হানাবাড়ি (পর্ব ৪)
আমাকে ঘিরে পি’শাচের মতো দেখতে মানুষগুলো দাঁড়িয়ে আছে সবাই। নারকীয় এক নিস্তব্ধতা সারা ঘর জুড়ে। সবার দৃষ্টি একরকম। সেই চাহনিতে না আছে কোনো রাগ না আছে কোনো ভালোবাসা।
আমাকে ঘিরে পি’শাচের মতো দেখতে মানুষগুলো দাঁড়িয়ে আছে সবাই। নারকীয় এক নিস্তব্ধতা সারা ঘর জুড়ে। সবার দৃষ্টি একরকম। সেই চাহনিতে না আছে কোনো রাগ না আছে কোনো ভালোবাসা।
আমাদের পাশের কোয়ার্টারটায় এতো মানুষ থাকে? এটা আগে তো কখনো বুঝিনি আমরা। দলে দলে মানুষ আসছে ও বাড়ি থেকে। আর সকলের পোষাকই একই ধরণের
সাতটা বিড়াল, হ্যা গুনে গুনে সাতটা বিড়ালের মৃ*তদেহ। কিন্তু ঠিক স্বাভাবিক না মৃ*তদেহগুলো।কেউ যেনো বিড়ালগুলোর দেহ থেকে মস্তক আর লেজ ছিঁড়ে র*ক্ত সবটুকু শুষে নিয়েছে। একদম ফ্যাকাশে হয়ে আছে মৃতদেহগুলো। কে করতে পারে এই অমানবিক নিষ্ঠুর কাজ?
আব্বার বদলির সুবাদে এই মফস্বল শহরটায় আমরা এসেছি দিন তিনেক হলো। জায়গাটা খারাপ না। তিনদিনে যা মনে হয়েছে এলাকার লোকগুলোও বেশ ভালো। আমি অবশ্য এখানে বেশিদিন থাকবো না।
সাতদিনের মধ্যে মিলির সাথে আমার বিয়ে হয়ে গেলো। মিলিকে নিয়ে উঠলাম আমার একরুমের ছোট্ট বাসায়। বাসর রাতে মিলি আমাকে বলল, আপনি আমাকে বিয়ে করলেন, আপনার ভয় নাই?
আমার ওয়াইফ মিলিকে আজকাল আমার একটু ভয় ভয় লাগে। এই ভয় আগে ছিলো না। নতুন হয়েছে। বিয়ের আগেও শুনেছিলাম মিলির ওপর জ্বীনের আছর আছে।
আকর্ষণীয় ফিগারের কাউকে খুঁজছি আমি মনে-প্রানে। চাইলে আপনাদেরও মাপগুলো জানিয়ে দিতে পারি, উচ্চতা কমপক্ষে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি আর শরীরের মাপ হতে হবে ৩৪-২৪-৩৬।
ঘুম থেকে উঠার পর আমার অবস্থা হল সিজফ্রেনিয়া রুগীর মত।রাতে কি হয়েছিল কিছুই মনে করতে পারছি না কিন্তু বুকের ভেতরটা অজানা আতঙ্কে দুরুদুরু কাঁপছে।ঘুম যখন ভাঙল তখন সকাল গড়িয়ে দুপুর।
আমার স্ত্রীকে দেখছিলাম নিজের মধ্যে গুটিয়ে যাচ্ছে। মিলির সাথে আমার সাত বছরের সংসার জীবনে এরকম কখনও হয় নি৷ ঝগড়া হয়,বিছানা ভাগাভাগি হয় আবার ফ্লোরে কাঁথা-কম্বল বিছিয়ে শুয়ে অপেক্ষায় থাকে মাঝরাতে ওকে আমি কাছে টেনে নিব।
আমার স্ত্রীর ইদানীং শখ হয়েছে পুরানো আমলের কাঠের আসবাবপত্র সংগ্রহ করা। ফেসবুকে চৌকাঠ নামের একটা পেজ আছে সেখানে পুরানো ফার্ণিচার কেনাবেচা হয়।