনুভূতিতে কেঁপে উঠলো সাদিয়া। গলায়, পেটে, হাটুর কিছুটা উপরে কারোর শীতল হাতের ঠান্ডা স্পর্শে নড়ে উঠলো ও। চোখ দুটো যেন খুলতে নারাজ। সাদিয়ার হাত ক্রোমশ উচু হতে শুরু করে। সাদিয়া অনুভব করছে কারোর শীতল মুখশ্রী। হাতে খোচা খোচা দাড়ি ফুটছে
পরের দিনও আরিফ অফিসে যায় না। সে দীর্ঘ একটা প্ল্যান করেছে, নয়নকে এই বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। নয়ন যেই কলেজে পড়ে, ঠিক সেই কলেজের কাছাকাছি একটা পুরাতন জমিদার বাড়ি আছে। জায়গাটা সব সময়েই নির্জন থাকে। আরিফ, নয় দুপুর ১টায় কলেজ ছুটি হলে নয়ন কলেজ থেকে বেরিয়ে গেটের কাছে মামাকে দেখে বেশ অবাক হয়।
আচ্ছা বাবা, তোমরা যেইটা দিয়ে পিশাব করো, ঐটা মুখে নিলে কী হয়? নিজের ৬ বছর বয়সের বাচ্চা মেয়েটার মুখে এই প্রশ্নটা শুনে আরিফ পুরো থতমত খেয়ে গেল। রিতু এতক্ষন ধরে চিপস খাচ্ছিল আর টিভিতে কার্টুন দেখছিল। হঠাৎই টিভি থেকে চোখ সরিয়ে আরিফের দিকে তাকিয়ে প্রশ্নটা করে সে
মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে দীপ্তি আর রিসাদ। এতোবছর পর দীপ্তি রিসাদকে দেখে মুহূর্তে নিজের সব রাগ অভিমান ভুলে জরিয়ে ধরে। ওর যে বয়স হয়েছে, চুলে পাক ধরেছে, পাশে মেয়ে দাড়িয়ে আছে তা যেন ভুলেই গেছে।
দুুটি মানুষের ভালোবাসার সম্পর্কের সবচেয়ে বড় খুঁটি হল বিশ্বাস। এই খুঁটি যেমন মজবুত হয় তেমনই নাজুক হয়। সম্পর্কের বাকি খুঁটি যেমন রাগ অভিমান সহজের দূর করা যায়। কিন্তু বিশ্বাস, বিশ্বাস একবার ভেঙে গেলে তা দ্বিতীয় বার আর গড়ে না বা গড়া যায় না।
অনবরত ফোন দিয়ে যাচ্ছে রিসাদ। অফিসের সামনে দাড়িয়ে আছে এই অপেক্ষায় যে কখন দীপ্তি অফিসে আসবে। দীপ্তি আদৌও আসবে কিনা তা নিয়েও বেশ সংশয়ে আছে ও। কারন দীপ্তি স্বাধীনচেতা মেয়ে
এক হাতে প্রেগন্যান্সির পজিটিভ রিপোর্ট আর অন্য হাতে ডিভোর্স পেপার নিয়ে বসে আছে দীপ্তি। কিছুক্ষণ আগেই দুটো পেয়েছে। রিপোর্টটা হাতে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় খুব হাসিখুশি ছিল দীপ্তি, ভেবেছিল এবার হয়ত সবটা আগের মতো হয়ে যাবে।
আমার নাম শাকিল। আমি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার ঘারমোড়া গ্রামের বাসিন্দা। আমাদের পরিবার বেশ পুরোনো, সুখ-শান্তিতেই চলছিল, কিন্তু কয়েক মাস ধরে এক অদ্ভুত অশান্তি আমাদের ঘিরে ধরেছিল
মেঘা আমাকে দেখে চিৎকার করে উঠলো, ‘ভাবি, এ কি হয়েছে আপনার?’ মেঘার চিৎকার করাই স্বাভাবিক। সারারাত ঘুমাইনি। চোখ টকটকে লাল। মুখটাও মলিন, আলুথালু বেশ। এ অবস্থাতেই রান্নাঘরে ঢুকেছি। কালকে রাতের নতুন চকচকে বউকে আজ সকালে এই অবস্থায় দেখলে আমি নিজেই চিৎকার করে উঠতাম।