মাধবীলতা পর্ব০২
এরপর যা বুঝতে পারলাম আমার হাত পা ভয়ে কাঁপতে লাগলো।শীতের ভেতরেই ঘেমে শরীর একাকার হয়ে যাচ্ছে।ধরফর করে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলাম।নিজের নিশ্বাস দ্রুত থেকে দ্রুততর হতে লাগলো।আতংকে গলা শুকিয়ে কাঠ
এরপর যা বুঝতে পারলাম আমার হাত পা ভয়ে কাঁপতে লাগলো।শীতের ভেতরেই ঘেমে শরীর একাকার হয়ে যাচ্ছে।ধরফর করে বিছানা ছেড়ে উঠে বসলাম।নিজের নিশ্বাস দ্রুত থেকে দ্রুততর হতে লাগলো।আতংকে গলা শুকিয়ে কাঠ
—অপারেশনের নাম করে আমার স্ত্রীর ভেতরে থাকা বাচ্চাটা শেষ করে ফেলবেন।যতো টাকা দরকার আমি দেবো আপনাকে।প্লিজ ম্যাম, এইটুকু সাহায্য করুন আমায়।
একদম ঠিক বলেছো, ভাবী সত্যি অনেক সুন্দরী। দেখতে একদম বাচ্চা বাচ্চা লাগে। তাছাড়া গলার নিচে একটা কালো তিলও আছে। সেদিন বিকালে ভাবীকে দেখলাম খোলা চুলে নীল শাড়ি পড়ে ছাদে হাটাহাটি করছে। উফফ কি যে সুন্দর লাগছিলো…
স্যার লাশটা…! – চুপ করো দত্ত! লোক জানাজানি না হয় যেন। আর হ্যাঁ, ওপর মহল যেন এক্ষুনি এই বিষয়টা টের না পায় ওকে?
ছোট্ট কুহুর চোখ দুটো চকচক করে উঠে খুশিতে। ‘বাব্…বাহ্’ বলে সে লাফিয়ে পড়ল আতিকের কোলে। কতক্ষণ চোখ স্পর্শ করছে তো কতক্ষণ নাক স্পর্শ করছে। খানিক বাদে লেপটে রইল বাবার বুকের সাথে।
চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বাড়িতে রেখে প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছিল আতিক। একটুখানি সুখের আশায়। যেন বউ, বাচ্চা, বাবা আর মা ডাল ভাত খেয়ে সুখে দিনাতিপাত করতে পারে। কেউ যেন বেকার বলতে না পারে।
এখন রাত ১১ টা বাজে। মায়া জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আকাশের সুন্দর চাঁদটাকে দেখছে। চাঁদের মাঝে ওর আর আবিরের অনেক পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ছে।
এরপর ইমরান সবার উদ্দেশ্য বলে দেয় যে আবির গান গাবে। এখন আর না করার কোন রাস্তা নেই আবিরের। মায়া শুধু আবিরের দিকে তাকিয়ে আছে। আবিরও মায়ার দিকে তাকিয়ে গিটারটা হাতে নিয়ে বসে গান ধরে,
পরদিন সকালে, গতরাতটা দু’প্রান্তের দুজনের কাছে ছিল বিভীষিকাময়। ছিলনা কোন শান্তি। কষ্টের তীব্রতায় বুকের ভিতরটা শেষ হয়ে গিয়েছে দুজনের৷ একজনও রাতে বিন্দুমাত্র ঘুমায় নি
মায়ার উপর থেকে ঘোমটা সরে গেলে মায়া তাকিয়ে দেখে এ যে ইমরান। ইমরান মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে। মায়া ইমরানকে দেখা মাত্রই মাথা নিচু করে ফেলে। ইমরান এখনো মায়ার দিকে তাকিয়ে আছে। হ