একটি মেয়ের জীবন কাহিনী সত্য ঘটনা।
মেয়েটির নাম হল যারা খুব সাধারণ ফ্যামিলির
ঘরের একটি আদরের মেয়ে
মেয়েটি পড়াশোনায় খুবই ভালো ছিল ।
মেয়েটি তার এক ক্লাসমেটের সাথে বন্ধুত্ব হয়।
সেই ছেলেটির নাম হল তানভীর ।
তাদের দুইজনের বন্ধু ত্বটা ৮ মাসের মাথায়
ছেলেটা মেয়েটাকে প্রপোজ করে বসে ।
কিন্তু যারা তার বন্ধুর মুখে তারা প্রপোজাল শুনে
অনেকটা অবাক হয়ে যায় ।
যারা তানভীরকে বলল
এটা হতে পারে না আমি তোকে বন্ধুর মতন দেখি
আমি সব সময় চাই আমাদের বন্ধুত্বটা অটল থাকুক।
কিন্তু তুই আমাকে প্রপোজ করে বসলে
আমি এই মুহূর্তে পড়াশোনা করতে চাই
ভালোবাসা মাঝে আমি এখন জড়াতে চাই না।
তারপর মেয়েটি ওখান থেকে চলে আসে
এভাবে ৩ মাস যাওয়ার পর
ছেলেটি আবার মেয়েটিকে প্রপোজ করে বসে
তখন মেয়েটি আর ছেলেটাকে না করতে পারে না
তার প্রপোজাল একসেপ্ট করে নে ।
কারণ হচ্ছে
যখন তারভীরের প্রোপজলটা রিজেক্ট করে দেয়
সেইদিনের পর থেকে তানভীর ঠিকমতন
যারা সাথে কথা বলে না
তাদের বন্ধুত্ব টা আগের মতন ছিল না।
সেটা যারা বুঝতে পারছে
সে কারণে যারা তার বন্ধুর ভালোবাসা একসেপ্ট করে।
তারপর থেকে
তারা নতুন জীবন শুরু করলো
এভাবে এক বছর যাওয়ার পর
তাদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির কারণে
ব্যাকআপ হয়ে যায় ।
এভাবে পাঁচ মাস যাওয়ার পর
তানভীর আবার যারা কে প্রপোজ করে
তানভীর যারাকে সরি বলে
আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও ।
তাদের মাঝে আবার সবকিছু ঠিক হয়ে যায়
ঠিক এভাবে আরও দুইটি বছর পার হয়ে যায় ।
হঠাৎ করে মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয়ে যায়
মেয়েটির মতামত না নিয়ে
তার বাবা মেয়েটির বিয়ে ঠিক করে ।
কিন্তু যারার এই বিয়েতে মত ছিল না
যারা কিছুতেই বলতে পারতেছে না
যে এই বিয়েতে আমার মত নেই
আমি অন্য একটি ছেলেকে ভালবাসি ।
মেয়টি তার বাবাকে বলবে কিভাবে
ছেলেটি এখনো বেকার পড়াশোনা এখনো শেষ হয়নি।
বিয়ের ১২ দিন আগে
মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে
তানভিরে হাত ধরে বাসা থেকে পালিয়ে যায়।
আসলে মেয়েটি তানভীর কে অনেক বিশ্বাস করতো
তানভীরকে মনেপ্রানে মেয়েটি বিশ্বাস করত ।
তারপর তারা দুইজনে পালিয়ে বিয়ে করে
তারপর ছেলেটি মেয়েটিকে নিয়ে
তাদের বাসায় চলে আসে ।
কিন্তু ছেলেটির বাবা-মা
এই বিয়েটা কিছুতেই মানতে চাইনি ।
ছেলেটা অনেক কষ্ট করে তার বাবা মাকে ম্যানেজ করে
এভাবে তারা আরো একটি নতুন জীবন শুরু করে
মেয়েটি ও তার শশুর শাশুড়িকে তার নিজের
বাবা মার মতন সম্মান করতো ।
নিজের বাবা-মার মতন সব সময় মনে করত
কিন্তু মেয়েটি শ্বশুরবাড়িতে
খাঁচায় বন্দি পাখির মতন ছিল ।
খুব ইচ্ছে ছিল ডানা মেলে উড়বে
মেয়েটি শত কষ্ট বুকে চাপা দিয়ে
সংসার করতে থাকে ।
যারা তানভীরকে অনেক বিশ্বাস করতো
আর বিশ্বাস না করে থাক কোন উপায় নেই
কারণ মেয়েটার তানভীরকে ছাড়া আপন বলতে
আর কেউ নেই।
এভাবে পার হয়ে যায় ৫টি বছর ।
তারপর তাদের মাঝে একটি কন্যা সন্তান আসে
সন্তানের মুখ দেখে যারা অনেক খুশি হয়।
কন্যা সন্তান দেখে বাকিরা সবাই মন থেকে খুশি
তানভীর অনেক খুশি হয় ।
এভাবে আরো পার হয়ে যায় ২ মাসের মত
তাদের ৬ তম বিবাহ বার্ষিকীর অল্প কিছুদিন বাকি ।
হঠাৎ একদিন গভীর রাতে যারার ঘুম ভেঙে যায়
যারা চোখ মেলে যা দেখল
তা সে কল্পনাও করতে পারেনি ।