Mysterious Suicide পর্ব_৪_৫_ও_শেষ_পর্ব
আমি বুড়ী দাদীকে মলম লাগিয়ে দিচ্ছিলাম দাদীও পাসে বসা ছিলো, মেজো আপু এসে আমাদের কাছে বসল। একটু আমতা আমতা করেই সবার উদ্দেশ্য বলল, — মানুষ কি কখনো জীবন্ত সাপ খায়!??
আমি বুড়ী দাদীকে মলম লাগিয়ে দিচ্ছিলাম দাদীও পাসে বসা ছিলো, মেজো আপু এসে আমাদের কাছে বসল। একটু আমতা আমতা করেই সবার উদ্দেশ্য বলল, — মানুষ কি কখনো জীবন্ত সাপ খায়!??
আপুর মৃত্যুর কয়েক মাস আগের ঘটনা, কলেজে কি এক রাজনৈতিক ঝামেলার জন্য সব শিক্ষার্থীরা হল ছেড়ে বাসায় চলে আসছিলো। বড় আপুও চলে আসে। মা খুব অসুস্থ থাকায় মেজ আপু আর আমিও চলে আসি। আমরা তিন বোন একই ইউনিভার্সিটি কলেজের সিনিয়র জুনিয়র ছিলাম।
বড় আপুর মৃত্যুটা হয়েছিলো খুব রহস্য জনক ভাবে! বাবার জোরাজোরি তে যদি ময়নাতদন্ত করা না হতো তাহলে এই রহস্যের সামান্য পরিমাণও আমরা জানতে পারতামনা।
২০১৮ সাল আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়তাম। সে সময়ে আমার সাথে একটা ভয়ংকর ঘটনা ঘটে। একদিন আমি রাতে একা বাসায় বসে টিভি দেখছিলাম।কোন বিশেষ কারণে আমার আম্মু আব্বু আমার নানা বাড়িতে গিয়েছিল।
এটা দেখে লােকটি চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। আর সেই রিকশাওয়ালা এক চিৎকার দিয়ে সেখান থেকে দৌড়ে চলে যায় আর এক বাড়ির সামনে গিয়ে পরে। তার কথা শুনে লােকজন সেখানে যায়।
ভয়ানক এই দ্বীপটির নাম শুনলেই মেক্সিকোর মানুষের নাওয়া খওয়া বন্ধ হয়ে যায় , হবেই না কেন ? কারন ঐ দ্বীপে কোনো মানুষ থাকে না, পুতুলের অতৃপ্ত ও অশরীরীরা ঐ দ্বীপে ঘুরে বেড়ায় । প্রায়ই দেখা যায় এক শিশুর ছায়া মূর্তি ভেসে বেরাতে ।
আজ বহুদিন বহুবছর পর নিশা একা। নিশার ঠিকানা নোভোটেল ব্যাঙ্গালোর। আবার অনেকটা সময় পর কলম ধরেছে নিশা কিছু লিখবে বলে । আজকের জীবনে নিশা যা করছে সে জানেই না সে ঠিক করছে না ভুল করছে।
মেঘ আর আরিয়ান এখন নতুন ভাড়া করা ছোট্ট একটা ঘরে থাকে।ছোট রান্নাঘর, এক রুম, একটা বারান্দা। কিন্তু শান্তি আছে।আর সেই শান্তিটুকুর নাম— ভালোবাসা”। মেঘ সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে আরিয়ান রান্না করছে।
সকালে মেঘ আয়নায় নিজের মুখ দেখে।চোখে ক্লান্তি, চুল এলোমেলো, মুখ শুকনো।নিজেরই মুখে নিজেকে জিজ্ঞেস করে,তুই তো ঘৃণা করিস আরিয়ানকে, তাই তো?
রাতে মেঘকে রক্ষা করার ঘটনার ঠিক পরদিনই থানায় এক অভিযোগ যায়—আরিয়ান এক লোককে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।মৃত নয়, কিন্তু আশঙ্কাজনক।