বিবেক হীন পর্ব :-৪

:-আমি খুড়িয়ে খুড়িয়ে বাড়িতে ঢুকলাম, আন্টি আমার এ অবস্থা দেখে দৌড়ে আমার কাছে আসল। আর বলল তোর এ অবস্থা হল কিভাবে রে। কোথায়, কিভাবে এক্সিডেন্ট করেছিস।।।
,
আয় আয় এখানে বস। কিভাবে হল এসব।।
,
আমি চুপ করে বসে আছি। আমার কি বলা উচিৎ, কি করব কিছুই বুঝতে পারছি না।।।
,
আন্টি আবার ডাক্তার কে ফোন করলেন। ডাক্তার আসল।। পুরনো ব্যন্ডেজ গুলো খুলে ফেলল, সে গুলো রক্ততে ভিজে গেছে।। আবার নতুন করে ব্যান্ডেজ করে দিলেন।। আর কিছু ঔষধের নাম লিখে দিলেন।
,
আংকেল অফিস গেছে এখনো আসে নি।।। আন্টি আমার খবর দিতেই তিনি অফিস থেকে দ্রুত চলে আসলেন।। আর আমার ঔষধ গুলোও নিয়ে আসলেন।।।।
,
আংকেল এসে আমাকে বলল, এটা কিভাবে হল বাবা। কিভাবে এক্সিডেন্ট হইছে বাবা।।।
,
আমি নিরবে চোখের পানি ফেলে বললাম,
,
— আমি এক্সিডেন্ট করিনি আংকেল।
— তাহলে এসব হল কিভাবে।
— আমার ভাই আমাকে মারছে।(এবার কেঁদে ফেললাম)
— তোমার ভাই তোমার দেখা কোথায় পেল ।।
— আমি বাড়ি গিয়েছিলাম তাদের দেখতে ।। তারা আমাকে চোর মনে করে মারছে।।।
— আমাকে ভালো করে খুলে বলত, কেউ তো আর এমনিতে চোর মনে করে মারবে না।
,
আমি সব খুলে বললাম, আমি বলতেছি আর কদতেছি।। আমার চোখ দিয়ে পানি পরছে।আটকাতে পারছি না।।
,
কথা গুলো বলেই কেন জানি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলাম না।
হটাৎ অজ্ঞান হয়ে গেলাম। ।।।
,
জ্ঞান ফিরার পর আমি দেখি বিছানায় শুয়ে আছি।।
,
আন্টি আমার পাশে বসে আছে।। ছোট বোনটা ভাইয়া ভাইয়া বলে কাঁদছে।।আমার চোখ খোলা দেখতেই মুখে হাসি ফুটল,,, আর ভাইয়া বলে জড়িয়ে ধরল।। এই কয়েক দিনে যেন এই বাড়ির সবাই আমার মায়ায় পরে গেছে।। কিন্ত আমি পরিনি।।আমার মায়া তো তাদের ওখানে পরে আছে।।।। কিন্তু তারা আমাকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে।। আর আমাকে যারা আপন করে নিচ্ছে তাদের আমি দূরে ঠেলে দিচ্ছি।।।,
,
যারা আমার মৃত্যুর সময় আমার বিপদের সময় পাশে ছিল। যারা তাদের সর্বোচ্চ আদর আর ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছে। আমি তাদের বেহায়ার মত দূরে ঠেলে দিচ্ছি।।।
,
আমার বিবেক কাজ করছে না। আমার কি করা উচিত।। কোনটা ধরা উচিত কোনটা ছাড়া উচিত, আমি কিছুই বুঝতে পারছি না।।
,
আমি চিন্তা করতে পারছি না। এখন চিন্তা করলে কেন জানি আমার মাথা ব্যথা করে খুব।।
,
আন্টি বলল,
— এখন কেমন লাগছে বাবা।।
— ভালো লাগছে, আম্মু।
— তুই কি খাবি বল, সেটা রান্না করে নিয়ে আসি।
–আমি কিছু খাবনা আম্মু।।
— না বললে তো হবে না।। কিছুতো খেতে হবে।।।
— খাওয়ার ইচ্ছা করছে না আম্মু।
— যা কপালে থাকে, তাই হয়।।তাই বলে ভেংগে পড়া উচিত নয় বাবা । একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে।
,
আমি বালিশ থেকে মাথাটা উঠায় আন্টির পায়ের উপর মাথা রেখে শুয়ে আছি।
,
আন্টি আমার মাথার চুল বুলিয়ে দিচ্ছে।।
,
— আম্মু তুমি আমাকে ভালোবাসা।
— হুম, অনেক ভালোবাসি আমার এই আব্বুকে।
— জান আম্মু, আমার আব্বু আমাকে আবার তাড়িয়ে দিছে।( বলেই কেঁদে ফেললাম)
— এসব কথা কেন মনে কর আব্বু।। একদিন দেখবে তোমার আব্বু ঠিকই তোমার ভুল বুঝতে পারবে। আর তোমাকে আবার ভালোবাসবে। তোমাকে আদর করবে। তোমাকে এখান থেকে নিয়ে যাবে।।
— তা আর হবে না আম্মু। আমার মন বলছে আমি আর বাঁচব না।
আচ্ছা আম্মু, আমি যদি মরে যাই।।। তখন কি হবে।। তখন কি আমার আব্বু আমাকে ক্ষমা করবে।।। যদি ক্ষমা না করে আল্লাহ তায়ালা ও তো আমাকে ক্ষমা করবে না।।
,
— চুপ একদম চুপ।।মরার কথা আর এক বারও বলবে না।
৷ আল্লাহ তো সব কিছু জানেন, নিশ্চয়ই তিনি তোমাকে ক্ষমা করবে। আর তোমার অনেক অনেক ভালো করবে।।।তোমাকে উত্তম কিছু দান করবেন।।।
–আমার কেন জানি মনে হচ্ছে সেই সুজুক আর আমি পাব না আম্মু।।। আম্মু আমি কি সবার কাছে অবিশ্বাসি, আর অবহেলিত হয়ে মরব আম্মু।
— তোকে বলছি না, আর এসব কথা বলবি না।।। তুই কেন বলিস এসব, আমার খুব কষ্ট হয়।
— আম্মু তূমি আমার নিজের আম্মু না।। তবুও তোমার কষ্ট হয়।। আর আমার নিজের বাবা – মা যখন আমাকে তাড়িয়ে দেয়, তখন তাদের কষ্ট হয় না।
— আমি জানি না।।।
( আমি আর আন্টি দুইজনেই নিঃশব্দে চোখের পানি ফেলতেছি কেউ কাউকে বুঝতে দিচ্ছি না, তবুও আমি বুঝে যাচ্ছি আন্টি কাদতেছে)
— আচ্ছা আম্মু আমার সাথে কেন এমন হয় , আমি যার কাছে যেতে চাই সে দূরে ঠেলে দেয় আর যার কাছে যেতে চাই না সে কাছে টেনে নেয়।।
— তার মানে আমাদের ভালো লাগে না তোর।।।
— না, আম্মু আমি ওভাবে বলতে চাই নি।।
— আর একটা কথাও বলবি না। এখানে চুপ করে সুয়ে থাক। আমি খাবার নিয়ে আসতেছি।
,
,
আন্টি খাবার নিয়ে এসে আমাকে খাইয়ে দিল।।যেন অনেক দিন পর মন ভরে কারো ভালোবাসা পেলাম।। যেন একটা অদ্ভুত তৃপ্তি পেলাম।।
,
,
ইদানিং মাথা টা একটু বেশিই ব্যথা করে।। ব্যথার চোটে চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করে।। অন্যের বাড়ি বলে পাড়ি না। কত আর অন্যের বাড়িতে থেকে মানুষ কে জ্বালাবো।।।
,
মাঝে মাঝে আমার মনে হয়, আমি তাদের জীবনে এসে কাটা হয়ে দাড়াইনি তো।
,
আংকেল প্রতিদিন আমার খোজ খবর নেই।। সবার ভালোবাসা আমার কাছে আছে, তবু্ও যেন আমি অতৃপ্ত।তাদের ভালোয়াসায় আমার মন ভরে না।
,
ছোট্ট বোনটা অনেক সুন্দর করে ভাইয়া ডাকে।।।
মাঝে মাঝে মনে হয়,,, চিৎকার করে তাকে বলি, এ তূই আর আমাকে ভাইয়া ডাকবি না। আমি কারো ভাইয়া না।। আমি কারো ভাই হওয়ার যোগ্য না।।।আমি অনেক খারাপ, আমি অনেক খারাপ।।
,
কিন্তু আমি পারি না । আমার কষ্ট হয় খুব।।। আমার কষ্ট আর রাগ, তাকে দেখিয়ে বা কি হবে।।। সে তো অনেক ভালোবাসে আমাকে।।
তাকেই বা কষ্ট দিয়ে কি হবে।
,
আমার মন মেজাজ আগের থেকে অনেক কঠোর হয়ে গেছে।। তার জন্য হয়ত, এই মাথার ব্যথাটাই দায়ি।
,
মাথাটা যে খুব ব্যথা করে কাউকে বলতেও পারি না।।।
,
এখন নিজের সব কষ্ট গুলো, নিজের ব্যথা গুলো,,, নিজেই সয়ে নেয়ার চেস্টা করি।। কাউকে বুঝতে দেই না।
,
আংকেল আমাকে কলেজ যেতে নিষেধ করেছেন।। তাই যাই না।। আমি তাদের নিজের কেউ না হলেও আমার জন্য তারা অনেক কিছুই করেছেন।। আমার কোন অভাব খালি রাখে না।।। আবার একটা মোবাইল কিনে দিছে আমাকে। টাকা পয়সা চাইলেই দিয়ে দেয়। কোন কারণ ও জিজ্ঞেস করে না।
,
আমি ভাবি এরকম মানুষ এখনো পৃথিবীতে বেঁচে আছে।হাজার বছর বেঁচে থাকুক তারা এবং তাদের ভালোবাসা।
,
কিন্তু আমার তো টাকা পয়সা, বাড়ি- গাড়ি , মোবাইল কিছু চাই না।। আমার চাই ভালোবাসা, আমার চাই পুরনো দিন গুলি , আমার চাই আমার বাবা- মাকে।আমার চাই ভাই গূলোর ভালোবাসা। ভাইয়া বলে ডাকার অধিকার।
,
জানি ফিরে পাব না,পাওয়ার সময়ও পাব না।
আর ফিরেও পাব না যেনেও বার বার চাওয়া।
,
আন্টি ভাত খাওয়ার জন্য ডাকতেছেন।। আজও খুব মাথাটা ব্যথা করছে ।।
তার পরেও ভালো থাকার অভিনয় করে আমি ভাত খাওয়ার জন্য গেলাম, ঠিক চেয়ারে বসতে যাব ঠিক সেই সময় আবার অজ্ঞান হয়ে গেলাম।।
,
। এতক্ষন কি কি হয়েছে আমি জানি না।
,
আমার চোখ খুলতেই আমি দেখি হাসপাতালের বেডে সুয়ে আছি।।
,
ডাক্তার আংকেল কে বলছেন বিভিন্ন পরিক্ষা নীরিক্ষা করতে হবে।।। মাথা নাকি স্কান করতে হবে।।।
,
ডাক্তারের কথা মত আংকেল, ল্যাব এ নিয়ে গিয়ে সব স্কান আর টেস্ট গুলো করালেন।।।
,
ডাক্তার রিপোর্ট দেখে বললেন, মানসিক চাপে থাকার কারনে নাকি আমার ব্রেন ক্যান্সার হয়েছে।
,
,
ডাক্তার বলছেন আমার হাতে বেশি সময় নেই।।। আমি নাকি আর বাঁচব না।। আর এখন অপারেশন করেও নাকি কোন লাভ নেই।
,
আমি বেডে সুয়ে আছি, তারা বাইরে কথা বলছে। কিন্তু আমি তাদের সব কথা স্পষ্ট ভাবে শুনতে পাচ্ছি।।।
,
আমার জীবনে হয়ত এতটুকুই হওয়ার বাকি ছিল।।,,এত টুকু দেখার জন্য আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।, এটাই হয়ত শেষ কষ্ট, আর তো কষ্ট সহ্য করতে হবে না।।
এর চেয়ে আরও বড় কষ্ট থাকলে সেটাও দিও আমায় কিছু বলব না তোমায়।। কষ্ট পাওয়ার জন্য তো দুনিয়ায় পাঠাইছো। সব টুকু কষ্ট দিয়ে তার পর নিও।।
,
ডাক্তার আমার সময় দিয়ে দিছে।
,
এবার অন্তত সব কিছু থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় তো এসে গেছে।।।
আজ সময় এসেছে অবহেলা,অবিশ্বাস, আর ভালোবাসার প্রহর শেষ হওয়ার।
,
আজ থেকে কারো কাছে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য হাত পাতব না।।। কাউকে দেখার জন্য আর নিজের বাড়িতে উকি দিয়ে চোর হওয়ার সাজা পাব না।। কাউকে আর বলব না, আমার জীবনের গল্প।। আজ থেকে আর কেউ বলবে না, বন্ধু কেমন আছিস, খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করিস তো, টাকা লাগলে বলিস বিকাশ করে দিব।। কেউ আর ফোন করে বলবে না বন্ধু তোদের বাড়ির সবাই ভালো আছে রে,,, তুই কেমন,,, আছিস সেটা বল।।। কেউ বলবে না, বন্ধু তোর পাখির আজ বিয়ে রে।।। কেউ আর বলবে না, তোর মুখ আর আমি দেখতে চাই না। দূর হ আমার সামনে থেকে। কারন কারো সামনে যাওয়ার জন্য বেচে তো আর থাকব না। আর কাউকে ফোন করে বলবনা,, ভাবি আমার খুব কষ্ট হচ্ছে ভাবি।। আমি তিন দিন ধরে খাই নাই ভাবি।।। ,
,
,
আজ থেকে তোমরাই সুখে থেকো, ভালো থেকো।। আজ থেকে এই নিলয় আর কাউকে বিরক্ত করবে না। কারো বিরক্ত হওয়ার কারন হবে না। আবার দেখা হবে পরকালে।
,
আমি বেডে সুয়ে আছি।আংকেল আমার সামনে আসলেন।। তার চোখ দুটো ছল ছল করছে।।তাকে দেখে মনে হচ্ছে, এখনই চোখ দিয়ে ঝড় ঝড় করে পানি নামবে।
,
আংকেল কোন কথা বলছে না।। আমার সামনে দাড়িয়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।।
,
আমিই বাস্তবতা ভেংগে বললামঃ
— আমার চলে যাওয়ার সময় হয়েছে তাই না আংকেল।
( এবার সত্যি সত্যি কেঁদে দিয়ে বললেন)
–আমি তোর জন্য কিছু করতে পারলাম না বাবা।।
— কে বলেছে আংকেল, আপনি আমার জন্য অনেক করেছেন।।। যার দাম আমি সারাজীবন আপনার গোলামি করেও দিতে পারব না।
— ছি বাবা। এসব বলে আমাকে ছোট কর না।
— আংকেল আমার ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমা করে দিয়েন।।আমাকে মাফ করে দিবেন।
— তুমি তো কোন ভুলই কর নি বাবা,,ক্ষমা করব কিভাবে।
— করেছি আংকেল, অনেক ভুল করেছি,, নাহলে কি আজ আর এই দিন দেখতে হত।।
(আংকেল অনেক কান্না করতেছেন,, আর আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি।। আমার আজ কোন কান্না নেই চোখে)
— আংকেল একটা কথা রাখবেন।।
— বল বাবা।।।
— বাড়ি থেকে আমার মোবাইল টা আনার ব্যবস্থা করে দিবেন।আমার ছোট বেলার বন্ধুটার সাথে কথা বলব।অনেক দিন তার সাথে কথা বলিনি,, তার সাথে শেষ বার কথা বলতে চাই। ।
— তুমি এখানে থাক আমি আধা ঘন্টার মধ্যে নিয়ে আসতেছি বাবা।।
,
আংকেল ফোন নিয়ে এসে আমাকে দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে গেল।আর বলল কথা বলা শেষ হলে তাকে যেন ডাকি।।
,
আমি ফোন দিলাম আমার সেই ছোট্ট বেলার বন্ধু টাকে।
,
ফোন দিতেই সে ফোন ধরল।।।
— সালাম দিলাম।
— সে সালামের জবাব দিয়ে বলল, কে নিলয়।
— হ্যা রে আমি,, তোর সেই হতভাগা বন্ধু।।
— কেমন আছিস রে, অনেক দিন পর ফোন দিলি।। তোর সাথে বার বার কেন এমন হয় রে।
— জানি না রে। জানিস আজকে আমি খুব খুশি। আমি চলে যাচ্ছি।।
— তাই বুঝি,,, তা কই চলে যাচ্ছিস শুনি, ইন্ডিয়া না পাকিস্তান।
— দোস্ত আমি ওপারে চলে যাচ্ছি রে।। আমার ভিসা হয়ে গেছে দোস্ত।। ডাক্তার আমাকে 24 ঘন্টা সময় দিছে।।
— এ নিলয়, তুই এসব কি বলছিস নিলয়। এ তুই এসব বানানো কথা আমাকে বলিস না রে। আমার খুব কষ্ট হয়।
— দোস্ত আমি সত্যি বলছি রে।। তোর জীবন থেকে আর একটা বন্ধু চলে যাবে রে,,, আর আমার জীবন থেকে পুরো পৃথিবী চলে যাবে।দোস্ত দোয়া করি তুই এপারে ভালো থাকিস।। আর তুই এই হতভাগার জন্য দোয়া করিস যেন আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করে দেয়।
— এ তুই এসব কি বলচ্ছিস আবোল তাবোল।
— হ্যা রে আমি সত্যি বলছি,।।। আমি তোকে কোন দিন মিথ্যা বলেছিলাম, তুই বল। আর আমার শেষ জীবনে আর একটা কাজ করে দিতে পারবি।
— কেঁদে কেঁদে বলল,, হ্যা পারব বল।
–আমার হয়ে আমার বাবা মায়ের কাছে একবার ক্ষমা চেয়েনিস যদি ক্ষমা করে দেয়।তাহলে মরেও আত্মাটা শান্তি পাবে । তাদের সামনে যাওয়ার সময় ও সুজুক আমার হাতে নাইরে।।।
,
বলেই ফোনটা কেটে দিলাম।।। আমার চোখ দিয়ে নিঃশব্দে পানি পরে যাচ্ছে।। আমি এখন কি করব বুঝতে পারছি না।
,
আমার মাথা ব্যথা টা যেন বেড়েই চলছে।।। চাইলেও আর কিছু করতে পারছি না।।।
,
ইতিমধ্যে, আন্টিও চলে এসেছে আমকে দেখার জন্য।। ছোট বোনটা ভাইয়া ভাইয়া বলে জড়িয়ে ধরল।
,
আন্টি আমাকে দেখে কাঁদতেছে।।
আগেই আমার সন্ধেও হয়েছিল।। এত ভালোবাসা আমার সহ্য হবে না।। কোন এক অজানা কারণে ভেংগে যাবে।।
,
কিন্তু এবার সম্পর্ক ভাংবে না।। সম্পর্কের মধ্যে থেকে ভালোবাসার মানুষ টিকে উঠিয়ে নিবে।
,
আমার সময় যেন কমে আসছে,,, চোখে ঘুম ঘুম ভাব চলে আসছে।।। চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসছে।।চাইলেও আর আটকাতে পারছি না। আমার পাশে আংকেল আন্টি আর ছোট বসে কাঁদছে।। জীবনের শেষ বারের মত তাদের বাবা-মা বলে ডাকলাম।আর বললাম মা আমাকে বিদায় দেও।
,
,বার বার মনে হচ্ছে
এ চোখ দুটো যেন আর সত্যি সত্যি খুলবে না।।।

Be the first to write a review

Leave a Reply

We’re sorry you’ve had a bad experience. Before you post your review, feel free to contact us, so we can help resolve your issue.

Post Review

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক গল্প