প্রেতনিবাস
আমি আলিফ। আজ শেয়ার করব আমার এবং আমার ফ্যামিলির সাথে ঘটে যাওয়া বাসা কেন্দ্রিক একটি ঘটনা। চলুন শুরু করা যাক।
আমি আলিফ। আজ শেয়ার করব আমার এবং আমার ফ্যামিলির সাথে ঘটে যাওয়া বাসা কেন্দ্রিক একটি ঘটনা। চলুন শুরু করা যাক।
শ্যামল নিজের আঙুল নিজেই খাচ্ছে। ঠোঁট থেকে রক্ত ঝরছে। হাড় চাবানোর কচকচ বিশ্রী রকমের শব্দ আসছে তার মুখ থেকে। সেই সাথে ভেসে আসছে একটা অসহনীয় পঁচা দূর্গন্ধ। রানু বিশ্বাস করতে পারছে না এমন কিছু সত্যই তার সামনে ঘটছে।ও এটা ভেবে অবাক হলো
রানু গভীর রাতে একা একা বাড়ির পেছনের গোরস্থানে এসে দাঁড়ায়। আজ যদি একটু ভয় পাওয়া যায়, এই আশা নিয়ে সে গোরস্থানে এসেছে। রানু ভুত বিশ্বাস করে না। এতটুকুও না।
শুরু থেকে শুরু করি। যখন আমি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তাম, তখন টাঙ্গাইল আর্মি ক্যান্টনমেন্টে ছিলাম। ওখানে ভিতরে একটা বিশাল বটগাছ ছিল, যা যুদ্ধের অনেক আগে থেকেই ছিল। তা ছাড়া ঘরগুলোও অনেক পুরনো ছিল, পাকিস্তান আমলেরও আগের।
আড্ডা জমে গেছে। ভেতর ঘর থেকে ঘনঘন চা আসছে। আমরা বসে আছি সোবহান সাহেবের বসার ঘরে। ভদ্রলোক আমাদের অফিসের ক্যাশিয়ার। সারাক্ষণ হৈ-হুল্লোড় করা লোক। স্ত্রী এবং দুই কন্যা নিয়ে মগবাজার ওয়্যারলেসে একটা দুই বেডরুমের বাসায় থাকেন।
সম্ভবত গভীর রাত, আমার হাত পা সবই বাঁধা একটা শক্ত চেয়ারের সাথে। চোখ দুটোও মোটা কাপড়ে বাঁধা। দুই রকম শব্দ পাচ্ছি, কিন্তু খুব মৃদু ভাবে। চারদিক এত শান্ত, নিরব যে ওই সামান্য খসখস বা মৃদু নিঃশ্বাসের শব্দ আমার কানে হাতুড়ি পেটার মত ধরা পড়ছে।
“আজ রাতের ট্রেনে উঠলে কাল পৌছে যেতে পারব। দিনের বেলায় খোঁজ করলে নিশ্চয়ই একটা হদীস পাওয়া যাবে বাড়িটার।” ভর দুপুরে ক্যাম্পাস খানিকটা ফাঁকা থাকে, আকাশে আজ অনেকটা মেঘ তাই চিটচিটে গরমটা কম। রিকশা না নিয়ে হাঁটছি দুজনে।
আজ নিয়ে টানা তিনদিন, চরম অস্বস্তিকর অনুভুতিটা আমাকে ঘিরে ধরে আছে। আমার বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক আব্দুস সালাম স্যারের দেয়া এসাইনমেন্ট যখন বুঝে নিলাম, তখন থেকেই এটা অবশ্যম্ভাবী ছিলো, তবে মনের কোনে আশাও ছিলো, আমার ক্ষেত্রে হয়তো এটা হবেনা।
শশী, ওর ছেলে সাদাত আর শশীর শালি স্বর্না গল্প করছিলো শশীর বাসার ড্রইং রুমে বসে। শশীর বউ শাম্মী একটা ট্রেতে চা আর গরম পকোড়া নিয়ে ঢুকল। সাদাত টিভির ভলিউমটা একটু কমাও, আমরা খালামনির কাছ থেকে জ্বীন ধরার গল্পটা শুনবো।
কুমারখালি বাস স্ট্যান্ডে নামার পর ঘড়ি দেখল দীপ। রাত প্রায় আড়াইটা, চারদিকে শুনশান। একটা ভ্যান পর্যন্ত নেই। ঢাকা থেকে দুপুর চারটার বাসে রওনা দিয়েছিল, ফেরীতে বিশাল জ্যাম। তাই এত দেরি হল। বাসটা ওকে নামিয়ে দিয়ে হুশ করে বেরিয়ে গেল