সে আসে
আমার বিয়ের রাতে আমার বর একটা তাবিজ গিফট দিলো। আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘এটা কি?’ আমার বর সাজু খানিকটা লজ্জা পেয়েই বললো, ‘তাবিজ।’ ‘সেটা তো বুঝতেই পারছি। কিন্তু এটা কেন?’
আমার বিয়ের রাতে আমার বর একটা তাবিজ গিফট দিলো। আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘এটা কি?’ আমার বর সাজু খানিকটা লজ্জা পেয়েই বললো, ‘তাবিজ।’ ‘সেটা তো বুঝতেই পারছি। কিন্তু এটা কেন?’
মিতুটা এমনই ছিলো। বান্ধবী রুবাকে ভয় দেখাতে মাঝরাতে ওর রুমের বাইরে এসে জানালায় নক করতো ঠকঠক করে। তখন কেমন বিরক্তই না লাগতো রুবার। অথচ আজ খারাপ লাগছে। তিনদিন আগে মারা গেছে মিতু।
জালালুদ্দিন মাতবর আর রশিদ বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে ডোবাটার দিকে। এই জঙ্গলের ভেতরে এমন অদ্ভুত একটা ডোবা থাকতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না। ডোবাটাকে ঘিরে আছে উঁচু ঝোপ আর ঘন গাছের সারি। তাই পথ থেকে দেখে কেউ বুঝতেই পারবে না ওগুলোর পরে একটা ডোবা আছে।
রশিদ আর জালালুদ্দিন মাতবর ঘন অন্ধকারের মধ্যেও সাঁতরে এক জায়গায় পৌঁছালেন পানির মধ্যে। রশিদ হাঁপাতে হাঁপাতে জিজ্ঞেস করলো, ‘হচ্ছেটা কী এসব? মাতবরও হাপাচ্ছেন, ‘পিশাচটা ভ্রম সৃষ্টি করে তোমাকে হত্যার জন্যই এখানে নিয়ে এসেছে মনে হচ্ছে। কিন্তু আমাকে পিশাচ শক্তি এখানে নিয়ে এসেছে নাকি কোনো শুভ শক্তি তোমাকে বাঁচাতে ভ্রম সৃষ্টি করে আমাকে এখানে এনেছে বুঝতে পারছি না।’
জালালুদ্দিন মাতবর বিস্ময় নিয়েই রশিদের পিছু নিয়েছিলেন। এতরাতে কোথায় চলেছে ছেলেটা তার রক্ষা কবজগুলো খুলে! চাঁদের মিহি আলো, মধ্যরাতের স্নিগ্ধ বাতাস, গাছ ঢাকা এই পথ শুন-শান নীরবতার মধ্যে দিয়েও যেন এক আতঙ্কের আভাস দিচ্ছে
জালালুদ্দিন মাতবর বিস্ময় নিয়েই রশিদের পিছু নিয়েছিলেন। এতরাতে কোথায় চলেছে ছেলেটা তার রক্ষা কবজগুলো খুলে! চাঁদের মিহি আলো, মধ্যরাতের স্নিগ্ধ বাতাস, গাছ ঢাকা এই পথ শুন-শান নীরবতার মধ্যে দিয়েও যেন এক আতঙ্কের আভাস দিচ্ছে
মধ্যরাতে গ্রামের মানুষ আর তান্ত্রিক বুড়োর নিষেধ না মেনে চারটা মেয়ের লাশ পুলিশ ভ্যানে তুলে থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়ার আগে পুলিশের দলটা কল্পনাও করতে পারেনি মাঝপথে মাথাবিহীন এই চার কিশোরীর লাশ জীবিত হয়ে উঠবে
আফসারপুরের প্রাচীন পুকুর ঘিরে যে আতঙ্ক এতদিন বিরাজ করছিল মানুষের মাঝে, একসাথে সেখান থেকে ৪টি মাথাবিহীন কিশোরীর লাশ ভেসে ওঠায় তা মহা আতঙ্কে রূপ নিল। সন্ধ্যার পরে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে।
একি! চমকে উঠতে হলো তাকে। ওখানে বাবা-মা কই! তারা যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে দাঁড়িয়ে আছে তুলি আর নুপুর। ঘুরে তার দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে হাসছে। পুকুরের মাঝামাঝি কী একটা যেন ভেসে উঠলো
শক্ত হাতটা টেনে নিয়ে যেতে থাকে তুলিকে পুকুরের দিকে। সর্বশক্তি দিয়ে সে চেঁচাচ্ছে আর হাত ছাড়াতে চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো লাভই হচ্ছে না। একদম পুকুরের পাড়ে নিয়ে এসেছে ওকে নুপুর।