প্রেগনেন্ট পর্ব০১
“মিঃ আরাফ আপনি প্রেগন্যান্ট। ডক্টরের এমন অত্যাশ্চর্য জনক উদ্ভট বানী শুনে হতভম্ব হয়ে গেল আরাফ এবং ওর স্ত্রী ফারিয়া। কিছুদিন যাবৎ শরীর খারাপ যাচ্ছিল আরাফের।
“মিঃ আরাফ আপনি প্রেগন্যান্ট। ডক্টরের এমন অত্যাশ্চর্য জনক উদ্ভট বানী শুনে হতভম্ব হয়ে গেল আরাফ এবং ওর স্ত্রী ফারিয়া। কিছুদিন যাবৎ শরীর খারাপ যাচ্ছিল আরাফের।
২/১৩ বছরের দু’টো মেয়েই একসাথে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছিলো। দু’জনের গলাই অপরাধীদের ফাঁসি দেওয়ার মত করে পেঁচিয়ে আছে একটা মাত্র মোটা দড়ি। দৃশ্যটা ততক্ষণ ভয়ংকর ছিলো, যতক্ষণ মেয়েদু’টো ছিলো নিশ্চল, কিন্তু আতংকজনক হয়ে উঠলো যখন ওরা নড়তে আরম্ভ করেছিলো।
লোকটির বয়স চল্লিশের কাছাকাছি। ছোটখাটো মানুষ। ডিসেম্বর মাসের তীব্র শীতেও পাতলা একটা পাঞ্জাবী পড়ে আছে। চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে গেছে। সে বসে আছে সোফার এক কোণে, জড়সড় হয়ে মাথা নিচু করে।
আমি আসলে মেয়েটাই শহুরে। সারাজীবন শহরে বড় হয়েছি। শহরের এই ইট কাঠের বাড়ি দেখেছি, মুড়ির টিন দেখেছি, রিক্সার টুংটাং শুনেছি। গ্রামের দিকে যাওয়া হয় নাই কখনো।
খবরদার রুপু, উপরের কোণার ঘরটায় যাবি না একদম।’ দাদাবাড়ি ঢুকলে মা সবার প্রথম এই সাবধান বাণী শুনিয়ে দিতেন। আমরা মানতাম না। ঠিক দুপুরে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে ঐ ঘরের সামনে চলে যেতাম
কিন্তু ছাদে গিয়ে তিনি পুরা ই হতভম্ব হয়ে গেলেন। দেখলেন, তার চিলেকোঠার নতুন ভাড়াটিয়া মজনু নামের ছেলেটি মাদুর পেতে, একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে, আসন করে বসে আছে। মেঝেতে অদ্ভুত কিছু আঁকিবুঁকি। তার চোখ দু’টো বন্ধ। একমনে বিড়বিড় করে কী যেন বলে যাচ্ছে।
রাত তখন ঠিক ১২টা। গ্রামের এক প্রান্তে পুরোনো এক ভাঙাচোরা বাড়ি। অনেক বছর ধরে সেখানে কেউ থাকে না। কিন্তু হঠাৎ করেই, কিছুদিন ধরে রাত ১২টা বাজতেই বাড়িটা থেকে একটা অদ্ভুত কান্নার শব্দ ভেসে আসে। কেউ কাছে গেলে কিছুই পায় না, শুধু একটা ভয়ংকর ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়
রজত বুঝতে পারলো আমার শরীরের কাঁপুনিটা, আলতো হাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে অভয় দিলো। আমাদের দুজনের দুইপাশে বাকী সব বন্ধুরা, দাঁড়িয়ে আছে খানিকটা নির্বাক হয়ে
বাস্তব জীবনে নিজ চোখে ভুত-প্রেত বা জ্বীন দেখা একজন মানুষের সাথে দেখা করার ইচ্ছা আমার দীর্ঘদিনের। আজ হঠাৎ এমন একজন মানুষ, যে কিনা ৬টা জ্বীন পোষে তার সাক্ষাৎ পেয়ে তাই মনটা আমার উত্তেজনায় ভরে উঠলো
‘ভাই,কসম করে বলছি মেয়েটাকে আমি খুন করিনি। আর খুন করার প্রশ্নই ওঠা উচিত নয় এখানে কারণ মেয়েটা মৃত নয়। দিনে মেয়েটার শরীর লাশের মতো পরে থাকলেও সন্ধ্যার পর ওতে প্রাণ ফিরে আসে। মেয়েটা নিজ মুখে আমায় বলেছে