নরখাদক পর্বঃ |৪|(সমাপ্ত পর্ব)
আমি চারপাশে দেখলাম, আর ঐ ছায়াগুলো নেই। তাহলে ব্যাপারটা কি….. হ্যাঁ! এখানে আমার গলায় একটা তাবিজ রয়েছে। এই তাবিজটা আমার মা ছোট বেলায় আমার গলায় বেঁধে দিয়েছিলো। ঐ শয়তানগুলো এই তাবিজ ছুঁতে পারেনি।
আমি চারপাশে দেখলাম, আর ঐ ছায়াগুলো নেই। তাহলে ব্যাপারটা কি….. হ্যাঁ! এখানে আমার গলায় একটা তাবিজ রয়েছে। এই তাবিজটা আমার মা ছোট বেলায় আমার গলায় বেঁধে দিয়েছিলো। ঐ শয়তানগুলো এই তাবিজ ছুঁতে পারেনি।
সবাই এবার কান্নাকাটি শুরু করে দিলো। এই ঘটনা ঘটে গেছে তা প্রায় পঞ্চাশ দিন আগে। তাও এখনো ভয়ে কেউ ঐ জঙ্গলে পা রাখে না। – পুরোটাই ফল্স ছিলো! আমার তো মনে হয় এটা কোন চোরাচালানকারীদের কাজ!
ঐ বনমানুষের মতো ছায়াগুলোর নৃশংসতা দেখে খালিদের ছোট মামা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। সহকারী তার জ্ঞান ফিরানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না! এদিকে খালিদের স্ত্রী আগেই জ্ঞান হারিয়েছিলো। তার জ্ঞান ফিরানো সম্ভব হচ্ছে না।
কাল সারা রাত বৃষ্টি হওয়ার পর রাস্তা ঘাট সব কাঁদা কাঁদা হয়ে গেছে। মেন রোডে গাছ ভেঙে রাস্তা ব্লক হয়ে গেছে। মেন রোড দিয়ে কোথাও যাওয়া সম্ভব নয়। এদিকে ভাইয়ের লাশ কিভাবে গ্রামে নিয়ে যাবে এই নিয়ে টেনশনে পড়ে গেলেন খালিদ। সামনে অ্যাম্বুল্যান্সে লাশ! আর পিছনে একটা মাইক্রো গাড়ি করে আত্মীয় স্বজন মিলে প্রায় দশ জনের মতো হবে!
দরজার ফাঁক গলে কেউ ক্যালেন্ডারটা রেখে গেছে। আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে ক্যালেন্ডারে কোন কোম্পানির নাম লেখা নেই। ছয় পাতার ক্যালেন্ডার। প্রতি পাতায় পাখির ছবি। প্রথম পাতায় একটা বিশাল বাজ পাখি। এতো জীবন্ত ছবি, মনে হয় এখনই ক্যালেন্ডার থেকে বের হয়ে উড়াল দেবে।
“দেখুন বাড়ি ভাড়া দিতে আমার আপত্তি নেই, শুধু একটাই শর্ত, আমার বাড়িতে কখনো খিচুড়ি রান্না করা যাবে না।” বাড়িওয়ালা লোকটার কথা শুনে বেজায় অবাক হল সৌগত। বাড়িভাড়া নিতে গিয়ে এর আগেও অদ্ভুত সব শর্তের কথা শুনলেও এটা একদমই নতুন।
রুমে আবির নেই। বিছানার উপর কালো একটা বিড়াল বসে আছে। বুকের ভেতর ছেদ করে উঠলো। বাসার প্রতিটা জায়গা তন্নতন্ন করে খুঁজেও তার হুদিশ পেলো না। ভয়ে শরীর থরথর করে কাঁপছে। রুমি পুনরায় চুপিসারে বেলকনিতে গেলো।
অতীতের কথা মনে পড়ে কেঁপে উঠলো রুমি। যে সোহেল এক বছর আগে মারা গেছে সে কোথা থেকে আসবে। এমন সময় ড্রয়িং রুমে আবিরের চিৎকার শুনতে পেলো রুমি। দ্রুত রুমে যেয়ে দেখে আবির ডান হাত দিয়ে বাম হাতের বাহু শক্ত করে চেপে ধরে আছে।
অফিস থেকে এসে শুয়ে আছে আবির। ইদানীং বড্ড কাজের প্রেশার। কয়েক মাস হলো বিয়ে করেছি। অথচ রুমিকে সময় দিতে পারছি না। সাতপাঁচ ভাবতে থাকলো আবির। এমন সময় রুমি এসে বললো,
হ্যাঁ, আমি।আমিই তোকে ওদের হাত থেকে এতদিন বাঁচিয়ে রেখেছি।তোকে আজকেও আমি বাঁচাবো।তুই পালিয়ে যা! -কিন্তু ছোট মা?