ইরা: আমি তোমার এই অভাগা সংস্যার করবো না। ( চেচিয়ে)
আকাশ: এরকমটা করো না ইরা। আমি যে তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো না। ( কেদে)
ইরা: তুই জাহান্নামে যা, তাও আমি তোর মতো অভাগার সংস্যার করবো না। আমি আজকেই আমার বাবার কাছে চলে যাবো, আর তোকে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিবো৷ ( চিৎকার)
মা: বৌ মা, তুমি এমনটা করো না, আমার ছেলে যে সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবাসে৷ তুমি যদি এই ঘর চেড়ে চলে যাও, আমার ছেলে কি ভাবে থাকবে একা একা।
ইরা: শুধু ভালোবাসলেই হয় না মা৷ বউয়ের কখন কি লাগবে, সে সব কিছুই ও খেয়াল রাখতে হয়। তাছাড়া আপনার ছেলে মরলো না বাঁচলো তা জেনে আমার কোন কাজ নেই। আমি আপনাদের এই অভাগার সংস্যার আমি করবো না। ( চেচিয়ে)
আকাশ: তুমি আমাকে চেঁড়ে যেও না ইরা( কেদে)
ইরা: তোমার কোন কান্নাই আজ আমাকে ধরে রাখতে পারবে না এখানে৷ তোমার মতো বদল আর বেকার ছেলেকে কেনো যে আমি ভালোবেসে বিয়ে করতে গেলাম, তার ফল আমাকে এখন ভোগ করতে হচ্ছে। বাবা মা, ভাই, ভাবি আমাকে অনেকবার বুঝিয়েছে, কিন্তু আমি ওনাদের কোন কথাই শুনি নাই, যদি শুনতাম আজকে আমার এরকম অবস্থা হতো না( চেচিয়ে)
আকাশ: প্লিজ আমাকে চেড়ে যেও না।
ইরা: সরো আমার রাস্তা থেকে।
আকাশ: তোমাকে যদি যেতেই হয়, আমার লাশের উপর দিয়ে যেতে হবে।
ইরা: লাসের উপর দিয়ে কেনো? দরকার হলে তোকে মেরে আমি এখান থেকে যাবো। সেজন্য ভালো হবে আমার পথ থেকে সরে দাঁড়া। ( চেচিয়ে)
আকাশ: নাহ আমি তোমাকে যেতে দিবো না। ( কেদে)
ইরা: তুই যদি আমাকে যেতে নাই দিছ, তাহলে আমি এই ঘরেই নিজেকে ফ্যাানের সাথে ঝুঁলে আত্নহত্যা করে নিবো, কথাটা মনে রাখিছ৷ ( চেচিয়ে)
আকাশ: এমন করে বলো না ইরা৷ তুমি মারা গেলে, আমি কাকে নিয়ে বাঁচবো কি করে( কেদে)
ইরাা: তোকে বাঁচতে কেহ বলেছে। তুই মারা গেলেই তো পারিছ৷ তুই বেঁচে থাকার চেয়ে মারা যাওয়াই অনেক ভালো। ( চেচিয়ে)
এক প্রকার অনেক জগড়ার পরে ইরা আসার সময়ে আকাশ বাঁধা দিলে, আকাশকে একটা ধাক্কা দেয়, এতে আকাশ মাটিতে পড়ে আঘাত পায়, যে আঘাতের জন্য আকাশের মা, ওকে নিয়ে হসপিটাল যেতে হয়৷ এই আঘাতের সম্পর্কে আপনাদের পরে বলবো৷ এখানে এতটুকু পড়ে তো বুঝতে পেরেছেন, ইরার সাথে আকাশের প্রেম করেই বিয়ে হয়েছে ওদের। তবে ওদের বিয়ের জন্য দুজনকেই অনেক কষ্ট সয্য করতে হয়েছে৷ আর হঠাৎ করে কি এমন হলো, যার কারণে ইরা আকাশকে ডিভোর্স দিয়ে দেওয়ার কথা বলে, আকাশের বাড়ি থেকে চলে গেলো। যদি এর পিছনের সবটা কাহিনি আপনাদের জানতে হয়, তাহলে আপনাদের গল্পের প্রথম থেকে সবটা জানতে হবে। কেনো না প্রথম থেকে কাহিনি না পড়লে তেমন কিছুই আপনারা বুঝতে পারবেন না, তাহলে চলুন শুধু করি,,,,,,
পূর্বে====
গ্রামে বাঁকা বাঁকা মেঠো পথ দিয়ে সাইকেল চালিয়ে ইরা ওর বান্ধবীদের সাথে কলেজে যাচ্ছে, যাওয়ার সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকে, সাথে ঠোঁট দিয়ে শিশ বাঁজাতে থাকে। সেজন্য রাস্তা কোন কিছু পড়ে আছে যে, সে বিষয়ে ইরার কোন খেয়ালই নেই। সাইকেল চালানোর সময়ে কারো সাথে সাইকেলের ধাক্কা লেগে ইরা নিচে পড়ে যায়৷
ইরা: ওহ মা গো পড়ে গেলাম গো। আমার কোমরটা মনে হয় ভেঙে গেলো।
কে আছো আমাকে বাঁচাও।( চেচিয়ে)
তখন ইরার বাকি বান্ধবী গুলো সাইকেল থেকে নেমে ইরাকে তো নিচ থেকে তুলে,,, এই দিকে সাইকেল দিয়ে যাকে ধাক্কা দিলো, তার দিকে কেউ খেয়াল ও করছে না। ইরার বান্ধবী গুলো ইরাকে তো উপরে উঠায়,,,
ববি: ইরা তুই ঠিক আছিস তো?
ইরা: দেখছিস না পড়ে গিয়ে কোমরটাই ভেঙে গেলো মনে হচ্ছে!
ববি: ওই ছেলে চোঁখে কি দেখিছ না ( রেগে)
আকাশ: আচার্য আমাকে কেনো রাগ দেখাচ্ছেন?
ববি: তোর জন্য আমার বান্ধবী নিচে পড়ে গেলো আর তুই কি না বলছিস, তোকে কেনো রাগ দেখাচ্ছি।
আকাশ: আমি তো রাস্তার একটা সাইড দিয়ে যাচ্ছিলাম, আপনারা তো উল্টো সাইডে এসে আমার ক্ষতি করলেন।
ববি: তোর আবার কি ক্ষতি হলো?
আকাশ: এই যে দেখুন, হাতের এই জায়গাটা কেঁটে রক্ত পড়ছে।
ইরা: ববির বাচ্চা, তুই ওর সাথে কথা বলবি, না আমাকে নিয়ে হসপিটাল যাবি। (চেচিয়ে(
আকাশ: এই যে আপনার তো কিছুই হয় নি, সুস্থ মনে হচ্ছে, যেখানে আমাকে আপনারা নিয়ে যাওয়ার কথা, সেখানে আপনার কি দরকার যাওয়ার?
ইরা: তুই কিন্তু এভার বেশি কথা বলছিস।
আকাশ: আপনি তো ভারি বেয়াদব একটা মেয়ে, কার সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়, তা দেখি ঠিক মতো জানেন না।
ইরা: এখন কি তোর থেকে আমাকে ব্যবহার শিখতে হবে৷ তাছাড়া তুই কে? তোকে তো আমি আগে কখনো দেখি নি৷
আকাশ: আমি গ্রামে থাকলে তো দেখবেন।
ইরা: তা তুই কোন দেশের রাজা, যে গ্রামে থাকিছ না।
আকাশ: আমি যে দেশের রাজা, সে দেশে আপনি সামান্য রাজার দাসী হওয়ার ও যৌগ্য না।
ইরা: কিহ যত বড় মুখ নয়, তত বড় কথা।
কথাটা বলেই ইরা আকাশকে একটা থাপ্পড় দেয়৷ থাপ্পড় দেওয়াতে আকাশ তো আরো রেগে যায়। একে তো ওকে আহত করে রক্ত বের করেছে, তার উপর থাপ্পড় ও মেরেছে৷ সেজন্য ইরাকে আবার থাপ্পড় মারতে যাবে, তখনই শাকিল এসে বাঁধা দেয়।
শাকিল: বন্ধু কি করছিস তুই?
আকাশ: দেখছিস না, এই বেয়াদব মেয়েটাকে একটা উচিত শিক্ষা দিতে হবে।
শাকিল: চুপ কর বন্ধু, তুই তো চিনিস না, ওনি কেহ, যদি চিনতি, তাহলে এই কথাটা বলতি না।
ইরা: এই শুন, তোর বন্ধুকে ভালো করে আমার পরিচয়টা দিয়ে দিবি৷ সাথে এটাও বলে দিবি, এই ইরা চৌধুরীর সাথে যেনো, কোন পাঙ্গা নিতে না আসে৷ যদিও আসে, এর ফল কেমন হবে, তাও ওকে বলে দিবি৷
শাকিল: বলার কি দরকার, ওহ তো সবই শুনেছে?
ইরা: শুধু শুনলেই হবে না, আমার সাথে পাঙ্গা নিলে ওর কি কি ক্ষতি হতে পারে, সবটা বুঝিয়ে বলবি! সবে মাএ পরিচয় না হতেই ওর এই অবস্থা হলো। যখন পুরো পরিচয় পাবে, তখন হয় তো হসপিটাল থেকে বের হওয়ার চান্স ও পাবে না।
আকাশ: শাকিল ওর মতো ডাইনির সাথে কথা না বলে, আমাকে হসপিটাল নিয়ে চল৷
ডাইনি বলাতে ইরা তো আরো বেশি করে রেগে যায়৷ রেগে আকাশকে আবার ও মারতে আসে,,
ইরা: তোর সাহস তো কম না, তুই আমাকে ডাইনি বললি? আজকে তো আমি তোকে মেরেই ফেলবো ( রেগে)
ইরা কোন কিছু করতে যাবে, ববি ইরাকে ওখান থেকে নিয়ে আসে৷ ততক্ষণে শাকিল ওহ আকাশকে নিয়ে হসপিটাল চলে আসে। ডক্টর হাতের এই অবস্থা দেখে,,,
ডক্টর: কি করে হলো এরকমটা?
আকাশ: একটা ডাইনি আমাকে তার সাইকেল দিয়ে ধাক্কা মেরেছে, সেজন্য হাতটা এরকম হয়ে গেলো।
ডক্টর: বুঝতে পেরেছি। আমি এই জায়গা ড্রেসিং করে, বেন্ডেজ করে দিলাম। এটা মোটামুটি ৬-৭ দিনে অনেকটা শুকিয়ে যাবে, তুমি এই ঔষধ গুলো নিয়ে, তাহলে ঘরে যাও।
আকাশ: ধন্যবাদ ডক্টর আপনাকে।
শাকিল: চল তোকে ঘরে পৌঁছে দেই।
আকাশ: ঠিক আছে চল তাহলে,,,,
এরা তো ঘরে যেতে থাকে। অন্য দিকে ইরা আর ববি আসে কলেজে৷ ক্লাসে ডুকতে যাবে এমন সময়ে স্যার ওদের ডুকতে নিষেধ করে।
স্যার: তোমরা দুজন ভিতরে আসতে পারবে না।
ইরা: কিন্তু স্যার আমাদের কি এমন অপরাদের জন্য, আমাদের ভিতরে আসতে দিবেন না।
স্যার: তোমাদের অপরাদ হলো,,,,,,,,,,,